নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ:
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১৩)
, ২ রা জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
যারা উম্মী অর্থ নিরক্ষর করে তাদের মূল দলীল হচ্ছে বুখারী শরীফের একটি হাদীছ শরীফ। কিন্তু তারা একবারও হাদীছ খানা ফিকির করেছে?
হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: ্রإِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ، لَا نَكْتُبُ وَلَا نَحْسُبُ،
“আমরা উম্মী জাতি। লিখি না, হিসাব করি না”। (বুখারী শরীফ: ১০৮০)
উম্মী শব্দকে নিরক্ষর অর্থকারীরা এই হাদীছ শরীফ থেকে অর্থ করে আমরা নিরক্ষর জাতি। আমরা লিখতে পারি না, আমরা হিসাব করতে পারি না। কিন্তু এই হাদীছ শরীফের যদি এরকম অর্থ করা হয় তাহলে মারাত্মক স্ববিরোধিতা তৈরী হয় সেই সাথে অনেক বিকৃতিরও সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে কয়েকটা দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হলো-
১) যদি উম্মী অর্থ সকল আরব জাতিকে নিরক্ষর ধরে নেয়া হয় তাহলে স্বয়ং কুরাইশ গোত্রের এই সকল ব্যক্তির বিষয়ে কি ফায়সালা হবে?
বিখ্যাত কিতাব ফতহুল বুলদানে বর্ণিত আছে-
عن أَبِي بكر بْن عَبْد اللَّهِ بْن أبى جهم العدوى قال: دخل الإسلام وفي قريش سبعة عشر رجلا كلهم يكتب عُمَر بْن الخطاب وعلي بْن أَبِي طالب، وعُثْمَان بْن عَفَّان، وأبو عُبَيْدة بْن الجراح، وطلحة ويزيد ابن أَبِي سُفْيَان، وأبو حذيفة بْن عتبة بْن ربيعة، وحاطب بْن عَمْرو أخو سهيل بن عمرو العامري عن قريش، وأبو سلمة بْن عَبْد الأسد المخزومي، وأبان بن سعيد بن العاصي بن أمية، وخالد بن سعيد أخوه، وعبد الله بن سعد بن أبي سرح العامري، وحويطب بن عبد العزى العامري وأبو سفيان ابن حرب بن أمية، ومعاوية بن أبي سفيان، وجهيم بن الصلت بن مخرمة بن المطلب بن عبد مناف، ومن حلفاء قريش العلاء بن الحضرمي
কুরাইশদের মধ্যে পবিত্র দ্বীন ইসলামে প্রবেশ করেন এমন ১৭ জন ব্যক্তি ছিলেন, উনারা সবাই লিখতে জানতেন। উনারা হচ্ছেন- হযরত ওমর ইবনে আল-খাত্তাব, হযরত আলী ইবনে আবি তালিব, হযরত উসমান ইবনে আফফান, হযরত আবু উবাইদাহ ইবনে আল-জাররাহ, হযরত তালহা, হযরত ইয়াজিদ ইবনে আবি সুফিয়ান, হযরত আবু হুযায়ফাহ বিন উতবাহ বিন রাবিয়া, হযরত হাতিব বিন আমর, হযরত সুহাইল বিন আমর আল-আমিরির ভাই, হযরত আবু সালামাহ বিন আব্দুল-আসাদ আল-মাখজুমি, হযরত আবান বিন সাঈদ বিন আল-আসি বিন উমাইয়া, হযরত খালিদ বিন সাঈদ উনার ভাই, হযরত আবদুল্লাহ বিন সাদ বিন আবি সারহ আল-আমিরি, এবং হুওয়ায়তাব বিন আব্দুল-উজ্জা আল-আমিরি আবু সুফিয়ান ইবনে হারব ইবনে উমাইয়া, হযরত মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান এবং হযরত জুহাইম ইবনে আল-সালত বিন মাখরামা বিন আল-মুত্তালিব বিন আবদ মানাফ এবং কুরাইশদের অন্যতম মিত্র আল-আলা বিন আল-হাদরামি রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা (ফতহুল বুলদান ৪৫৩ পৃষ্ঠা; লেখক: আহমদ ইবনে ইয়াহিয়া ইবনে জাবির ইবনে দাউদ বালাজুরী, ওফাত: ২৭৯)
এছাড়া ফতহুল বুলদানের উক্ত অধ্যায়ে আরো অনেক আরবের লেখা ও পড়ার প্রচুর দলীল আছে। তাদের কাছে প্রশ্ন হলো, বুখারী শরীফের উক্ত হাদীছ শরীফ- ‘আমরা উম্মী জাতি, লিখতে জানি না, পড়তে জানি না, হিসাব জানি না’ এই অর্থ নিলে উপরোক্ত কুরাইশদের ফায়সালা কি হবে যারা প্রত্যেকে লিখতে ও পড়তে জানতেন?
২) বুখারী শরীফের হাদীছ শরীফে
لَا نَكْتُبُ وَلَا نَحْسُبُ
অর্থ যদি আমরা লিখতে পারি না, আমরা হিসাব করতে পারি না এভাবে করা হয় তাহলে পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ উনার ৮৬নং আয়াত শরীফসহ আরো কিছু আয়াত শরীফ উনার অর্থ কি হবে?
وَاللّٰهُ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ
‘আল্লাহ পাক জালিম জাতির হেদায়েত দিতে পারেন না। ’ এই অর্থ কি আল্লাহ পাক উনার শানে করা যাবে? আয়াত শরীফেতো لَا یَهۡدِی আছে। সবাই নিশ্চয়ই এক বাক্যে বলবে এই অর্থ গ্রহণযোগ্য না। এর অর্থ হবে আল্লাহ পাক জালিম জাতির হেদায়েত দেন না। তাই যদি হয় তাহলে এই হাদীছ শরীফে
لَا نَكْتُبُ وَلَا نَحْسُبُ
আমরা লিখতে পারি না, হিসাব করতে পারি না এরকম না করে আমরা লিখি না বা আমরা হিসাব করি না বলা হলে সেটা কি যৌক্তিক হবে না?
-খাজা মুহম্মদ নুরুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক প্রদান
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ বুলন্দী শান মুবারক
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছাহিবে কা’বা কাওসাইনে আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযিমুশ শান মি’রাজ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক (৩)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিআম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতহ মুবারক উনার বরকত ও ফযীলত (৪)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জান্নাতী ইমাম, সাইয়্যিদুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহনাওয়াসা আর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নযরে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি।
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)