হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হাক্বীক্বত গোপন রেখেই মুরীদের আত্মার চিকিৎসা করে নানাভাবে তা’লীম-তরবিয়ত দান করেন। আর সেক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাবতীয় নিয়ামত লাভের উপযোগী করে নিয়ামত দানে পুঞ্জিভূত করে থাকেন।
সুতরাং, কামিল শায়েখ বা উলিল আমরগণ যে বিষয়ে আদেশ-নিষেধ করুন না কেন তা সঠিকভাবে পালন করাই হচ্ছে পূর্ণ আনুগত্যতার বহিঃপ্রকাশ। কেননা আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত খাব্বাব ইবনে আরত রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন, হযরত খাব্বাব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি পেশাগত দিক দিয়ে দা-বঠি, ছুরি-তরবারী ইত্যাদি তৈরিতে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। আস ইবনে ওয়াইল নামক কাট্টা মুশরিক একসময় উনার দ্বারা বাকীতে কিছু কাজ করালো। পরে যখন তিনি উনার প্রাপ্য পারিশ্রমিক চাইলেন, তখন উনাকে আস ইবনে ওয়াইল কঠোর ভাষায় বললো, ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে আপনি সম্মানিত ঈমান এনেছেন যতক্ষণ তা অস্বীকার না করবেন; তত বাকি অংশ পড়ুন...
বলা হয়; গাউসুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কারামত মুবারক এতবেশী ছিলো, যা লিখা ও বর্ণনার বাইরে। যার মধ্যে মিথ্যা ও বানোয়াঁটির লেশ মাত্র নেই। কেননা উনার পুরো অস্তিত্বটাই ছিলো কারামতের সাথে সম্পৃক্ত। উনার কারামত মুবারক সম্পর্কে এ ধরণের বর্ণনা আছে যে, তিনি বিলাদত শরীফের পর পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দিনের বেলায় উনার আম্মাজান উনার দুধ মুবারক পান করতেন না। যার দরুণ মানুষের নিকট এই বিস্ময়কর ঘটনা এরকম মশহুর হয়ে গেছে যে, ওমুক সম্ভ্রান্ত পরিবারে এমন এক ভাগ্যবান শিশু জন্ম গ্রহণ করেছেন, যিনি নাকি পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দি বাকি অংশ পড়ুন...
حِزْبُ اللهِ (হিয্বুল্লাহ) অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত দল, মত, পথ, পদ্ধতি, শরীয়ত, পন্থা, নিয়ম-নীতি ইত্যাদি।
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
(২২৫)
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ. وَمَنْ يَتَوَلَّ اللهَ وَرَسُولَهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا فَإِنَّ حِزْبَ اللهِ هُمُ الْغَالِبُونَ.
অর্থ: তোমাদের বন্ধুতো মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মু’মিনগণ। মু’মিন উনারা ছলাত কায়িম করেন, যাকাত দেন এবং বিনয়-নম্রতা সম্পন্ন। আর যাঁ বাকি অংশ পড়ুন...
আর যেটা মূল অর্থ মুসলমান শব্দের। মুসলমান শব্দের অর্থ কি?
كردان نهادن بطاعت
আনুগত্যের সহিত আত্মসমর্পন করা। একটা চোরকে যখন পুলিশে ধরে, চোরের হাত বাঁধা থাকে। চোর সুযোগ খুঁজতে থাকে পালানোর জন্যে। কিন্তু মুসলমান তদ্রƒপ নয়। মুসলমান গরমের দিনেও রোযা রাখলে পানিতে ডুব দিয়ে পানি পান করে না। মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আনুগত্যতার সাথে আত্মসমর্পণ করে।
কাজেই ঠিক এই যে তাকওয়াটা অর্জন করতে হবে সেটাই আল্লাহওয়ালা লোকদের ছোহবত ইখতিয়ার করার বদৌলতেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে এই নিয়ামত দান করবেন।
এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম মহাসম্মানিত, মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফ।
আজ কুল কায়িনাতের যিনি নবী ও রসূল, যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
এ দিন খুশী প্রকাশের দিন। মর্যাদার সঙ্গে, মুহব্বতের সঙ্গে, আন্তরিকতার সাথে যিনি এই নিয়ামতপূর্ণ দিন পালন করবেন, তিনি নিশ্চিত মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মু বাকি অংশ পড়ুন...
১৩. حزب الشيطان (হিযবুশ শাইত্বান): অর্থ, ইবলীস শয়তানের দল, পথ ও মত ইত্যাদি।
‘হিযবুশ শাইত্বান’-এর শরয়ী সংজ্ঞা:
(৪২)
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
استحوذ عليهم الشيطان فانسهم ذكر الله اولئك حزب الشيطان الا ان حزب الشيطان هم الخسرون.
অর্থ: শয়তান তাদেরকে (কাফির, মুনাফিক, মিথ্যুক ও যালিমদেরকে) বশীভূত করে নিয়েছে অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির থেকে ভুলিয়ে দিয়েছে। তারাই হিযবুশ শাইত্বান বা ইবলীস শয়তানের দল। সাবধান! শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত। (পবিত্র সূরা মুজাদালাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
উক্ত আয়াত শরীফ উনার ভিত্তিতে হিযবুশ শয়তানের সংজ্ঞা নিম্নরূপ; বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- হযরত হানাশ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে দু’টি দুম্বা কুরবানী করতে দেখলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম এটা কি? (দু’টি কেন?) জবাবে তিনি বল বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকে পবিত্র কুরবানী দেয়ার হুকুম সম্পর্কে জানতে চাই।
জাওয়াব:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلِيْهِ السَّلَامُ يُضَحِّى بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ مَا هٰذَا فَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَاِنْى اَنْ اُضَحِّى عَنْهُ فَانَا اُضَحِّى عَنْهُ.
অর্থ : “হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে দুটি দুম্বা কুরবানী করতে দেখ বাকি অংশ পড়ুন...
এতে যেমন কুরবানীদাতার কুরবানী নিশ্চিতরূপে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ কবুল ও মঞ্জুর হবে, সাথে সাথে এ জন্য বিশেষ ফযীলত, বারাকাত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত, রহ্মত, মাগফিরাত, নাযাত সর্বপোরি মহান আল্লাহ্ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করাও সহজ এবং সম্ভব হবে।
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- হযরত হানাশ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে দু’টি দুম্বা কুরবানী করতে দেখলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম এটা কি? (দু’টি কেন?) জবাবে তিনি বল বাকি অংশ পড়ুন...












