ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
তাক্বওয়া হাছিল করার গুরুত্ব-ফযীলত (১)
, ০৫ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ৩০ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ওয়াজ মাহফিগুলো হলো দর্স, তাদরীস, তা’লীম তালকীনের মাহফিল। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ
“আয় আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি নছীহত মুবারক করুন, নিশ্চয়ই আপনার নছীহত মুবারকগুলো মু’মিনদের জন্য ফায়দাজনক। ”
আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تَذَاكَرُوا فَإِنَّ فِى الْمُذَاكَرَةِ حَيَاةٌ
“তোমরা পরস্পর আলোচনা করো, নিশ্চয়ই তোমাদের আলোচনার মধ্যে জীবনীশক্তি নিহিত রয়েছে। ” অর্থাৎ ফায়দা রয়ে গেছে, ইছলাহ রয়ে গেছে, আর মূলতঃ ওয়াজ মাহ্ফিলগুলো বরকতময়, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত, সাকীনা নাযিল হয়।
এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক ফরমান-
مَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِى بَيْتٍ مِّنْ بُيُوتِ اللهِ يَتْلُونَ كِتَابَ اللهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلاَّ نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَذَكَرَهُمُ اللهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ
অর্থাৎ যখন কোন সম্প্রদায় কোন এক ঘরে অথবা কোন এক স্থানে একত্রিত হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব তিলাওয়াতের জন্য তা’লীমের জন্য অথবা পরস্পর দর্স-তাদরীসের জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সে স্থানে সাকীনা নাযিল হতে থাকে। সুবহানাল্লাহ্! মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক ঐ এলাকায় ছেয়ে যায় বা বিস্তার লাভ করে, মহান আল্লাহ পাক উনার কিছু খাছ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম রয়েছেন যারা সেই মাহফিলকে বেষ্টন করে নেন। সুবহানাল্লাহ্! এবং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি এই মাহফিলের লোকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটবর্তী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে তাদের ছানা-ছিফত করতে থাকেন সুবহানাল্লাহ!
এখন চিন্তা ফিকির করেন, এই মাহ্ফিলের কত বরকত, কত মর্যাদা। আর মূলতঃ আজকের যে আলোচনা তা হলো- তাক্ওয়া সম্পর্কে। তাক্ওয়া সম্পর্কে মূলতঃ প্রথমে আমাদেরকে একটি ওয়াকেয়া শুনে মনে রাখতে হবে যে, ওয়াজ করা এবং শুনা তার মধ্যে কি তাক্ওয়া আছে?
এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয়। ওয়াজের মধ্যে কতটুকু তাক্ওয়ার সাথে বলতে হবে এবং কতটুকু তাক্ওয়ার সাথে শুনতে হবে। হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দর্সে উনার ছাত্র ও বাইরের হাজার হাজার লোক উপস্থিত থাকত। একবার তিনি তা’লীম বা দর্স দিচ্ছিলেন। ছাত্র ও অন্যান্য শ্রোতারা তা’লীম বা দর্স শুনছিল, এমতাবস্থায় দেখা গেল, একটা সাপ সেই দর্সের মাহ্ফিলে প্রবেশ করল। সাপটা পর্যায়ক্রমে হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দিকে আসতে লাগল, কিন্তু হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তা’লীম দিতেই থাকলেন। সাপের কোন পরওয়া করলেন না। সাপটা এসে পর্যায়ক্রমে হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পা মুবারকে কামড় দেয়া শুরু করল। একে একে সাতবার কামড় দিলো। সপ্তমবার কামড় দেয়ার পর সাপটা নিজেই মরে পড়ে গেল। তিনি উনার দর্স দিতেই থাকলেন। দর্স যখন শেষ হলো তখন হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এক মহব্বতের ছাত্র এসে বললো ‘হুযূর! একটি মাসআলা জিজ্ঞেস করব যদি বেয়াদবি মনে না করেন। ’
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












