ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (১৬)
, ০৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩১ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ
এর অর্থ হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত করবে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করবে, গুণাহ্ থেকে বেঁচে থাকবে তারা বিরাট কামিয়াবী হাছিল করবে। ”
এর তাফসীরে একটা ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে একটা ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। যেটা হযরত ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম বর্ণনা করেন, একদিন আমি মসজিদে নববী শরীফে দাঁড়িয়ে রয়েছি দরজার সামনে। হঠাৎ একটা লোক আসলো, এক গ্রাম্য লোক। সেই রোম দেশের এক গ্রামের লোক এসে আমার সামনে উপস্থিত হয়ে কালেমা শরীফ পাঠ করতে লাগলো।
أَشْهَدُ أَنْ لّاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.
এটা পাঠ করে সে বললো, আমি আজকে মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে মুসলমান হয়ে গেলাম। ”
এ কথা যখন সে লোকটা বললো, সেটা শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে ব্যক্তি! তুমি কেন মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে মুসলমান হলে? এর কোন কারণ আছে কি?”
সে বললো, হ্যাঁ, আমি পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব তাওরাত, যাবূর, ইঞ্জিল ইত্যাদি সব কয়টিই পড়াশুনা করেছি। তবে আজকে এমন একটা কথা শুনতে পেলাম একজন ব্যক্তি থেকে, যেটা শুনে আমার মনে হলো, এই কথাটাই সমস্ত আসমানী কিতাবের মূল। ”
তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি শুনতে পেলে?”
তখন সে ব্যক্তি বলতে লাগলো, আমি শুনতে পেলাম একজন মুসলমানের কাছ থেকে। সে তিলাওয়াত করতেছে-
وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ
সে এ কথা বলে তার কিছু সে ব্যাখ্যাও করলো। কি ব্যাখ্যা করলো?
সে বললো, দেখুন! এর মধ্যে কি বলা হয়েছে?”
কি বলা হয়েছে? সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কি বলা হয়েছে? আর তুমি কি বুঝতে পেরেছ?
সে বললো, এখানে চারটা কথা বলা হয়েছে। এক নাম্বার বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ইতায়াত করলো। এটা হচ্ছে, যে মহান আল্লাহ পাক উনার ফরযগুলো আদায় করলো।
দুই নাম্বার বলা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতায়াত করলো অর্থাৎ যে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারকগুলো আদায় করলো।
তিন নাম্বার বলা হয়েছে, يَخْشَ اللهَ যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করলো, কিসের জন্য, তার অতীতকালের জন্য, পিছনে সে যে গুণাহখতা করেছে সেজন্য। وَيَتَّقْهِ এবং যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে আরো ভয় করলো ও পরহেযগারী ইখতিয়ার করলো, কিসের জন্য? ভবিষ্যতের জন্য فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ সেই ব্যক্তি একমাত্র কামিয়াবী হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ!
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
নারী-পুরুষ উভয়ের পবিত্রতা রক্ষার অতীব কার্যকর উপায় হচ্ছে পর্দার হুকুম। এই হুকুম অনুসরণের মাধ্যমেই হৃদয়-মনের পবিত্রতা অর্জন করা সম্ভব। পর্দার এই সুফলের কথা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে।
ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ: “পর্দার হুকুম তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৩)
অর্থাৎ মানবসমাজকে পবিত্র ও পঙ্কিলতামুক্ত রাখতে পর্দার কোনো বিকল্প নেই।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












