ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৪৩)
, ০৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ৬ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ৫ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ২১ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যদি কোন বাড়ী-ঘর নিরিবিলি থেকে থাকে অর্থাৎ কেউ না থেকে থাকে তাহলে সেখানে তার অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করো না। আর যদি থাকা সত্ত্বেও কেউ বলে দেয় যে, তোমরা ফিরে যাও, যারা দেখা করতে এসেছ তারা ফিরে চলে যাও, তাহলে তাদের জন্য উচিত হবে ফিরে চলে যাওয়া। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতা। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।”
আয়াত শরীফ নাযিল হয়ে গেল। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানিয়ে দিলেন, পর্দা ফরয করা হলো।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে, প্রত্যেক মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের কিছু হক্ব রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : لِلْمُؤْمِنِ عَلَى الْمُؤْمِنِ سِتُّ خِصَالٍ
হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, এক মুসলমানের বা মু’মিনের প্রতি আরেক মু’মিন বা মুসলমানের ছয়টা হক্ব রয়েছে।
يَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ، وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ، وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ، وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ، وَيَشْهَدُهُ إِذَا مَاتَ، وَيَنْصَحُ لَهُ إِذَا غَابَ أَوْ شَهِدَ.
এ হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, এক মু’মিনের প্রতি আরেক মু’মিনের ছয়টা হক্ব রয়েছে।
এক নম্বর হচ্ছে-
يَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ،
‘যখন কোন মু’মিন অসুস্থ হয়ে যায় আরেকজন মু’মিন যেন তার সেবা শুশ্রুষা করে।’
وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ،
‘যদি কোন মু’মিন কাউকে দাওয়াত দেয় সে যেন দাওয়াত কবুল করে।’
এরপর বলা হয়েছে-
وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ
‘হাঁচি দিলে জবাব দিবে।’
وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ،
‘যদি এক মু’মিন আরেক মু’মিনের সাক্ষাৎ পায় সে যেন সালাম দেয়।’
وَيَشْهَدُهُ إِذَا مَاتَ،
‘যদি কেউ ইন্তিকাল করে তাহলে তার জানাযার নামাযটা যেন সে পড়ে।’
وَيَنْصَحُ لَهُ إِذَا غَابَ أَوْ شَهِدَ.
উপস্থিত এবং অনুপস্থিত সর্বাবস্থায় এক মু’মিনের দায়িত্ব হচ্ছে আরেক মু’মিনের জন্য ভাল চাওয়া। (অসমাপ্ত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












