ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
তাক্বওয়া হাছিল করার গুরুত্ব-ফযীলত (২)
, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, ‘বেশ জিজ্ঞেস করো কি মাসআলা। ’ সে ছাত্র বললো, ‘হুযূর! আমরা সাধারণতঃ জানি সাপ যদি মানুষকে কামড় দেয় তাহলে মানুষ মারা যায়। কিন্তু আজকে আমরা যা দেখলাম তা বিপরীত। আপনি যখন দর্স দিচ্ছিলেন, তখন সাপটা আপনাকে একে একে সাতবার কামড় দিল। আপনার কিছুই হলো না, শেষ পর্যন্ত সাপটা নিজেই মরে গেল। তার কি কারণ?’ হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “দেখ! তুমি যা বলছ তা সত্যই। সাপটা এসেছিল আমাকে কামড় দিয়ে তার বিষ আমার শরীরে প্রবেশ করাতে কিন্তু একে একে সে ছয়বার আমাকে কামড় দিয়ে তার বিষ আমার শরীরে প্রবেশ করাতে পারলনা, অবশেষে সপ্তমবার সে গোসসা হয়ে খুব জোরে আমাকে কামড় দেয় কিন্তু তার বিষ আমার শরীরে প্রবেশ না করে বরং আমার শরীরের মধ্যে যে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহব্বতের জযবার বিষ ছিল, সেই বিষটা তার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে, যার ফলে সাপটা নিজেই মরে যায়। ” সুবহানাল্লাহ!
এখন চিন্তা ফিকির করেন, উনারা কতটুকু মনোযোগ সহকারে বলতেন ও কতটুকু মনোযোগ সহকারে শুনতেন। কতটুকু উনাদের তাক্ওয়া বা পরহেযগারী ছিল। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার যেখানে আলোচনা হবে, দর্স তাদরীস এবং ইলমী বিষয়ে আলোচনা করা হবে সেখানে মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। এখানেও তাক্ওয়া বা পরহেযগারী রয়ে গেছে। অর্থাৎ মুসলমানের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে, প্রত্যেক অবস্থায় চালচলন, আচার-ব্যবহার, ওঠা-বসা, খাওয়া-দাওয়া, ব্যক্তিগত, পারিবারিক-সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তাকে তাক্ওয়া অবলম্বন করতে হবে। এজন্য কিতাবে তাক্ওয়ার তিনটি দরজা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি আদ্না বা নিম্ন, একটি আওসাত বা মধ্যম, একটি আ’লা বা উচ্চ। মেছাল দিলে তা বুঝতে পারবেন।
মূলতঃ আদ্না দরজা তাক্ওয়া সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে। তাক্ওয়া শব্দটি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে সরাসরি প্রায় ১৭ বার উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আতকা এ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়েছে। মূল যে শব্দটা তাক্ওয়ার উপরে আলোচনা করা হয়েছে সেটা হলো মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলেছেন-
يَاأَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ
অর্থ : “হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন মহিলা হতে, আমি তোমাদেরকে গোত্রে-গোত্রে, সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে বিভক্ত করেছি পরস্পর পরিচয় পাওয়ার জন্য। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে সন্মানিত ঐ ব্যক্তি যে সবচেয়ে বেশী পরহেযগার বা মুত্তাকী। ”
এ পবিত্র আয়াত শরীফ কখন নাযিল হয়েছিল? যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় করলেন। পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পর মহান আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব, ইমামুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত বেলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন, “হে বেলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি পবিত্র কা’বা শরীফ উনার মধ্যে আযান দিন। ”
হযরত বেলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা যখন আযান দিতে গেলেন এবং আযান শুরু করলেন তখন কুরাইশদের মধ্যে কেউ কেউ বলতে লাগল, (যারা তখনও ইমান আনে নাই) একটা কাফ্রী ক্রীতদাসকে আযান দিতে দেয়া হয়েছে, অথচ তার চেয়ে কত উপযুক্ত লোক ছিল। এতটুকু তারা বলল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












