ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
তাক্বওয়া হাছিল করার গুরুত্ব-ফযীলত (৪)
, ০৭ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০১ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
উনার সম্পর্কে যে ঘটনা উল্লেখ করা হয় সেটা হলো- তিনি একবার সফর করতে এক কাফেলার সাথে গেলেন। সফর করতে করতে রাত্রি হওয়ার কারণে এক গোত্র প্রধানের বাড়ীতে উঠলেন। রাত্রে উনাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হলো। উনারা থাকতে লাগলেন। সেই গোত্র প্রধানের এক মেয়ে ছিল। সে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট তার অশুভ বাসনা পেশ করল। যখন সেই গোত্র প্রধানের মেয়ে এই অশুভ বাসনা পেশ করল তখন হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি সেই রাত্রেই সেখান থেকে উঠে পালিয়ে চলে আসলেন।
সেই আরব ভূমির মধ্যে উনার পথ চেনা ছিলো না। তিনি এক মরুভুমিতে এসে আশ্রয় নিলেন এবং ক্লান্ত হয়ে গেলেন। ক্লান্তির কারণে তিনি হাঁটুর মধ্যে মাথা দিয়ে ফিকির করতে লাগলেন, কি ঘটনা ঘটল এবং কাফেলার লোকেরাইবা উনার সম্বন্ধে কি চিন্তা করবে? তিনি এটা ফিকির করতে করতে ঘুমিয়ে গেলেন।
তিনি স্বপ্নে দেখতে লাগলেন, একজন সম্মানিত ব্যক্তি অনেক হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে নিয়ে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে আসেন। এসে সালাম দিলেন। হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, হুযূর! আমি আপনাকে চিনতে পারছি না। নিশ্চয় আপনি কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি হবেন। আপনার চেহারা ছূরত দেখে এই মনে হচ্ছে। ’
উনার সঙ্গি সাথী ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা বললেন, হ্যাঁ, তিনি হযরত ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যিনি নবী আলাইহিমুস সাল্লাম উনাদের মধ্যে খুবছূরত ছিলেন। সেই হযরত ইউসুফ আলাইহিস সাল্লাম তিনি এসেছেন আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য।
একথা শুনে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিনয়ের সাথে বললেন, “হুযূর! কি কারণে আপনি আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন? যেহেতু আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার নবী আর আমি একজন সাধারণ ব্যক্তি। ”
হযরত ইউসুফ আলাইহিস সাল্লাম তিনি বললেন, “হে ব্যক্তি! আমি যদিও হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে ইউসুফ হয়ে থাকিনা কেন তবে আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের মধ্যে ইউসুফ। ” সুবহানাল্লাহ!
আপনার এই ওয়াকেয়া বা ঘটনা মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেখুন তিনি কতটুকু পরহেযগারী ইখতিয়ার করেছেন, হে ইউসুফ আলাইহিস সাল্লাম! আপনি যুলাইখার থেকে বেঁচে ছিলেন আর এই যে আমার আরেক ইউসুফ, যে ওলীদের মধ্যে ইউসুফ তিনিও এরকম এক গোত্র প্রধানের মেয়ের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে এসেছেন। উনাকে গিয়ে আপনি সুসংবাদ দান করেন এবং বলেন, উনাকে আমার ইসমে আ’যম শিক্ষার জন্য, আমার মহব্বত-মা’রেফত শিক্ষা করার জন্য। (প্রত্যেক যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি থাকেন মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনের মধ্যে, এই যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন হযরত যুন নূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। ) আপনি হযরত যুন নূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে যান, সেখানে গিয়ে মহান আল্লাহ্ পাক উনার মহব্বত মা’রেফত অর্জন করুন। সুবহানাল্লাহ! এটা হল আওসাত দরজা।
আর আ’লা দরজা যেটা বলা হয়ে থাকে- মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া সবকিছু থেকে বেনিয়াজ হয়ে যাওয়া। এটার ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয় যে, হযরত গাউছুল আ’যম শায়েখ সাইয়্যিদ মুহীউদ্দিন আবদুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে। যখন হযরত গাউছুল আ’যম শায়েখ সাইয়্যিদ মুহীউদ্দিন আবদুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেল তখন উনার ছোট ইস্তিঞ্জা মুবারক উনার রাস্তা দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হতে লাগল। শুধু তাই নয়, ছোট ইস্তিঞ্জা মুবারক থেকে আতর গোলাপের ঘ্রাণ বের হচ্ছিল এবং তার মধ্য থেকে যিকিরও হচ্ছিল। সুবহানাল্লাহ! উনার মুরীদ-মু’তাক্বিদ যাঁরা ছিলেন উনারা বললেন, হুযুর! আপনার শরীর অসুস্থ, আপনাকে চিকিৎসা করানো দরকার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












