সুওয়াল জাওয়াব:
, ০৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
প্রসঙ্গঃ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে আক্বীদা
সুওয়াল :
মহাপবিত্র ১০ই মুহররম আশূরা শরীফ উপলক্ষে অনেকে আলোচনা করতে যেয়ে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে এলোমেলো বক্তব্য দিয়ে থাকে। যেমন তারা বলে থাকে, সাইয়্যিদুনা আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি গন্দম খেয়ে ভুল করেছেন কিংবা একটি গুনাহ করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! এ বিষয়ে সঠিক জাওয়াব জানিয়ে বাধিত করবেন।
জাওয়াব :
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হলো, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কেউই কখনো ভুল করেননি। ইচ্ছাকৃত তো নয়ই, অনিচ্ছাকৃতও নয়। অর্থাৎ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা কোন ভুলই করেননি। (শরহে আক্বাইদে নছফী, ফিক্বহে আকবর, তাকমীলুল ঈমান, আক্বাইদে হাক্কাহ)
অর্থাৎ সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ও মনোনীত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। উনারা প্রত্যেকেই ছিলেন ওহী মুবারক উনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার একাধিক স্থানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
نُوْحِىْۤ اِلَيْهِمْ
অর্থ : আমি উনাদের (মহাসম্মানিত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের) প্রতি পবিত্র ওহী মুবারক করতাম। (সূরা ইউসূফ : ১০৯ আয়াত শরীফ, সূরা নহল : ৪৩ আয়াত শরীফ, সূরা আম্বিয়া : ৭ আয়াত শরীফ)
অর্থাৎ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সকল কার্যাবলীই ওহী মুবারক উনার দ্বারা (খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুতাবিক) পরিচালিত হতো। যার পরিপ্রেক্ষিতে আক্বাইদের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে-
اَلْأَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ كُلُّهُمْ مَعْصُوْمُوْنَ
অর্থ: সকল হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা মা’ছূম বা নিষ্পাপ। (শরহে আক্বাইদে নছফী)
আরও উল্লেখ রয়েছে যে-
اَلْأَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ كُلُّهُمْ مُنَـزَّهُوْنَ عَنِ الصَّغَائِرِ وَالْكَبَائِرِ وَالْكُفْرِ وَالْقَبَائِحِ
অর্থ : সকল হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা ছগীরা, কবীরা, কুফরী এবং অপছন্দনীয় কাজ হতেও পবিত্র। (আল ফিক্বহুল আকবার)
কাজেই যারা মহাসম্মানিত হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের ভুল সম্পর্কে বলে থাকে, আক্বাইদ সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেই তারা তা বলে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
অতএব, কোন লোকের জন্যই মহাসম্মানিত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক উনার বিন্দুমাত্র খিলাফ কথাবার্তা বলা যাবে না। কেউ যদি বলে, তাহলে তা হবে সম্পূর্ণ নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। এ ধরনের কুফরী আক্বীদা থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্য ফরয।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খরচ করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনার ফায়সালা
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৫)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (১)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিজাতীয় বিধর্মী তথা ইহুদী-নাছারাদেরকে অনুসরণ করা ইসলামী শরীয়তে হারাম-নাজায়িয
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র ‘ছলাতুল জুমুয়াহ’ উনার পূর্বে ৪ রাকায়াত সুন্নত নামায অর্থাৎ পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’ নামায নিয়ে বাতিলপন্থিদের বিভ্রান্ত্রিকর ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব (৬)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












