হিলাল
সূর্যের মঞ্জিল চাঁদের মত নয় বিধায় সূর্যোদয়ের দেশ আছে, কিন্তু চন্দ্রদোয়ের নির্দিষ্ট কোন দেশ নেই
, ০৯ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৩ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০২ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আল হিলাল
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ وَالنَّـهَارَ اٰيَتَيْنِ. فَمَحَوْنَا اٰيَةَ اللَّيْلِ وَجَعَلْنَا اٰيَةَ النَّـهَارِ مُبْصِرَةً لّتَـبْتَغُوا فَضْلًا مّن رَّبّكُمْ وَلِتَعْلَمُوا عَدَدَ السّنِينَ وَالْـحِسَابَ. وَكُلَّ شَيْءٍ فَصَّلْنَاهُ تَـفْصِيلًا
অর্থ: “আমি রাত্রি ও দিনকে দুটি নিদর্শন করেছি। অতঃপর নিষ্প্রভ করে দিয়েছি রাতের নিদর্শন এবং দিনের নিদর্শনকে দেখার উপযোগী করেছি, যাতে তোমরা তোমাদের মহান রব তায়ালা উনার মুবারক অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং যাতে তোমরা জানতে পারো বছরসমূহের গণনা ও হিসাব এবং আমি সব বিষয়কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি। ” (পবিত্র সূরা বনী ইসরাঈল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে রাত ও দিনের আবর্তনের মাধ্যমে বছর হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। আর রাত ও দিনের আবর্তনের বিষয়টি সূর্যের আবর্তনের সাথে সংশ্লিষ্ট। অর্থাৎ এখানে সৌরবর্ষের বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে।
আবার মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِىْ جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُوْرًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوْا عَدَدَ السّنِيْنَ وَالْـحِسَابَۚ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক যিনি সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন উজ্জ্বল আলোকময় করে আর চাঁদকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে। অতঃপর নির্ধারণ করেছেন এর জন্য মঞ্জিলসমূহ যাতে তোমরা জানতে পারো বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। ” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা সৌরবর্ষের পাশাপাশি চন্দ্রবর্ষের বিষয়টিও বর্ণিত হয়েছে।
কিন্তু সৌরবর্ষ ও চন্দ্রবর্ষ গণনার মধ্যে একটি পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর তা হলো- সূর্যের মঞ্জিল চাঁদের মত নয়।
সূর্যের আকৃতি সারা মাসব্যাপী একই থাকে। কিন্তু চাঁদের আকৃতি মাসের শুরুতে ধনুকের মতো বাঁকা (হিলাল) থাকলেও, আকৃতি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জোসনা আসে। আবার জোসনা হতে চাঁদ ক্রমান্বয়ে হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে এক সময় অমাবস্যায় পৌঁছায়।
আর তাই দেখা যায় সূর্য সারা বছরব্যাপী একই দেশ থেকে প্রথম উদিত হলেও চাঁদ প্রত্যেক মাসে একই দেশে উদিত হয় না। বরং যে দেশে বা অঞ্চলে প্রথম অমাবস্যা দশায় পৌঁছায় তার কাছাকাছি দেশ বা অঞ্চল থেকে চাঁদ উক্ত মাসে প্রথম দেখা যায়। কেননা সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী আকাশে খালি চোখে বাঁকা চাঁদ দেখার মাধ্যমে মাসের শুরু হয়। আর অমাবস্যা দশা থেকে খালি চোখে দৃশ্যমান উপযোগী হিলাল দশায় পৌঁছাতে প্রায় ১৭-২৪ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
সুতরাং সউদী আরব থেকে প্রথম চাঁদ দেখা যায় কিংবা পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট দেশ থেকে প্রথম চাঁদ দেখা যায়, ইত্যাদি ইত্যাদি বক্তব্যগুলো সুস্পষ্টভাবে শরীয়ত বিরোধী বক্তব্য।
-০-

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
চাঁদ দেখে সকল আরবী মাস শুরু করার গুরুত্ব
২৮ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (১৪)
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (৮)
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (৩)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (১)
১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার চাঁদ দেখা যায়নি
২২ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র শাবান শরীফ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ৭ই মার্চ
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












