ফতওয়া
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩৩)
, ১৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১২ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) ফতওয়া বিভাগ
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
(২৪৫)
وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ.
অর্থাৎ, যাঁরা সর্বপ্রথম মুহাজিরীন (হিজরতকারী) ও আনছার (হিজরতকারী উনাদেরকে সাহায্যকারী) হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে অগ্রগামী এবং পরবর্তীতে উত্তমভাবে উনাদেরকে যাঁরা (ইমাম, মুজতাহিদ, উলামা-আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিম) অনুসরণ করেছেন; মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, আর উনারাও উনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের জন্য এমন জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত আছে, উনারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবেন। এটাই হলো মহান সফলতা। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০০)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি তিন শ্রেণীর মহান ব্যক্তিত্ব উনাদের প্রতি যে সন্তুষ্ট রয়েছেন সে বিষয়টি ঘোষণা করেছেন। উনারা হলেন- অগ্রগামী হযরত মুহাজিরীন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, অগ্রগামী হযরত আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও উলিল্ আমর তথা হযরত ইমাম, মুজতাহিদ, উলামা-আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিম। সুবহানাল্লাহ!
মূলত: এ সুমহান মর্যাদা উনারা পেয়েছেন ছোহবত ও ইত্তিবা তথা অনুসরণ-অনুকরণ উনাদের মাধ্যমে। আর ইহাই তো ‘আত-তাক্বলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়ত সমর্থিত অনুসরণ’। সুবহানাল্লাহ!
(২৪৬)
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ.
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
এখানে সঙ্গী হওয়ার অর্থ হলো- তোমরা উলিল আমর অর্থাৎ সত্যবাদী, ইমাম, মুজতাহিদ, উলামায়ে কিরাম ও আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত অর্জন করো এবং উনাদেরকে অনুসরণ করো। আর ইহাই ‘আত-তাক্বলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়ত সমর্থিত অনুসরণ’। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
(২৪৭)
اَلرَّحْمَنُ فَاسْأَلْ بِهِ خَبِيرًا.
অর্থ: তিনিই রহমান। উনার সম্পর্কে যিনি অবগত, উনাকেই জিজ্ঞাসা করুন। (পবিত্র সূরা ফুরক্বান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯)
এখানে যাঁকে বা যাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করতে বলা হয়েছে তিনি বা উনারা হলেন উম্মাতের মধ্যে হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কিরাম, আউলিয়ায়ে কিরাম, ইমাম, মুজতাহিদ, ফক্বীহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। আর ইহাই ‘আত-তাক্বলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়ত সমর্থিত অনুসরণ’। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
(২৪৮-২৫০)
عن اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضى الله عنه يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ يَقُولُ: انَّ أُمَّتِى لاَ تَجْتَمِعُ عَلى ضَلاَلَةٍ، فَاذَا رَايْتُمُ اخْتِلاَفًا فَعَلَيْكُمْ بِالسَّوَادِ الاعْظَمِ.
অর্থ: বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, নিশ্চয়ই আমার প্রকৃত উম্মত উনারা গুমরাহীর উপর একমত হবেন না। যখন তোমরা উনাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখতে পাবে, তখন তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হলো বড় দল অর্থাৎ আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ উনাদের অনুসরণ করা। (সুনানে ইবনু মাজাহ কিতাবুল ফিতান বাবুস্ সাওয়াদিল আ’যম লেখক: হযরত ইমাম ইবনু মাজাহ আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ বিন ইয়াযীদ ক্বাযবীনী হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত মুবারক: ২৭৩ হিজরী, মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, মিশকাতুল মাছাবীহ)
এখানে ‘আস-সাওয়াদুল আ’যম তথা বড় দল’ বলতে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ উনার অনুসারীদেরকে বুঝানো হয়েছে। এই দলটিই মূলত: হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী মাযহাব উনার হক্কানী-রব্বানী ইমাম, মুজতাহিদ ও উলামা কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উনাদেরকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আর ইহাই ‘আত-তাক্বলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়ত সমর্থিত অনুসরণ’। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে অসংখ্য দলীল-আদিল্লাহ রয়েছে। আসল কথা হলো- শরীয়তসম্মত অনুসরণ ছাড়া আর কোন অনুসরণ জায়িয নেই।
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে সংকলিত। ) (চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩২)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












