ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (১২৩)
, ০৩রা রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৮ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১২ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এরপরও বান্দার আমলনামায় মহান আল্লাহ পাক তিনি গুনাহ্ লিখে দেন না। ফেরেশ্তাদের বলেন, তাকে সময় দেয়া হোক, ইস্তিগ্ফারের সুযোগ দেয়া হোক। তওবা-ইস্তিগফার করে কি না? নেক কাজ করলে সেটা বিয়োগ করে দেয়া হয়।
এরপর যদি সে ইস্তেগফার-তওবা না করে, নেক কাজও না করে, গুনাহ্ করে যেতেই থাকে, তারপরেও মহান আল্লাহ পাক তিনি সুযোগ দিতেই থাকেন। যদি কখনও ইস্তেগ্ফার কওে, খালিছ নিয়তে তওবা করে, তাহলে করার সাথে সাথেই চোখের পলকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
সেটাই কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যখন কোন বান্দা ইস্তিগফার করে, তওবা করে, ইবলিস সেটা দেখতে পায় যে, সে ইস্তিগফার করেছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তখন ইবলিস নিজের নাকে, মুখে, চোখে ধুলাবালি নিক্ষেপ করতে করতে পালাতে থাকে। সে বলতে থাকে, এত কষ্ট করে, এত সময় ব্যয় করে লোকটাকে গুনাহ্ করানো হলো, সে গুনাহ্ করলো অতঃপর মাত্র একবার ইস্তিগফার করলো তার এত বছরের গুনাহ্ একবারে মাফ করে দেয়া হলো। তাহলে আমি কোথায় যাব। এটা বলে ইবলিস পালাতে থাকে।
যাকে ওয়াস্ওয়াসা দিয়ে গুনাহ্ করিয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন তাকে ক্ষমা করে দেন তখন ইবলিস নিরাশ হয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু বান্দাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
تُوبُوا إِلَى اللهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ
হে ঈমানদাররা! তোমরা সম্মিলিতভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে খালিছ তওবা করো। মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন।
لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
অবশ্যই তোমরা কামিয়াবী হাছিল করবে। কোন সন্দেহ নেই, কোন চু-চেরা ক্বীল ও ক্বাল নেই। এখানে সন্দেহ যদি কেউ করে তাহলে সে ঈমানহারা হয়ে যাবে। সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। অবশ্যই কামিয়াবী হাছিল করবে, যে ইস্তিগ্ফার-তওবা করবে।
কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আমরা দোয়া করবো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের প্রত্যেককেই সেই শরয়ী পর্দা করার যেন তাওফিক দান করেন। হয়তো কেউ করি, কেউ হয়তো করিনা। তবে যারা করে থাকে আল্হামদুলিল্লাহ! যারা করে না তারা করার জন্য কোশেশ করবো।
اَلسَّعْىُ مِنَّا وَالْاِتْمَامُ مِنَ اللهِ
চেষ্টা বান্দার তরফ থেকে, মহান আল্লাহ পাক তিনি পুরা করে দিবেন। এটা প্রত্যেকেই মনে রাখবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের শরয়ী পর্দা করার তাওফিক দান করেন। ভুল-ত্রুটি রয়েছে মানুষ মাত্রই। আমরা ইস্তিগ্ফার করবো, তওবা করবো, আবার পর্দা করবো। আবার ভুল হলে ইস্তিগফার করবো, তওবা করবো, আবার পর্দার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। একবার, দু’বার, তিনবার। এভাবে করতে করতে দেখা যাবে, এক সময় আমাদের দ্বারা হাক্বীক্বী শরয়ী পর্দা হয়ে গেছে।
এরপরও মহান আল্লাহ পাক তিনি না করুন! যদি কারো কোশেশ করা অবস্থায় ইন্তিকাল হয়ে যায়। অর্থাৎ নফসানিয়তের কারণে, পরিবেশের কারণে, নানান অবস্থার কারণে পর্দার কিছু ত্রুটি থাকা অবস্থায় কারো ইন্তিকাল হয়ে গেলো, কিন্তু সে কোশেশ করেছে আজীবন। মহান আল্লাহ পাক তিনি তার কোশেশের জাযা-খায়ের দান করবেন। কারণ, বান্দা কোশেশ করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তা পুরা করে দেন নিয়ত অনুযায়ী।
نِيَّةُ الْمُؤْمِنِ خَيْرٌ مِنْ عَمَلِهِ
মু’মিনের নিয়ত তার আমল থেকে উত্তম। এ জন্য খালিছ নিয়ত করে, কোশেশ করবো। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাওফিক দিয়ে দিবেন। অন্যথায় কঠিন পরিণতি।
পর্দা না করলে যে কত বড় কঠিন গুণাহ্ সেটা আমরা শুনেছি এবং বেহেশতের দরজায় লেখা রয়েছে-
اَلدَّيُوثُ لَايَدْخُلُ الْجَنَّةَ
‘দাইয়ূছ’ কখনই বেহেশ্তে প্রবেশ করবে না। কখনই প্রবেশ করবে না। দাইয়ূছ হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, “যে নিজে পর্দা করে না ও তার অধীনস্থ স্ত্রী-মেয়েদের পর্দা করায় না”- সে হচ্ছে দাইয়ূছ। সে কস্মিনকালেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এটা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রসূল, , নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলে দিয়েছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন। বেহেশ্তের দরজায় সেটা লেখা রয়েছে।
কাজেই খুব সতর্ক থাকতে হবে, সাবধান থাকতে হবে। ভুল-ত্রুটি হবে, আমরা কোশেশ করবো। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাওফিক দান করবেন। অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাওফিক দান করবেন।
কাজেই পর্দার হুকুম-আহকাম যা শোনা হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেভাবে চেয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেভাবে চেয়েছেন ঠিক সেভাবেই যেন আমরা শরয়ী পর্দা করতে পারি। সেই তাওফিক দান করেন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












