৭১র ‘রাজাকার দেইল্যা’ এখন আল্লামা সেজেছে (গ)
এডমিন, ১০ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বিশেষ প্রতিবেদন

আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরে জুন মাসে বন্দরের উত্তর প্রান্তের মদনমোহনের বৃহৎ ও সুদৃশ্য বাড়িটি লুটপাটের পর ভেঙ্গে সাঈদী সেটি নিজ বাড়িতেই নিয়ে আসে। আগস্ট মাসের গোড়ার দিকে এক মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে তাকে সে পাকী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
এছাড়া রাজাকার সাঈদী বন্দরের ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা, বিপদ সাহা, মাখন সাহাসহ আরো কয়েক বণিকের দোকান লুট করে। লুণ্ঠনের পাশাপাশি বহু ঘরবাড়ি পোড়ানো, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে পাকী বাহিনীকে দেয়া ও তাদের মাতাপিতাসহ আত্মীয়স্বজনকে হয়রানি, নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অনেক অভিযোগ রয়েছে- যা সরকার তদন্ত করলে এখনো বিস্তারিতভাবে জানা যাবে। এই রাজাকার সাঈদীর বিরুদ্ধে জঘন্যতম অভিযোগ, পাকী বাহিনীর ভোগের জন্য বলপূর্বক মেয়েদের ধরে সে তাদের ক্যাম্পে পাঠাতো।
১৯৯৭ সালে সাঈদী সগর্বে বলেছে, আমি মানুষ মেরে থাকলে আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলো না কেন?
রাজাকার সাঈদীর এ কথার জবাব ঐতিহাসিক মুনতাসীর দিয়েছিলো। কবির মুক্তিযোদ্ধা ও নিহতের পরিবারের যে তথ্যচিত্র তুলে ধরেছেন তার কিছু অংশ মামুন দেখে লিখেছে, “সেখানে এক প্রৌঢ়া অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে অভিযোগ করেছে, তার স্বামীকে হত্যা করেছে সাঈদী এবং হত্যার বিচার চেয়েও সে তা পায়নি। কারণ, এখন সাঈদীর যোগাযোগ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে।”