পাঠক কলাম:
‘ইখলাছবিহীন হজ্জ করে কি লাভ...?’
, ০৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহিকে বলা হয় হাজার বছরের মুজাদ্দিদ। মোঘল শাসক আকবর ও সম্রাট জাহাঙ্গীর মধ্যকার সময়ে উনার আগমন। তিনি একাই আকবরের দ্বীনে ইলাহী নামক কুফরী ধর্মের মূল উৎপাটন করেছিলেন এবং মুসলমানদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সঠিক দ্বীন ইসলাম। তিনি না থাকলে হয়ত ভারত বর্ষে অনেক মুসলমানকে এখন দ্বীন-ই-ইলাহী ধর্মের অনুসারি হতে হতো। সেই মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহির জীবনীতে দেখা যায়, তিনি প্রথম জীবনে একবার ফরজ হজ্জ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কাফেলার সাথে রওনা দিয়েছিলেন। পথিমধ্যে তিনি ঐ জামানার বিখ্যাত ওলী ও শায়েখ হযরত বাকী বিল্লাহ রহমতুল্লাহির খবর পান। তিনি তখন হযরত বাকী বিল্লাহ রহমতুল্লাহির ৭ দিন সোহবত ইখতিয়ার করেন। এরপর উনার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তিনি হজ্জে যাওয়ার নিয়ত পরিবর্তন করেন এবং হযরত বাকী বিল্লাহ রহমতুল্লাহির কাছে বায়াত হয়ে ইলমে তাসাউফ বা ইখলাছ (একাগ্রতা) অর্জনে রত হয়ে যান। তখন উনাকে হজ্জের কথা জিজ্ঞেস করলে উত্তরে বলেছিলেন, “ইখলাছ (একাগ্রতা) বিহীন আমল করে কি লাভ হবে?”। পরবর্তী জীবনে মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আর হজ্জ সম্পাদন করতে পারেননি।
মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি অনুধাবন করেছিলেন, ইখলাছ বিহীন হজ্জ করে কোন লাভ হবে না। ইখলাছ তো অনেক উপরের জিনিস। এখনকার মুসলমান তো নাফরমানি করে হজ্জ করে। নাউযুবিল্লাহ। হাজার হাজার সহিহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত প্রাণীর ছবির তোলা, রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ মুসলমানরা প্রাণীর ছবি তোলার মত মারাত্মক নাফরমানিযুক্ত কাজ করে হজ্জ সম্পাদন করে। ইখলাছ বিহীন হজ্জ করলে যদি কবুল না হয়, তবে ছবি তোলার মত নাফরমানি করে কি হজ্জ কবুল হবে?
ইখলাছযুক্ত মুসলমান আর নাফরমান মুসলমানের মধ্যে এখানেই তফাৎ। ইখলাছযুক্ত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমুতুল্লাহি একাই বৃহৎ মোঘল সম্রাজ্যের সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গীর কাবু করেছিলেন। মুসলমানদের দ্বীন-ই-ইলাহী থেকে হেফাজত করে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সঠিক ইসলাম। কিন্তু বর্তমানে শত কোটি মুসলমান। লক্ষ লক্ষ প্রতিবছর হজ্জ করতে যায়। কিন্তু তারপরও মুসলমানরা কাফিরদের কাছে পরাজিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত। মুসলমানরা ইসলাম থেকে সরে গিয়ে কাফিরদের ধর্মের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
আসুন, একজন হক্কানী শায়েখের কাছে বায়াত হয়ে আমরা ইখলাছ অর্জনে রুজু হই। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সেই তৌীফিক দান করুন। আমিন।
-উম্মু আমিম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












