সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

(পূর্বপ্রকাশিতের পর)

পাঁচ. আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, فَيَكُوْنُ اِعْطَاؤُهُ الْمَالَ حَثْيًا “(মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম) তিনি উনার দু’হাত মুবারক ভরে অঢেল, বেহিসাব ধন-সম্পদ বিলিয়ে দিবেন। ” সুবহানাল্লাহ!

সেটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি- সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে উনার দু’হাত মুবারক ভরে অঢেল, বেহিসাব ধন-সম্পদ বিলিয়ে দিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই একমাত্র সেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক যিনি এই প্রথম কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম ১৪৩৪ হিজরীতে ৫৬ দিনব্যাপী এবং ১৪৩৫ হিজরীতে ৫৮ দিনব্যাপী সম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম মুবারক করেছেন এবং পর্যাক্রমে সেই মাহফিল মুবারক অনন্তকালব্যাপী জারী করেছেন, আবার বিশেষ ইন্তিযামে ৯০ দিনব্যাপী আযীমুশ শান মাহফিল মুবারক করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী শান-মান মুবারক প্রকাশ করার লক্ষ্যে দৈনিক আল ইহসান শরীফ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ এবং আরো অন্যান্য অনেক পত্র-পত্রিকা, রেসালা শরীফ ও কিতাবাদি মুবারক প্রকাশ করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! তাছাড়াও তিনি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে উনাদের পক্ষ থেকে হাজার হাজার পশু কুরবানী মুবারক করে যাচ্ছেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আক্বীক্বাহ্ মুবারকও করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

আর এটা তো উনার যাহিরীভাবে সম্মানিত খলীফা হিসেবে প্রকাশ পেয়ে সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করার পূর্বের কথা। তাহলে তিনি যখন যাহিরীভাবে সম্মানিত খলীফা হিসেবে প্রকাশ পেয়ে সারা পৃথিবীব্যাপী, সারা কায়িনাতব্যাপী সুদীর্ঘ ৩০-৪০ বছর যাবৎ সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক পরিচালনা করবেন, তখন তিনি উনার দু’হাত মুবারক ভরে কি পরিমাণ অঢেল, বেহিসাব ধন-সম্পদ বিলিয়ে দিবেনÑ সেটা সমস্ত জিন-ইনসান ও মাখলূকাতের চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। সুবহানাল্লাহ!

আর উনারই পবিত্র শান মুবারক সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَلَكَ الْاَرْضَ اَرْبَعَةٌ مُّؤْمِنَانِ وَكَافِرَانِ فَالْــمُؤْمِنَانِ حَضْـَرتْ ذُو الْقَرْنَيْنِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَحَضْـَرتْ سُلَيْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَالْكَافِرَانِ نَـمْرُوْدُ وَبـُخْتُ نَصَّرَ وَسَيَمْلِكُهَا خَامِسٌ مّـِنْ اَهْلِ بَيْتِـىْ

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সারা পৃথিবী শাসন করেছেন চারজন। দুজন হচ্ছেন মু’মিন আর দুজন হচ্ছে কাফির। মু’মিন দুজন হচ্ছেন- হযরত সিকান্দার যুলক্বরনাঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা। আর কাফির দুজন হচ্ছে- নমরূদ এবং বখতে নছর। আর অতিশীঘ্রই পঞ্চম একজন মহান ব্যক্তিত্ব মুবারক, একজন মহান খলীফা আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীব্যাপী, সারা কায়িনাতব্যাপী সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক পরিচালনা করবেন। তিনি হবেন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। ” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে জাওযী, মাকতূবাত শরীফ, ফাতওয়ায়ে হাদীছিয়্যাহ্ শরীফ লিলহাইতামী ১/৮১, আল হাওই শরীফ লিসসুয়ূত্বী ২/৭৬ ইত্যাদি)

আর সেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক তিনিই হচ্ছেন সাইয়্যিদুল খলাফা, আবুল খলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান নয়, ভারত নয়; বরং হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার ন্যায় সারা পৃথিবী তো অবশ্যই, এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুবহু ক্বায়িম-মাক্বাম হয়ে সীমাহীন প্রতাপ ও ব্যাপকতার সাথে সারা কায়িনাতব্যাপী সুদীর্ঘ ৩০-৪০ বছর যাবৎ সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক পরিচালনা করবেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক শানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُوْنُ فِىْ ا ٰخِرِ اُمَّتِـىْ خَلِيْـفَةٌ يَـحْثِى الْمَالَ حَثْيًا وَلَا يَعُدُّه عَدَدًا

অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আখেরী যামানায় আমার উম্মতের মাঝে একজন মহান খলীফা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক আবির্ভাব ঘটবেন। তিনি উনার দু’হাত মুবারক ভরে বেহিসাব, অঢেল ধন-সম্পদ বিলিয়ে দিবেন, কোনো গণনা করবেন না। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, রিয়াদুছ ছালেহীন, বাইহাক্বী শরীফ ৬/৩৩০, মুসনাদে আহমদ শরীফ ১০/১৯০, মিশকাত শরীফ, আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৬/২৪৮ ইত্যাদি)

উল্লেখ্য যে, মুসনাদে আহমদ উনার ১০ম জিলদের ২৫০ পৃষ্ঠার প্রান্তটিকায় রয়েছেন যে, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শানে। সুবহানাল্লাহ!

(অপেক্ষায় থাকুন। )

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।