নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ:
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১৮)
, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

উম্মী অর্থ নিরক্ষর করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারতেছেন। এ বিষয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা-
পবিত্র কুরআন শরীফে অন্যান্য আরো কিছু আয়াত শরীফ আছে তার শাব্দিক অর্থগুলো হচ্ছে-
হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম বলেছেন-
ربنا ظلمنا انفسنل
অর্থ: হে আমার রব! আমি নিজের প্রতি জুলুম করেছি। (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
হযরত ইউনূছ আলাইহিস সালাম বলেন-
اني كنت من الظالمين
অর্থ: নিশ্চয়ই আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি। (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৭)
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি এটা বলতে পারবে যে, আদম আলাইহিস সালাম জালিম ছিলেন ??? নাউযুবিল্লাহ!
তারা কি এটা বলতে পারবে যে, হযরত ইউনূছ আলাইহিস সালাম তিনি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ??? নাউযুবিল্লাহ!
তাহলে এ সকল আয়াত শরীফ উনার শাব্দিক অর্থ নিয়ে কি আল্লাহ পাক এবং উনার সম্মানিত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানী করা যাবে? নাকি তাভীল করতে হবে?
তাভীল কি?
صرف اللفظ عن المعنى الراجح إلى المعنى المرجوح لدليل يقترن به
কোনো প্রমাণের ভিত্তিতে শব্দের প্রধান অর্থ গ্রহণ না করে সম্ভাব্য অর্থ গ্রহণ করাকে তাভীল বলে। (তাফসীরে মাতুরীদী ১/১৮৩)
حمل الظاهر على المحتمل المرجوح
‘আয়াতের বাহ্যিক অর্থের পরিবর্তে সম্ভাব্য অর্থ গ্রহণ করাকে তাভীল বলে। ” (কানুনুত তাভীল ২৩৩)
তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যেখানে সরাসরি শব্দের অর্থ করলে বিকৃতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আক্বীদা বিচ্যুতির সম্ভাবনা থাকে সেখানে ব্যাখ্যামূলক অর্থ বা তাভীল করতে হয়।
এখন উম্মী অর্থ তারা ঢালাওভাবে নিরক্ষর করে থাকে। এই নিরক্ষর কি প্রকৃতপক্ষে ভালো কোন অর্থ বহন করে?
নিরক্ষর (বিশেষণ পদ) : অক্ষরজ্ঞানহীন, অশিক্ষিত, মূর্খ।
নিরক্ষর: Illiterate
নিরক্ষর: সাধারণত, যে ব্যক্তির কোনো অক্ষরজ্ঞান নেই সেই নিরক্ষর। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি কোনো ভাষাগত বর্ণমালার প্রয়োগ করে নিজের নাম লিখতে পারে না সে নিরক্ষর বা ওষষরঃবৎধঃব। আক্ষরিক অর্থে এদের মূর্খ বলা যায়।
বাংলা অভিধানে নিরক্ষর এর সংজ্ঞা: অক্ষরজ্ঞানহীন, বর্ণপরিচয়হীন, সম্পূর্ণ অশিক্ষিত।
সকল জ্ঞানের ভা-ার হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিরক্ষর এমন বিশেষণে সম্মোধন করে উম্মত হিসাবে তারা নিজেকে কিভাবে পরিচয় দেয়?
উপরে আলোচিত শব্দ ضالا/مكر/الظالمين এর লুগাতী মন্দ অর্থ ছাড়া ভালো কিছু না থাকার পরও এসবের ব্যাখ্যামূলক অর্থ নিতে হচ্ছে নইলে ঈমান থাকছে না, তাহলে উম্মী শব্দের একটি অর্থ নিরক্ষর হলেও এর আরো ভালো অনেকগুলো সমর্থক অর্থ যেমন- মূল, মা, সাইয়্যিদ, অভিভাবক, প্রধান, শ্রেষ্ঠ ইত্যাদি থাকার পরও সেগুলো নিচ্ছে না কেন?
অপর দিকে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের বিষয়ে সর্তক করে পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন-
لَّا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُم بَعْضًا
অর্থ: তোমরা একে অপরকে যেভাবে আহবান করো; আমার সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সেভাবে আহবান করো না। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৩)
তাহলে তারা কোন সাহসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে নিরক্ষর, অক্ষরজ্ঞানহীন, ‘আলিফ’-‘বা’-‘তা’ চিনতেন না এজাতীয় অপমানজনক কথা বলে থাকে?
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না যেটা বিন্দুমাত্রও উনার শানের খেলাফ হয়, কোন শব্দের যেখানে ব্যাখ্যার অবকাশ আছে সেটা ব্যাখ্যাই করতে হবে নফসানিয়াত খাটানো যাবে না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
্রمَا بَالُ أَقْوَامٍ طَعَنُوا فِي عِلْمِي لَا تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ فِيمَا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ السَّاعَةِ إِلَّا أَنْبَأْتُكُمْ بِهِগ্ধ
ঐ সকল লোকদের কি হলো যারা আমার ইলম নিয়ে প্রশ্ন করে? তোমরা কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে সে বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করো আমি জবাব দিয়ে দিবো। (তাফসীরে বাগবী ১/৫৪৫)
আহ! আফসোস তাদের জন্য যারা আজ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইলম মুবারক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। নাউযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক সবাইকে বোঝার তাওফিক দান করুন। আমীন।
-খাজা মুহম্মদ নুরুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে আপত্তি ও তার খন্ডনমূলক জবাব (১২)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের প্রতি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল কায়িনাত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও তা’যীমার্থে ক্বিয়াম শরীফ করা সুন্নত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে আপত্তি ও তার খন্ডনমূলক জবাব (১১)
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ যিয়ারত ও ঈমান মুবারক লাভ:
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে আপত্তি ও তার খন্ডনমূলক জবাব (১০)
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদেরকে সম্মানিত রহমত, বরকত, সাকীনাহ্ এবং বিশেষ দীদার মুবারক দান:
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে আপত্তি ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৯)
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে যালিম হওয়া সত্ত্বেও একজন শাসককে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলেন এবং তার শত্রুকে গায়িবী তীর দ্বারা নিশ্চিহ্ন করে দিলেন এবং ঘোষণা মুবারক দিলেন, ‘তুমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করেছো, তাই আমি তোমাকে রক্ষা করেছি। যদি তুমি আরো বেশি সম্মান করো, তাহলে আমি তোমার সম্মান আরো বাড়িয়ে দিবো। ’ সুবহানাল্লাহ!
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাযির-নাযির শান মুবারকটি পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে প্রমাণিত
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে আপত্তি ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে আপত্তি ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)