ফতওয়া
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৮)
, ২৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৪ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) ফতওয়া বিভাগ
১৩. حزب الشيطان (হিযবুশ শাইত্বান): অর্থ, ইবলীস শয়তানের দল, পথ ও মত ইত্যাদি।
‘হিযবুশ শাইত্বান’-এর শরয়ী সংজ্ঞা:
(৪২)
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
استحوذ عليهم الشيطان فانسهم ذكر الله اولئك حزب الشيطان الا ان حزب الشيطان هم الخسرون.
অর্থ: শয়তান তাদেরকে (কাফির, মুনাফিক, মিথ্যুক ও যালিমদেরকে) বশীভূত করে নিয়েছে অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির থেকে ভুলিয়ে দিয়েছে। তারাই হিযবুশ শাইত্বান বা ইবলীস শয়তানের দল। সাবধান! শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত। (পবিত্র সূরা মুজাদালাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
উক্ত আয়াত শরীফ উনার ভিত্তিতে হিযবুশ শয়তানের সংজ্ঞা নিম্নরূপ;
“তাওহীদ, রিসালাত, নুবুওওয়াত, বিলায়াত এক কথায় পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, পবিত্র ইজমা, পবিত্র ক্বিয়াস, পবিত্র শরীয়ত, পবিত্র মা’রিফত ইত্যাদি সন্তুষ্টির পথের বিপরীত যে পথের অবস্থান সে পথকেই ‘হিযবুশ শাইত্বান’ বা ইবলীস শয়তানের পথ বলা হয়।
১৪. حبل الله (হাবলুল্লাহ): حبل শব্দটি একবচন। এর বহুবচন حبال وحبول واحبل واحبال মুরক্কাবে ইদ্বাফী এই বাক্যটির অর্থ হলো: মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে রজ্জু, নিয়ম-নীতি, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র দ্বীন ইসলাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাবলুল্লাহ উনার পরিচিতি:
(৪৩)
واعتصموا بحبل الله جميعا ولاتفرقوا.
অর্থ: তোমরা সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার রজ্জুকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)
নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, حبل الله হাবলুল্লাহ হচ্ছেন, হাবীবুল্লাহ নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনিত পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র শরীয়ত, পবিত্র দ্বীন ইসলাম, মা’রিফত ও যাবতীয় হক্ব পথ উনার বিধানাবলী।
অতএব, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার যাবতীয় বিধানাবলী এবং বিধান বিশেষজ্ঞগণ উনাদের পথই হচ্ছে হাবলুল্লাহ।
১৫. الاسلام (আল ইসলাম): এ শব্দটি বাবে افعال এর মাছদার বা ক্রিয়ামূল। سلم মাদ্দাহ বা মূল ধাতু থেকে নির্গত। এর শাব্দিক অর্থ: অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, নিরাপত্তা দান, শিরধার্য করা, বিনয় প্রকাশ করা, আনুগত্যতার সাথে আত্মসমর্পন করা, শান্তি, ইত্তিবা, পবিত্র ইসলাম পালন করা ইত্যাদি।
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ‘পবিত্র ইসলাম’-উনার পরিচিতি:
(৪৪)
ان الاسلام هو الخضوع والانقياد بمعنى قبول الاحكام والاذعان بـها.
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাবতীয় বিধান গ্রহনার্থে এবং ঐগুলোর প্রতি আনুগত্য স্থাপন উদ্দেশ্যে বশ্যতা শিকার করাকে ‘পবিত্র ইসলাম’ বলা হয়। (শরহুল আক্বায়িদিন নাসাফিয়্যাহ ১২৮ পৃষ্ঠা)
(৪৫-৪৬)
الاسلام: فى الدر الـمختار هو تصديق سيدنا محمد صلى الله عليه وسلم فى جميع ما جاء به عن الله تعالى مـما علم مجيئه ضرورة.
অর্থ: ‘আদ দুররুল মুখতার’ কিতাবে উল্লেখ আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, সাইয়্যিদুনা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান রব তায়ালা উনার কাছ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে ঐসব কিছুর প্রতি তাছদীক্ব বা বিশ্বাস স্থাপন করা (মেনে নেয়া) কে পবিত্র ইসলাম বলে। (আত তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ ১৭৭ পৃষ্ঠা, আদ দুররুল মুখতার শরহু তানযীরিল আবছার)
(৪৭-৪৮)
الاسلام اظهار الـخضوع والقبول لـما اتى به سيدنا رسول الله صلى الله عليه وسلم.
الاسلام من الشريعة: اظهار الخضوع واظهار الشريعة والتزام ما اتى به النبى صلى الله عيه وسلم.
অর্থ: ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা কিছু নিয়ে এসেছেন তার প্রতি বিনয় প্রকাশ করা ও আনুগত্যতার সাথে গ্রহণ করাকে ‘পবিত্র ইসলাম’ বলে। (লিসানুল আরব লিইবনি মানযূর ৪র্থ খ- ২০৮০ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল মায়ারিফ, আল মু’জামুল ওয়াসীত্ব) (মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে সংকলিত। ) (চলবে)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












