প্রবল বন্যায় হিমাচলে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে
এডমিন, ৩০ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) বিদেশের খবর

হিমাচলে অত্যধিক বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হড়পা বান, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ধস বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে। নষ্ট হয়েছে অনেক সম্পত্তি।
পরিসংখ্যান বলছে, গত জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত হিমাচলে বৃষ্টির কারণে অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ হাজার বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
শুধু হিমাচল প্রদেশ নয়, উত্তরাখ-, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশেও বন্যা এ বছর অনেক ক্ষতি করেছে। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে, ধ্বংস হয়েছে অনেক সম্পত্তি এবং চাষের জমি। গোটা উত্তর ভারত জুড়েই তা-ব চালিয়েছে বর্ষা।
হিমাচল প্রদেশে বর্তমানে মোট ১৬৮টি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। তা থেকে প্রতি বছর ১০,৮৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০০টি প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
পানিবিদ্যুৎ উৎপন্ন করার সময় নদীগুলির স্বাভাবিক স্রোত বাধা পায়। বড় নদী মানুষের হস্তক্ষেপে সঙ্কুচিত হয়ে যায়। সরু হয়ে আসে তার গতিপথ। বৃষ্টি বেশি হলে নদীবাঁধে পানি বেড়ে যায়। সেই পানি উপচে প্লাবিত হয় আশপাশ।
নদীর তলদেশে পাহাড়ের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করায় পাহাড়ি নদীগুলির পানিধারণ ক্ষমতা কমে আসছে। এর ফলে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই নদী উপচে পড়ছে। পানি বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। যার ফলে বন্যা অনিবার্য হয়ে উঠছে।
এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভূমিধসপ্রবণ মহাদেশ। আর এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ধস হয় হিমালয়ের কোলে। বিশ্বের ২০ শতাংশ ভূমিধস হয় ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে।
পরিসংখ্যান বলছে, হিমাচল প্রদেশে মোট ১৭,১২০টি ধসপ্রবণ এলাকা আছে।