মহিলা ছাহাবী উনাদের জীবনী মুবারক:
হযরত ক্বায়লা বিনতে মাখরামা আত-তামীমিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা
, ২৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
(পূব প্রকাশের পর)
ইত্যবসরে এক ব্যক্তি এসে সালাম দিলেন, “আস্সালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” (আয় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার উপর সালাম)। তিনি সেই ব্যক্তির সালামের উত্তর প্রদান করলেন। এদিকে আমি উনাকে দেখামাত্রই ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগলাম। উনার পার্শ্বে উপবিষ্ট এক ব্যক্তি তখন বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই মহিলা তো কাঁপছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে রিক্তা! আপনি শান্ত হোন! উনার কথা শুনে আমার ভয় দূর হয়ে গেলো। অতঃপর আমার সাথে যে সঙ্গী হিসেবে এসেছেন (আল-হুদায়বা) তিনিও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে গেলেন এবং নিজের গোত্রের পক্ষ হতে ইসলাম উনার বাইয়াত করলেন। অতঃপর নিবেদন করলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের ও বনু তামীমের মাঝে “আদ-দাহনা” (এক খন্ড ভূমি) লিখে দিন যেন কোন মুসাফির ও পথিক ছাড়া অন্য কেউ এতে হস্তক্ষেপ না করে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজনকে তা লিখার নির্দেশ প্রদান করলেন। যা আমার অন্তরে অসহ্য বোধ হল। কারণ ইহা ছিল আমারই সম্পত্তি, আমারই জন্মভূমি। তৎক্ষণাৎ আমি বললাম, “ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সে মুসাফির বা পথিকের জন্য পরিত্যক্ত জমির আবদার করেনি। বরং ইহা উষ্ট্র ও বকরীর চারণভূমি। ”
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন লিখতে নিষেধ করলেন। এবং (নছীহত মুবারক দানের উদ্দেশ্যে) বললেন, এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই সদৃশ। জমি ও তার ঘাস পানিতে উভয়ে সমান অংশীদার। বিপদ-আপদে পরস্পর পরস্পরের সাহায্যে এগিয়ে যাবেন। একজন আরেকজনের সাথে হৃদতাপূর্ণ সম্পর্ক রাখবেন।
তখন আল-হুদায়বা (আমার সঙ্গী) আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো, হে নারী! আপনাকে সঙ্গে এনে তো আমি নিজের পায়ে কুঠারাঘাত হেনেছি। তখন আমি তাকে চিনতে পারলাম, যে আসার পথে আমার সফর সঙ্গী ও পথ-প্রদর্শক ছিলো। আমি তার চরিত্রের প্রশংসা করলাম। অতঃপর জমি নিয়ে কিছুক্ষণ যাবত আমাদের মধ্যে বিতর্ক হল। অবশেষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটি লাল বর্ণের চামড়ায় আমার ও আমার কন্যাদের জন্য জমিটুকু লিখে দিলেন। শর্ত দিলেন, কারও অধিকার বিনষ্ট করা যাবে না। কোন অন্যায় কাজে কাউকেও বাধ্য করা যাবে না বরং বাধা দিতে হবে। সকল মু’মিন মুসলমান আমাদের সহায়তা করবে। (উসুদুল গাবা, ইছাবা, তাবাকাত)
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনভী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
একমাত্র কাফিররাই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তাদের মতো মানুষ বলে
১৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরয। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম, জায়েয বলা কুফরী (১৮)
১২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সবাইকে সর্বাবস্থায় হক্বের উপর ইস্তেকামত থাকতে হবে
০৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
একমাত্র কাফিররাই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তাদের মতো মানুষ বলে
০৬ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়েয নেই
০৬ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এত সুন্নত লাগে না, প্রয়োজন নাই -এমন কোন কথা বলার অধিকার সৃষ্টির কারো নাই
০৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরয। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম, জায়েয বলা কুফরী (১৮)
০৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত মীলাদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
০৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পরীক্ষা সবাইকে কম-বেশী করা হবে, কেউ পরীক্ষা হতে খালি থাকবে না
০৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আক্বিদা যদি পুর্ণ শুদ্ধ থাকে তাহলেই মুসলমান হওয়া যাবে
০২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)