নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ:
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১৪)
, ০৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
যারা উম্মী অর্থ নিরক্ষর করে তাদের মূল দলীল হচ্ছে বুখারী শরীফের একটি হাদীছ শরীফ। কিন্তু তারা একবারও হাদীছ খানা ফিকির করেছে?
৩) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লিখতে ও পড়তে পারতেন এর অনেক দলীল আমরা দিয়েছি। আজকে দেখবো হিসাব বিষয়ে কি আছে। বুখারী শরীফের এই হাদীছ শরীফে وَلَا نَحْسُبُ এর অর্থ যদি ‘আমরা হিসাব পারি না’ হয় তাহলে ফারায়েজের হাদীছ শরীফ গুলোর কি হবে? ছিহাহ ছিত্তার ফারায়েজ অধ্যায়গুলো খুলে দেখেন কেমন জটিল হিসাব। যেটা এখনও অনেক শিক্ষিত লোকও ঠিকমত পারে না, হিসাব না জানা থাকলে ফারায়েজ কিভাবে বললেন?
৪) বুখারী শরীফের হাদীছ শরীফ উনার এই অংশإِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ অর্থ ‘আমরা উম্মী জাতি’ করা হয়। তাদের দাবি হচ্ছে ‘আমরা’ দ্বারাতো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেকেও উম্মীর মধ্যে শামিল করেছেন। এই বিষয়টা পরিষ্কার করতে দুনিয়াবী কিছু উদাহরণ দিতে হবে। যেমন বাংলাদেশের কোন দেশ প্রধান নির্দিষ্ট কিছু মানুষের বীরত্বের কারণে বললো- ‘আমরা বাঙালী জাতি, আমরা বীরের জাতি। ’ এর মানে কি বাঙালী প্রতিটি মানুষই বীর? এমনকি উক্ত দেশ প্রধান নিজে বীর নাও হতে পারে। এখানে দেশ প্রধান জাতিকে নিজের সাথে সম্পৃক্ত করে বক্তব্যের গুরুত্ব বোঝাতে আমরা শব্দ ব্যবহার করেছে।
আবার অনেকে বলেন- ‘আমরা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছি, প্রয়োজনে আবার রক্ত দিবো। ’ বক্তা হয়তো কখনোই রক্ত দেন নাই কিন্তু জাতির বিষয়টা নিজের সাথে সম্পৃক্ত করে এমন বক্তব্য দেন যা আমরা হর হামেশা শুনি। আবার অনেক সময় কোন দল প্রধান আফসোস করে বলেন, ‘আমরা এত অলস আমাদের দ্বারা কিছু হবে না। ’ এখানে ঐ দল প্রধান দেখা যাবে সবচাইতে বেশি পরিশ্রমী এবং দলের অনেক সদস্যও পরিশ্রমী, কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল না আসায় অফসোস করে দলের সবাইসহ নিজেকে জড়িয়ে আমরা সবাই অলস এমন বলেছে।
অর্থাৎ কোন কওমের প্রতিনিধি অন্যদেরসহ নিজেকে সম্পৃক্ত করে বক্তব্য দিয়ে থাকেন বিষয়টার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য বা ফোকাস করার জন্য। অথচ দেখা যাবে বিষয়বস্তুর সাথে বক্তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। সুতরাং
إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ، لَا نَكْتُبُ وَلَا نَحْسُبُ
“আমরা উম্মী জাতি। লিখি না, হিসাব করি না” এর ভাবধারাও অনুরূপই হবে। এর দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্পৃক্ত করা যাবে না। উনার শানে লিখতে পারেন না, পড়তে পারেন না, হিসাব পারেন না এমন কুরুচিপূর্ণ কথা বলা যাবে না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্ষেত্রে এমন কোন শব্দ বলা যাবে না যা উনার শানের খেলাফ হয়। যদি এমন হয় তাহলে তার আমল বরবাদ হয়ে যাবে। এ কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্তক করে পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন-
لَّا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُم بَعْضًا
অর্থ: তোমরা পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাকো, সেভাবে মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করো না। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৩)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের সাথে সাংঘর্ষিক এমন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না, যেখানে ব্যাখ্যার অবকাশ আছে সেটা ব্যাখ্যাই করতে হবে; নফসানিয়াত খাটানো যাবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে বোঝার তাওফিক দান করুন। আমীন।
-খাজা মুহম্মদ নুরুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৫)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৪০)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৯)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরানী হুলিয়া মুবারক (৪র্থ পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৮)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












