সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (২৫৮)

, ২০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১১ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

إِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللَّهُ يُعْطِي

যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে হাদীয়া মুবারক করেছেন আর তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই বন্টন মুবারক করেন, আর সে ততটুকু পায়। এর চাইতে এক জাররাহ পরিমাণ বেশী ইলম নাই, এরা মিথ্যাবাদী। উনারা যাকে যতটুকু দেন সে ততটুকু লাভ করবে এর বাইরে ইলম-কালাম নেই। এই জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক বলা হয়েছে। আমি অনেক বার বলেছি,

هُوَ الَّذِيَ أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ

যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কিতাব নাযিল করলেন। এ পবিত্র আয়াত শরীফ মুখস্থ রাখতে হবে সবার।

مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ

কিছু আছেন আদেশ সূচক।

هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ

তা হচ্ছেন, কিতাবের মূল।

وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ

আর দ্বিতীয় আরেক প্রকার আছেন সেটা হচ্ছে মুশাবাহ। এরপর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন বিষয়টা, ফিকির করবে তোমরা।

فَأَمَّا الَّذِينَ في قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ

যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলছেন, যার অন্তরে বক্রতা আছে, কুফরী শিরকী আছে, গালিজ আছে সে কি করে? যিনি মালিক যিনি মলিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন আমি পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করলাম যেখানে উম্মুল কিতাব রয়ে গেছে অর্থাৎ মুহকামাত রয়ে গেছে এবং মুতাশাবিহাতও রয়ে গেছে। তাহলে

فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ

যার অন্তরে গালিজ আছে, কুফরী, শিরকী, শয়তানী আছে। যারা ইবলিসের শাগরিদ বা ইবলিসের দোসর যার অন্তরটা কুফরীতে পরিপূর্ণ সে বক্রতা তালাশ করে। কি করে শয়তানী করা যায় সেটা সে তালাশ করে। নাউযুবিল্লাহ! কেন? স্পষ্ট বলা হচ্ছে,

ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ

সে ফিতনা সৃষ্টি করার জন্য। অপব্যাখ্যা করার জন্য সে সুযোগ খুজতে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

সংকলনে-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ।