হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-৫৩)
, ১২ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
এ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বেগানা নারী-পুরুষের একান্তে অবস্থানকে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বামী পক্ষীয় আত্মীয়স্বজন যেমন দেবর-ভাসুর প্রমুখের সাথে অধিক সাবধানতা অবলম্বন করাকে অপরিহার্য করা হয়েছে। স্বামীর বন্ধু, তার অফিস সহপাঠীও এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ।
৩. হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ছিলাম। হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আগমন করতেছিলেন। এটি ছিল পর্দার আহকাম অবতীর্ণ হওয়ার পরের ঘটনা। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন-
اِحْتَجِبَا مِنْهُ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَيْسَ هُوَ أَعْمَى لاَ يُبْصِرُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفَعَمْيَاوَانِ أَنْتُمَا أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِهِ
অর্থ:- আপনারা উনার থেকে পর্দা করুন। আমরা বললাম, তিনি তো চোখে দেখেন না! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনারাও কি চোখে দেখেন না? (সুনানু আবু দাউদ- ৪/৩৬১, হাদীছ শরীফ: ৪১১২; জামে তিরমিযী ৫/১০২, হাদীছ শরীফ: ২৭৭৯; মুসনাদে আহমাদ ৬/২৯৬; শরহুল মুসলিম, নববী ১০/১৭: ফাতহুল বারী ৯/২৪৮)
এ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা পর্দা করার আবশ্যকতার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। একদিকে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যাদের পবিত্রতার বিষয়টি স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ঘোষণা করেছেন। আর অপরদিকে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত এমন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যিনি চোখে দেখতে পেতেননা। তারপরও উনার থেকে পর্দা করার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাহিন্নাস সালাম উনাদেরকে আদেশ মুবারক করা হয়েছে। তাহলে অন্যান্য মহিলাদের ক্ষেত্রে পর্দার হুকুম কিরুপ হবে তা অনুধাবনীয়। এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা আরো প্রমাণিত হয়েছে যে, কোন পুরুষকর্তৃক বেগানা মহিলাদের দিকে দৃষ্টি দেয়া যেরূপ কবীরা গুণাহ্, তদ্রƒপ মহিলারাও বেগানা পুরুষের দিকে দৃষ্টি দেয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
ইনশাআল্লাহ চলবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৫)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত রজব মাস হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার মাস
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












