সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং পূর্ববর্তী সম্মানিত আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে বর্ণিত ১০ম খলীফা
, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

১০ম খলীফা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা মুবারক:
‘আবূ দাঊদ শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
لاَ يَزَالُ هٰذَا الدِّيْنُ عَزِيْزًا اِلَى اثْنَىْ عَشَرَ خَلِيْفَةً قَالَ فَكَبَّرَ النَّاسُ وَضَجُّوْا
অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,) সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ততদিন যাবত পরাক্রমশালী থাকবেন, কুওওয়াতশালী থাকবেন, যতদিন পর্যন্ত ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আবির্ভাব ঘটবেন। (উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত কুরাঈশ বংশীয় হবেন। সুবহানাল্লাহ!) বর্ণনাকারী তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শুনে সমবেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা প্রত্যেকেই উচ্চ আওয়ায মুবারক-এ তাকবীর মুবারক দিলেন অর্থাৎ সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন, সম্মানিত ফলইয়াফরহূ শরীফ পালন করলেন। ” সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং, উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রতিভাত হলো যে, ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে এই উম্মত উনাদের মাঝে ১২ জন মহাসম্মানিত বিশেষ খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আবির্ভাব ঘটবেন। এখানে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কেননা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কথা বর্ণিত রয়েছেন। আর এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে সমস্ত হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইজমা অর্থাৎ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তাই, এ ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করলে ঈমানদার থাকা যাবে না। উনাদের মুবারক আলোচনা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে তো অবশ্যই; এমনকি পূর্ববর্তী সম্মানিত আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যেও রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে হাফিয আবুল ফিদা হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্’ উনার মধ্যে সম্মানিত তাওরাত শরীফ উনার উদ্ধৃতি মুবারক তুলে ধরেন,
اِنَّ اللهَ تَعَالـٰی بَشَّرَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِـحَضْرَتْ اِسْـمَاعِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَأَنَّه يُنَمّـِيْهِ وَيُكَثّـِرُه وَيَـجْعَلُ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ اثْنَىْ عَشَرَ عَظِيْمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন এবং বলেন যে, নিশ্চয়ই তিনি হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বংশধর উনাদের উন্নতি হাদিয়া মুবারক করবেন এবং উনাদের মধ্য থেকে ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের আবির্ভাব মুবারক ঘটাবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৭/৪৮)
এছাড়াও তিনি উনার সর্বজনমান্য ও বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-
وَفِى التَّوْرَاةِ الْبِشَارَةُ بِـحَضْرَتْ اِسْـمَاعِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَأَنَّ اللهَ يُقِيْمُ مِنْ صُلْبِهِ اثْنَىْ عَشَرَ عَظِيْمًا وَهُمْ هٰؤُلَاءِ الْـخُلَفَاءُ الْاِثْنَا عَشَرَ الْمَذْكُوْرُوْنَ فِىْ حَدِيْثِ حَضْرَتْ اِبْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰی عَنْهُ وَحَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ سَـمُرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰی عَنْهُ
অর্থ: “সম্মানিত তাওরাত শরীফ উনার মধ্যে হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সুসংবাদ প্রদানের বিষয়টি বর্ণনার পর এই কথা লিপিবদ্ধ রয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বংশধর উনাদের মধ্য থেকে ১২ জন মহান ব্যক্তিত্ব মুবারক অর্থাৎ ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আবির্ভাব ঘটাবেন। আর উনারা হচ্ছেন ওই ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম, যাঁদের মুবারক আলোচনা ফক্বীহুল উম্মত হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার এবং বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত জাবির ইবনে সামুরাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার অর্থাৎ উনাদের থেকে বর্ণিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে রয়েছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (যেগুলো আমরা ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি। ) (তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৫৩)
উপরোক্ত অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল-আদিল্লাহ ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত উম্মত উনাদের মাঝে ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আবির্ভাব ঘটবেন এবং উনাদের মুবারক আলোচনা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং পূর্ববর্তী সম্মানিত আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে রয়েছেন। আর সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি যেহেতু এই ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, উনার মুবারক আলোচনা যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং পূর্ববর্তী সম্মানিত আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে রয়েছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গেলো। তবে, উনার ব্যাপারে আলাদাভাবেও অনেক সম্মানিত বর্ণনা মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! পরবর্তীতে সেই বর্ণনা মুবারকসমূহ আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
