মুনাফিকরা নিজেরা তো মহান আল্লাহ
পাক উনার রাস্তায়, এই জিহাদ মুবারকে কিছুই
দান করেনি; বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যাঁরা সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতেন- উনাদেরকে নিয়ে
তারা কটাক্ষ করতো, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করতো। নাঊযুবিল্লাহ! তারা বিদ্রƒপ করে বলতো যে, ‘উনারা কি এই দু’চারটি খেজুর দান করে তথাকথিত বিশ্ব
শক্তি রোম সাম্রাজ্যকে পরাজিত করবেন! এমন অল্প কিছু দিয়েই কি উনারা বিশাল সাম্রাজ্য
জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছেন! নাঊযুবিল্লাহ!’
‘বুখারী শরীফ’-এ রয়েছে- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
গ্বরানীক্ব ও তৎসংশ্লিষ্ট ঘটনা এবং মুসলমানদের সাথে মুশরিকদের সিজদাহ্ বিষয়ে মাওযূ হাদীছ ও তার খ-নমূলক জবাব:
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আল বাকি অংশ পড়ুন...
সীরাতগ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে যে-
وَتُـعْرَفُ بِالْفَاضِحَةِ لِاِفْـتِضَاحِ الْمُنَافِقِـيْـنَ فِـيْـهَا
অর্থ: “তাবুকের সম্মানিত জিহাদে মুনাফিকদের নিফাক্বীর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিলো বিধায়, এই সম্মানিত জিহাদ اَلْفَاضِحَةُ (আল ফাদ্বিহাহ্) নামে প্রসিদ্ধ।” (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৪১৮, শারহুয যারক্বানী ২/৪০৪, ইমতা‘উল আসমা ৮/৩৯১, তারীখুল খমীস ২/১২২)
যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে সম্মানিত তাবুক জিহাদ মুবারকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি বাকি অংশ পড়ুন...
গরানীক্ব ও তৎসংশ্লিষ্ট ঘটনা এবং মুসলমানদের সাথে মুশরিকদের সিজদাহ্ বিষয়ে মাওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব:
শুরুতেই একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, ‘ক্বিছ্ছাতুল গরানীক্ব বা গরানীক্বের ঘটনা’ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ একটি বাতিল, মাওযূ, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বর্ণনা।
আল্লামা হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বীয় তাফসীরগ্রন্থে উপরোক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন,
اَمَّا اَهْلُ التَّحْقِيْقِ فَقَدْ قَالُوْا هٰذِهِ الرِّوَايَةُ بَاطِلَةٌ مَوْ বাকি অংশ পড়ুন...
গ্বরানীক্ব ও তৎসংশ্লিষ্ট ঘটনা এবং মুসলমানদের সাথে মুশরিকদের সিজদাহ্ বিষয়ে মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব:
শুরুতেই একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, ‘ক্বিছ্ছাতুল গ্বরানীক্ব বা গ্বরানীক্বের ঘটনা’ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ একটি বাতিল, মওযূ, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বর্ণনা।
এই সকল বাতিল, মওযূ, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বর্ণনাগুলোকে সঠিক প্রমাণ করতে যেয়ে কেউ কেউ বুখারী শরীফ উনার ‘কিতাবুত তাফসীরে’ উল্লেখিত একটি মওযূ হাদীছ দ্বারা দলীল দিয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
(গত পর্বের পর)
পূর্বে উল্লেখিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত আবূ সাঈদ ইবনে মু‘আল্লা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত আহবান মুবারক করেছিলেন উনারা পবিত্র নামাযে থাকার কারণে উনার সম্মানিত আহবান মুবারক-এ সাড়া দেননি। বিষয়টা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পেশ করা হলে বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত তাবুক প্রান্তর এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি উপত্যকার নাম ‘আক্বাবা’। এই উপত্যকার উচ্চভূমির পথ ছিলো কঠিন ও দুর্গম, যা ‘আক্বাবা’ নামে পরিচিত। অপরদিকে, তার নিম্নভূমি ছিলো সমতল, সহজ ও সুগম- যেটি ‘বাতনুল ওয়াদী’ নামে পরিচিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত তাবুক জিহাদ মুবারক থেকে ফেরার পথে কিছু অভিশপ্ত মুনাফিক্ব উনার বিরুদ্ধে এক জঘন্য ষড়যন্ত্র করে। এক বর্ণনা মতে-
اَجْـمَعُوْا اَنْ يَّـقْتُـلُوْهُ
‘তারা সম্মলিতভাবে একমত হয় যে, নূর বাকি অংশ পড়ুন...












