নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ:
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১২)
, ৩০শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইলিম মুবারক নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা কি মানুষ রাখে?
৫) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও বলেছেন, “আলিফ, লাম, ‘র’; এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াতসমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে। ” (পবিত্র সূরা হুদ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০১)
৬) মহান আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ মুবারক করেন, বলুন! আমার পালনকর্তার কথা লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও। (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৯)
৭) মহান আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ মুবারক করেন, আর যমীনে যত গাছ আছে তা যদি কলম হয়, আর সমুদ্র (হয় কালি), তার সাথে আরো সাত সমুদ্র কালিতে পরিণত হয়, তবুও মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম মুবারকসমূহ শেষ হবে না। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (পবিত্র সূরা লোকমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭)
পবিত্র সূরা কাহাফ ও সূরা লোকমানের এই আয়াত শরীফদ্বয়ের তাফসীরে বলা হয়েছে; সমুদ্রসমূহের যতগুণ বা সংখ্যাই মেনে নেয়া হোক না কেন, এসবগুলোর পানি কালি হলেও মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারক প্রকাশক বাণীসমূহ লিখে শেষ করতে পারবে না। যুক্তি-বুদ্ধির দিক দিয়ে একথা সুস্পষ্ট যে সমুদ্র সাতটি কেন সাত হাজারও যদি হয়, তবুও তা সীমাবদ্ধ, শেষ অবশ্যই হবে-কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম বা পবিত্র কুরআন শরীফের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ব্যাখ্যা অসীম ও অনন্ত। (ইবনে কাছীর, কুরতুবী, সা’দী)
আলোচনার মাঝে একটা প্রশ্ন রেখে এসেছিলাম, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কার কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করেছেন? সেই জ্ঞানের পরিধি কত?
এর উত্তর স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক দিয়েছেন-
الرَّحْمَٰنُ ,عَلَّمَ الْقُرْآنَ
অর্থ: পরম করুনাময় মহান আল্লাহ পাক। তিনি উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কুরআন শরীফ শিক্ষা দিয়েছেন। (পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১-২)
এর পরবর্তী দুই আয়াত শরীফের তাফসীরে ‘তাফসীরে ছালাবী’তে ২৫/২৯০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে-
{خَلَقَ الْإِنْسَانَ} يعني: محمدًا - صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
{عَلَّمَهُ الْبَيَانَ } يعني: ما كان وما يكون؛ لأنه بين عن الأولين والآخرين وعن يوم الدين
খলাকাল ইনসান- অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
আল্লামাহুল বায়ান- যা সৃষ্টি হয়েছে এবং হবে। পূর্ব ও পরবর্তী সব ঘটনার জ্ঞান উনাকে শিক্ষা দিয়েছেন।
বিখ্যাত আলেম হযরত মুল্লা আলী ক্বারী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি وَإِنَّمَا بُعِثْتُ مُعَلِّمًا ‘আমি শিক্ষক হিসাবে প্রেরিত হয়েছি’। (সুনানে ইবনে মাজাহ ২২৯) এই হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলেন-
( وإنما بعثت معلما ) : أي بتعليم الله لا بالتعلم من الخلق
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে ইলম শিখেছেন কোন মাখলুক থেকে শিখেননি। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ ১/৩২৮)
এখন আপনারা বলুন তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জ্ঞানের ব্যাপকতা কতটুকু? ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে কি বিষয়টা অনুধাবন করা সম্ভব হবে? না তারা এ বিষয়ে কথা বলার কোন যোগ্যতা রাখে?
দুই চারটা বই পড়ে মানুষ জ্ঞানী হয় নিজেকে শিক্ষিত ভাবে, আর যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ইলিম নিজের মধ্যে ধারণ করলেন সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবই উনার হাতের তালুতে; উনারই ইলিম মুবারক নিয়ে প্রশ্ন করে নাদানগুলো? উনি লিখতে জানতেন না, পড়তে জানতেন না, ‘আলিফ’-‘বা’ চিনতেন না আরো কত অভিযোগ। নাউযুবিল্লাহ!
সৃষ্টি জগতের জন্য মহান আল্লাহ পাক যাকে মুয়াল্লিম হিসাবে পাঠিয়েছেন তিনি উনার জবান থেকে যা কিছুই বলেছেন সেটাই জ্ঞানের মানদন্ড হয়েছে আর উনিই নাকি নিরক্ষর? মহান আল্লাহ পাক কি তাহলে কোন নিরক্ষরকে মুয়াল্লিম হিসাবে পাঠাবেন? নাউযুবিল্লাহ! বেয়াদবীর সীমা থাকা দরকার।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লেখা পড়া, জ্ঞান ইত্যাদি কোন মানুষের কাছ থেকে অর্জিত না; উনার সকল জ্ঞানের উৎস হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক।
এ কারনে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন, “এটি একটি বরকতময় কিতাব (কুরআন শরীফ), যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর পবিত্র আয়াতসমূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে। ” (পবিত্র সূরা ছোয়াদ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯) (সমাপ্ত)
-খাজা মুহম্মদ নুরুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক প্রদান
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ বুলন্দী শান মুবারক
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছাহিবে কা’বা কাওসাইনে আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযিমুশ শান মি’রাজ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক (৩)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিআম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতহ মুবারক উনার বরকত ও ফযীলত (৪)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জান্নাতী ইমাম, সাইয়্যিদুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহনাওয়াসা আর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নযরে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি।
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)