এখন কথা হলো এই ১২ জন মহাসম্মানিত বিশেষ খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা কারা? শায়খুল ইসলাম, ইমাম আবুল আব্বাস শিহাবুদ্দীন আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে হাজার হাইতামী সা’দী আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আছ ছওয়াইকুল মুহরিক্বহ্’ উনার মধ্যে উনার যামানা (৯৭৪ হিজরী শরীফ) পর্যন্ত স্পষ্টভাবে ৮ জন সম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নাম মুবারক উল্লেখ করেছেন। উনারা হচ্ছেন- ১. সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি, ২. সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি, ৩. সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি, ৪. ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি, ৫. সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি, ৬. হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, ৭. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং ৮. হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা। সুবাহনাল্লাহ! (আছ ছওয়াইকুল মুহরিক্বহ্ ২/৬২৮-৬২৯)
আর ত্রয়োদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হচ্ছেন ৯ম খলীফা। আরো ৩ জন সম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা বাকী রয়েছেন। উনাদের মুবারক শানে আলাদাভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰی عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَّا السَّفَّاحُ وَمِنَّا الْـمَنْصُوْرُ وَمِنَّا الْـمَهْدِىُّ
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে আখাছ্ছুল খাছ তিনজন বিশেষ খলীফা আলাইহিমুস সালাম হবেন। উনারা হচ্ছেন- এক. হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম , দুই. হযরত আল মানছূর আলাইহিস সালাম এবং তিন. হযরত মাহদী আলাইহিস সালাম। ” সুবহানাল্লাহ! (দালাইলুন নুবুওওয়াহ্ লিল বাইহাক্বী ৬/৫১৪, খছাইছুল কুবরা লিস সুয়ূত্বী ২/২০৩, জামিউল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ৭/৪১৯ এবং ২০/১৯৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০/৯২ ইত্যাদি)
আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত এই তিনজন আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন- এক. হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম অর্থাৎ খলীফায়ে ‘আশির, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম, (তিনি ১০ম খলীফা)। সুবহানাল্লাহ! দুই. হযরত আল মানছূর আলাইহিস সালাম অর্থাৎ খলীফায়ে হাদী ‘আশার, খলীফাতুল উমাম, আল মানছূর সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, (তিনি ১১তম খলীফা)। সুবহানাল্লাহ! তিন. হযরত মাহদী আলাইহিস সালাম অর্থাৎ খলীফায়ে ছানী ‘আশার মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম, (তিনি ১২তম খলীফা)। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনিই যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত সুমহান মহাসম্মানিত খলীফা ‘খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম’ এই বিষয়টি ‘খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম’ নামক কিতাব মুবারক উনার ১ম খ-ে প্রমাণ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক বর্ণনা দ্বারা অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং সম্মানিত আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে বর্ণিত ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে অন্যতম একজন বিশেষ খলীফা অর্থাৎ ১০ম খলীফা। সুবহানাল্লাহ! এতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। উনার মুবারক উসীলায় অতিশীঘ্রই বাংলাদেশ তো অবশ্যই; এমনকি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!
এতো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও যারা সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত ১০ম খলীফা হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম হিসেবে মানতে পারে না, ওই সকল গুমরাহ্, পথভ্রষ্ট, মুনাফিক্ব ও ওলামায়ে সূ’দেরকে প্রশ্ন করা উচিত যে, তাহলে ১০ম খলীফা কে? অথচ বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ, বাযযার, মুস্তাদরকে হাকিম, ছহীহ ইবনে হিব্বান থেকে শুরু করে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ উনাদের কিতাব মুবারক-এ উল্লেখ রয়েছেন,
لَا يَزَالُ الدِّيْنُ قَائِمًا حَتّٰى تَقُوْمَ السَّاعَةُ أَوْ يَكُونَ عَلَيْهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيْفَةً كُلُّهُمْ مّـِنْ قُرَيْشٍ
অর্থ: “ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবেন ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে। উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত কুরাঈশ বংশীয় হবেন। ” সুবহানাল্লাহ!
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে সমস্ত হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ঐকমত্য পোষণ করেছেন। এখন বলার বিষয় হচ্ছে- এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছেন যে, ‘ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক নিবেন। ’ তাহলে অবশ্যই অবশ্যই ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক নিবেনই নিবেন। এতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। কেউ যদি এ ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে, চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে, তাহলে সে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ উনাকে অস্বীকার করার কারণে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
তাহলে এই ১২ জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা কারা? এই পর্যন্ত ৯ জন সম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা অতীত হয়েছেন। আমীরুল মু’মিনী হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হচ্ছেন ৯ম খলীফা। আর ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন ১২তম খলীফা। বাকী রইলেন ১০ম ও ১১তম খলীফা। সেই ১০ম ও ১১তম খলীফা উনারা কারা? ওহাবী, খারিজী, মুনাফিক্ব, ওলামায়ে সূ’ এবং তাদের সমগোত্রীয়রা আদৌ পারবে কি ক্বিয়ামত পর্যন্ত এর কোনো সঠিক জবাব দিতে? কস্মিনকালেও পারবে না।
(অপেক্ষায় থাকুন। )
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র শবে বরাত শরীফ উনার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহিবে কা’বা কাওসাইনে আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযীমুশ শান মি’রাজ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক (১১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘আহ্ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৪)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৩)
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)