সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি:
হযরত বিবি শা’ওয়ানাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা
, ০২রা জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
তিনি আজমের অধিবাসী মহিলা ছিলেন। উবাল্লা নামক স্থানে বসবাস করতেন। উনার কন্ঠস্বর ছিল খুব সুমধুর এবং এরূপ সুমধুর কন্ঠে তিনি ওয়াজ নছীহত করতেন। যা কিছু পাঠ করতেন তাও তিনি সুমধুর কন্ঠে পাঠ করতেন। অতিশয় যাহেদা, আবেদা ও আহলে দিল্ মহিলা ছিলেন। আহলে দিল্ মহিলাগণ উনার মজলিসে উপস্থিত হতেন। তিনি খুব বেশী রিয়াযত মাশাক্কাত করতেন। মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়কারিণী, ক্রন্দনকারিণী ছিলেন।
একবার লোকেরা উনাকে বললো, আমাদের ভয় হয় যে, অধিক ক্রন্দনের কারণে কখন আপনার দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়। উত্তরে তিনি বলেন, দুনিয়াতে অধিক ক্রন্দন করে অন্ধ হওয়া আমার নিকট ইহা অপেক্ষা উত্তম মনে হয় যে, চোখ দোযখের আযাবে না জানি অন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, যে চক্ষু নিজ মাহবুবের দীদার থেকে মাহরুম থাকে, যখন সে উনার দীদারের জন্য মুশতাক্ব (সর্বদা আশেক), তার জন্য ক্রন্দন ব্যতীত থাকা উত্তম মনে হয় না।
কথিত আছে যে, চিন্তা ও অন্ধত্ব উনার উপর এরূপ প্রভাব রেখেছিল যে, উনার নামায ও ইবাদতও ছুটে যাচ্ছিল। অতঃপর স্বপ্নে উনার নিকট কেউ এসে উনাকে বলে যে-
أدرى دموعك اما كنت شاجيةً -- إن النياحت يشفى الحزيننا
جدى وقومى وصومى الدهر ذائية -- فإن الذائية من فعل المطيعة
অর্থ: নিজ অশ্রু বর্ষণ করো, যদি তুমি অনেক কেঁদে চিন্তিত হবে, তবে বেশক বিলাপ দুঃখ চিন্তাকে শেফা (চিকিৎসা) করে থাকে। রিয়াযত মাশাক্কাত করে দাঁড়িয়ে ও সবসময় রোযা রেখে মনকে শাসনে রাখো, কারণ মনকে শাসনে রাখা ফরমাবরদারদের কাজ।
অতঃপর তিনি আবার ইবাদত করতে শুরু করেন। ইবাদত করতেন আর উপরোক্ত শে’র পড়তেন এবং ক্রন্দন করতেন এবং অন্যান্য মহিলাদেরকে কাঁদাতেন।
কথিত আছে যে, তিনি যখন খুব বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে পড়েন, তখন উনার নিকট হযরত শায়েখ ফুযায়েল বিন আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি আসেন এবং উনার নিকট দোয়া চান।
তিনি বললেন, হে ফযল! তোমার ও মহান আল্লাহ পাক উনার মধ্যে এমন কোন বস্তু আছে কি, যা আমি দোয়া করলে কবুল হওয়ার উছিলা হতে পারে?
ইহা শুনে হযরত ফুযায়েল বিন আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি খুব জোরে এক চিৎকার দিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়েন। (নাফাহাতুল উনস, পৃষ্ঠা ৮৮৩)
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনভী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












