৭১র ‘রাজাকার দেইল্যা’ এখন আল্লামা সেজেছে (ক)
এডমিন, ০৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩১ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) বিশেষ প্রতিবেদন

পিরোজপুরের একাত্তরের ‘রাজাকার দেইল্যা’ স্বাধীনতার পর জনগণকে ধর্মকর্মের কথা শুনিয়ে ‘আল্লামা সাঈদী’ হলেও তার অধর্মের অপকর্মের কলঙ্ক এখনো মুছে যায়নি। এখনো সাঈদীরা একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী দালাল-ঘাতক-রাহাজানির নির্মমতা। নৃশংসতার ভয়ঙ্কর প্রতীক।
একাত্তরের কুখ্যাত ঘাতক রাজাকার দেইল্যা সাঈদী সে জামাতের মজলিসে শূরার এক সদস্য। সে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী লাদেনের এক ভাবশিষ্য। বাংলাদেশে তালেবানী স্টাইলে ক্ষমতা দখলের অলীক স্বপ্ন যারা দেখে, তাদের একজন এই রাজাকার সাঈদী। জাতির দুর্ভাগ্য, সাঈদী সগর্বে ঘোষণা করে, তাকে রাজাকার প্রমাণ করতে পারলে সে সংসদ থেকে পদত্যাগ করবে। এমন দুঃস্পর্ধার পরও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবিদার বর্তমান সরকার (২০০১ ক্ষমতায় থাকা আ’লীগ সরকার) তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্তের উদ্যোগ নেয়নি; কিন্তু পিরোজপুরের মুক্তিযোদ্ধা বয়েজউদ্দিন পশারী ও পারেরহাট ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন গাজী তার চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ধুরন্ধর ধর্মব্যবসায়ী সাঈদী সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সাড়া দেয়নি।
ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির যুদ্ধাপরাধীর তালিকায়ও সাঈদীর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এমন অভিযোগও রয়েছে, সাঈদী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এত বেশি তৎপর ছিল যে, বিজয়ের প্রাক্কালে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও আব্দুল আজিজ নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল। তদন্ত করলে এ ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যাবে।