ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৭৮)
, ১৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১২ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১১ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অন্য এক রিওয়ায়েতে এসেছে-
لَا تَرَي رَجُلًا وَلَا يَرَاهَا رَجُلٌ
কোন পুরুষ তাকে দেখবে না এবং কোন পুরুষকেও সে মহিলা দেখবে না।’
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
‘সেটা শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِضْعَةٌ مِنِّي
‘হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার কলিজার টুকরা।’ কাজেই আমার যে জবাব উনি সেটাই দিয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ!
কারণ মেয়েদের জন্য সবচাইতে উত্তম আমল হচ্ছে, কোন পুরুষকে সে দেখবে না, কোন পুরুষও তাকে দেখবে না।
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরীতে উল্লেখ রয়েছে, উনার পিতা হযরত আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গি দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার মাতা হযরত উম্মুল খায়ের আমাতুল জাব্বার ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা। উনাদের সাওয়ানেহ উমরীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উনারা কতটুকু মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নির্দেশ পালন করেছেন। পুরুষের জন্য-
طَلَبُ كَسْبِ الْحَلاَلِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ
‘অন্যান্য ফরযের পর পুরুষের জন্য হালাল কামাই করা ফরয।’
আর মেয়েদের জন্য-
وَلِلنِّسَاءِ الْحِجَابُ فَرِيضَةٌ مَعَ الْفَرِيضَةِ
‘মেয়েদের জন্য হচ্ছে, অন্যান্য ফরযের সাথে পর্দা করা ফরয।’
এ দু’টি আমল বাস্তবায়িত হয়েছে গাউছূল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা এবং মাতা উভয়ের মাধ্যম দিয়ে। মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা নিদর্শন, দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উনাদের মাধ্যম দিয়ে।
গাউছূল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা যিনি জঙ্গি দোস্ত ছিলেন অর্থাৎ যুদ্ধ প্রিয়, যুদ্ধ করতে করতে এক এলাকায় চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করতেছিলেন, হাতে কোন টাকা-পয়সা ছিলো না। দজলা নদীর তীর দিয়ে হেঁটে আসতেছিলেন। তিনদিন ধরে না খাওয়া। হাতে টাকা-পয়সা নেই, হোটেল রেস্তোরা নেই, খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই, আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী কারও কোন দেখা-সাক্ষাত নেই। ক্ষুধার তাড়নায় অস্থির, হঠাৎ লক্ষ্য করলেন, দজলা নদী দিয়ে একটা আপেল ফল ভেসে যাচ্ছে, সেটা দেখে ক্ষুধার তাড়নায় ফলটি পানি থেকে তুলে খেয়ে ফেললেন, খাওয়ার পর উনি কোন রকমেই, কোন প্রকারেই ইতমিনান লাভ করতে পারছিলেন না। অস্থিরতায় ভুগছিলেন। সেভাবেই রাত্র কাটালেন।
সারা রাত্র ঘুম হলো না। তাহাজ্জুদ নামায পড়া হলো, ফজর নামায পড়া হলো। উনি ফিকির করলেন, কার ফল খাওয়া হলো। আমার জীবনে কখনও আমি হারাম কোন খাদ্য গ্রহণ করিনি। কারও কোন খাদ্য গ্রহণ করিনি না বলে। আজকে একটা ফল খেয়ে ফেললাম ক্ষুধার তাড়নায়। এটা কতটুকু শরীয়তসম্মত হলো, জায়িয অথবা নাজায়িয হলো।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












