ডেঙ্গু হলে কি খাবেন ?
এডমিন, ১৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৮ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৭ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) স্বাস্থ্য

কি খাবেন
১। পানি শরীরের জন্য অপরিহার্য, বিশেষ করে যখন আপনি ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠছেন। পানিসহ অন্যান্য তরল মিলে সারা দিনে ৩ লিটার তরল নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য তরল যেমন তাজা ফলের শরবত (অবশ্যই বাসায় তৈরি), মুরগি বা সবজির স্যুপ দেওয়া যেতে পারে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা অন্তর, যা পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করবে।
২। তরল খাবারের ক্যালরি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কম পাওয়া যায়। তাই তরল খাবারের পাশাপাশি রোগীকে নরম খাবারও দিতে হবে, যা সহজে হজম হয়। যেমন জাউ ভাত, সুজি, সাগু, নরম কাঁটা ছাড়া মাছ ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বরের সময় প্রোটিনের চাহিদা বেড়ে যায়। শরীরের ক্ষয় পূরণ ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। দুধ, ডিম, মাছ, মুরগি, চর্বিহীন লাল গোশতে প্রোটিন আছে।
৩। ডেঙ্গু জ্বরের সময় প্লাটিলেটের সংখ্যা ও হিমোগ্লোবিন কমে যায়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং প্লাটিলেট তৈরি করতে শরীরের প্রচুর আয়রনের প্রয়োজন। কলিজা, ডিম, ডালিম, মিষ্টিকুমড়ার বিচি, বিট জুস, খেজুর, কিশমিশ, জলপাই, সবুজ শাকসবজি প্লাটিলেট ও হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
৪। অন্ত্র থেকে আয়রন শোষণের জন্য ভিটামিন সি–জাতীয় খাবার প্রয়োজন। এই ভিটামিন অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে বেশি পরিচিত। তাই কমলা, জাম্বুরা, আনারস, লেবু ও অন্যান্য টকজাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
৫। যদি জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া ও বমি হয়ে থাকে তবে শাকসবজি, ডাল, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এ সময় জাউ ভাত, কাঁচা কলার তরকারি খুবই উপকারী। প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ বা গোশত দেওয়া যেতে পারে। তখন তরল খাবার হিসেবে মুরগির স্যুপ, রাইস স্যুপ, আপেল জুস বা আপেল পিউরি দেওয়া যেতে পারে। ডাবের পানি ও ওরাল স্যালাইন ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
যা খাবেন না
অতিরিক্ত তেল–মসলাজাতীয় খাবার পাকস্থলীকে অ্যাসিডিক করে তোলে, তাই তা বর্জন করতে হবে। ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া খাবার, কাঁচা সবজি বা কাঁচা খাবার (যেমন সালাদ), অতিরিক্ত শক্ত খাবার ইত্যাদি পরিহার করা উচিত। কারণ ডেঙ্গু জ্বরে হেমোরেজ বা রক্তক্ষরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কফি তে থাকে ক্যাফেইন যা একটি ডাইইউরেটিক, যা শরীরকে পানিশূন্যতা করে। তাই এ সময় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।