সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
, ৯ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

সপ্তম প্রমাণ (২য় অংশ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
فَبَيْنَمَا هُمْ يَقْتَسِمُوْنَ الْغَنَائِمَ قَدْ عَلَّقُوْا سُيُوْفَهُمْ بِالزَّيْتُوْنِ اِذْ صَاحَ فِيْهِمُ الشَّيْطَانُ اِنَّ الْمَسِيْحَ قَدْ خَلَفَكُمْ فِـىْ اَهْلِـيْكُمْ
অর্থ: “অতঃপর যখন সম্মানিত মুসলমান উনারা গনীমতের মাল-সম্পদ বণ্টন করতে থাকবেন এবং উনাদের তরবারীসমূহ যাইতূন গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখবেন, ঠিক এমতাবস্থায় হঠাৎ শয়তান এই ঘোষণা দিবে যে, আপনাদের অনুপস্থিতিতে মাসীহ দাজ্জাল আপনাদের বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। ” (মুসলিম শরীফ ৮/১৭৫, ইবনে হিব্বান ১৫/২২৪, সুনানুল ওয়ারিদা ৬/১১১৫, আহকামুশ শরী‘আহ্ ৪/৫৫৪, আল ফাতহুল কাবীর ৩/৩২২, জামি‘উল আহাদীছ ১৬/৩১৫, জাম‘উল জাওয়ামি’, মুসনাদুছ ছহাবাহ্ ৫/৩৭২, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
তাহলে এখানে কতগুলো প্রশ্ন আসে যে, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পূর্বে এতো বড় ইনকিলাব বা পরিবর্তন কে করবেন, কার মাধ্যমে বিষয়টি সংঘটিত হবে? কে এই সমস্ত পরিবর্তন সাধন করবেন? কে সেই মহান খলীফা আলাইহিস সালাম যিনি সারা বিশ্ব থেকে সমস্ত ফিতনা-ফাসাদ, বেপর্দা-বেহায়া মিটিয়ে দিয়ে, কাফির-মুশরিকদের সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র ধ্বংস করে দিয়ে, তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে, তাদেরকে চির অপমানিত ও লাঞ্ছিত করে, তাদেরকে পর্যুদস্ত করে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেন? তিনি আর কেউ নন, তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ১০ম খলীফা, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! সেটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি- উনার মহাসম্মানিত মক্ববূল মুনাজাত শরীফ উনার বদৌলতে একের পর এক খোদায়ী আযাবে-গযবে একশত কোটিরও অধিক কাফির-মুশরকিরা তাদের ঘর-বাড়ি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র-সস্ত্রসহ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে আরো লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি কাফির-মুশরকিরা নিশ্চিহ্ন হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো হতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি উনার খোদায়ী জবান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ক্বওল মুবারক উচ্চারণ করেছেন, ‘কাফির-মুশরিকরা পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং তারা পূর্বের ন্যায় সম্মানিত মুসলমান উনাদের গোলামী করবে। ’ সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, তিনি কাফির-মুশরিকদের সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রপাতি ধ্বংস করে দিয়ে, তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে অতিশীঘ্রই এদেশ ও সারা পৃথিবীতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেন। সেটাই আমরা দেখতে পাই- উনার মুবারক শানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ سَعِيْدِ ۨ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالـٰی عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـخْرُجُ رَجُلٌ مِّـنْ اَهْلِ بَيْتِىْ عِنْدَ اِنْقَطَاعٍ مِّـنَ الزَّمَانِ وَظُهُوْرٍ مِّـنَ الْفِتَنِ رَجُلٌ يُّقَالُ لَهُ السَّفَاحُ فَيَكُوْنُ اِعْطَاؤُهُ الْمَالَ حَثْيًا
অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যামানার ক্রান্তিলগ্নে, যামানার শেষের দিকে যখন ফিতনা-ফাসাদসমূহ চরমভাবে প্রকাশ পাবে অর্থাৎ বেপর্দা-বেহায়া, অত্যাচার-অবিচার, যুলুম-নির্যাতনে, বেইনছাফীতে পুরো পৃথিবী ভরে যাবে, কোথাও সম্মানিত ইনছাফ উনার লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকবে না, তখন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে আমার একজন খাছ আওলাদ, একজন মহান খলীফা আলাইহিস সালাম তিনি দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক নিবেন। তিনি এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব মুবারক, এমন একজন মহান খলীফা আলাইহিস সালাম- উনাকে ‘হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম’ বলা হবে। তিনি সমস্ত বাতিলী শক্তি অর্থাৎ কাফির-মুশরিক, ইহুদী-খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, মজুসী, মুনাফিক ও উলামায়ে সূ’দেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে, সমস্ত ফিতনা-ফাসাদ, যুলুম-নির্যাতন, অত্যাচার-অবিচার, বেইনছাফীকে মিটিয়ে দিয়ে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত ইনছাফ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেন অর্থাৎ সম্মানিত খিলাফত মুবারক জারী করবেন। আর তিনি উনার দু’হাত মুবারক ভরে অঢেল, বেহিসাব ধন-সম্পদ বিলিয়ে দিবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলুন ৬/৫১৪, খাছায়িছুল কুবরা ২/২০৩, আস সুনানুল ওয়ারিদা, আবু নাঈম, আল ফিতান, মাজমাউয যাওয়াইদ ৭/৬১১, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০/৯২, আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৬/২৪৮ ইত্যাদি)
কাজেই, আবারো অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি অতিশীঘ্রই সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র শবে বরাত শরীফ উনার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহিবে কা’বা কাওসাইনে আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযীমুশ শান মি’রাজ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক (১১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘আহ্ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৪)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৩)
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)