ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৯৭)
, ০৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ৩০ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৯ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সেখান থেকে তিনি রাতের বেলা হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে আসলেন। এক মরুময় জায়গা সেখানে এসে তিনি ক্লান্ত হয়ে গেলেন। ক্লান্তি-শ্রান্তির কারণে, মনে মনে চিন্তা করলেন, এখানে আজকে রাত যাপন করা যেতে পারে। শোয়ার মত বা এখানে ঘুমানোর মত কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই। তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন, দু’ হাটুতে মাথা রেখে তিনি ঘুমাবেন।
সেটা চিন্তা করে হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি দু’হাটুতে মাথা রেখে তিনি ঘুমালেন, ঘুম এসে গেল। তিনি বর্ণনা করেন, আমার যখন ঘুম এসে গেল হঠাৎ আমি দেখতে পেলাম, আমি এমন এক স্থানে গিয়েছি, এত সুন্দর স্থান আমার জীবনে আমি কখনও দেখিনি, হঠাৎ লক্ষ্য করলাম সেখানে কিছু লোক, উনাদের আকার-আকৃতি চেহারা-ছূরত দেখে মনে হলো, খুব সম্মানিত বুযূর্গ হবেন, উনারা আসলেন, উনাদের মধ্যে একজন একটা তখ্তের মধ্যে বসা রয়েছেন, তিনি আরো বেশী সম্মানিত এবং ফযীলতপ্রাপ্ত মনে হলো।
উনারা আমার নিকটবর্তী হলেন। যখন আসলেন আমার কাছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনারা কারা? দেখে মনে হচ্ছে আপনারা খাছ বুযূর্গ হবেন। ’
উনারা বললেন যে, ‘আমরা হচ্ছি মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশ্তা। আর এ তখতের মধ্যে যিনি বসে আছেন তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম। ’
তখন হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনারা কেন এখানে এসেছেন?’
ফেরেশ্তারা জবাব দিলেন, ‘আমরা এসেছি হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বরকতময় যিয়ারতের জন্য বা সাক্ষাতের জন্য। ’
যখন একথা হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি শুনলেন, তিনি বলেন, শুনে আমার কান্না এসে গেল যে, আমার মত একটা নাদান, সাধারণ লোক, যার সাক্ষাতের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ফেরেশ্তা পাঠিয়েছেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনাকেও পাঠিয়েছেন? এটা কেমন? তিনি বললেন, ‘আমার কান্না এসে গেল। আমি কাঁদতে লাগলাম। ’
এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম তিনি উনার তখ্ত্ থেকে নেমে আমার কাছে আসলেন, এসে আমাকে নিয়ে উনার তখতের উপর এক পাশে বসালেন।
যখন বসালেন তখন হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস্ সালাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি তো আপনাকে অনেক সম্মান দিয়েছেন, ফযীলত দিয়েছেন, বুযূর্গী দিয়েছেন। আপনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী, আর আমি হচ্ছি একজন সাধারণ উম্মত। আমাকে এত তা’যীম-তাকরীম করার পিছনে আপনাদের কি কারণ রয়েছে?’
সেটা শুনে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, ‘হে হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনার যে ঘটনা ঘটেছে, আপনি যে সেই আরবের আমীরের কন্যার ওয়াস্ওয়াসা থেকে নিজেকে হিফাযত করে, অনেক দূর চলে এসেছেন, গভীর রাতে, অন্ধকারের মধ্যে এই মরুভূমিতে। যখন আপনার এ ঘটনা ঘটে তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার যারা ফেরেশ্তা রয়েছেন উনাদের সম্মুখে এ দৃশ্যটা তুলে ধরেছিলেন। ’ সুবহানাল্লাহ!
আমরা দৃশ্য দেখেছি, আপনাকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, আপনি সে প্রস্তাব উপেক্ষা করে মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সেটা ত্যাগ করে চলে এসেছেন।
এটা আমাদেরকে দেখানো হয়েছে এবং এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে জানিয়েছেন, ‘হে আমার নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস্ সালাম! আপনি হচ্ছেন নবীদের মধ্যে ইউসুফ। আর ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী আমার ওলীদের মধ্যে ইউসুফ। উনার ঘটনা আজকে ঘটেছে। আপনাকে তা দেখানো হয়েছে। আপনি উনার সাক্ষাতে ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকেসহ সেখানে যান। যেয়ে আমার তরফ থেকে উনাকে জানাবেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ যারা ওলী রয়েছেন, উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












