ফতওয়া
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
, ১৯ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৩ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ১১ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) ফতওয়া বিভাগ
(১৯৮-১৯৯)
ارتحل الى مذهب الشافعي يعزّر. سراجية.
অর্থ: যে ব্যক্তি (ব্যক্তিগত স্বার্থে সুযোগ সন্ধানীর মতো) নিজ মাযহাব পরিত্যাগ করে শাফিয়ী মাযহাব গ্রহণ করে সে শাস্তির উপযুক্ত। অনুরূপ ‘সিরাজিয়াহ’ কিতাবে উল্লেখ আছে। (আদ্ দুররুল্ মুখতার শরহে তানউয়ীরুল্ আবছার ফী ফিকহিল্ মাযহাবিল্ ইমাম আবী হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি: আল্লামা ফক্বীহ ইমাম মুহম্মদ আলাউদ্দীন বিন্ আলী হাছ্কাফী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১০৮৮ হিজরী অধ্যায়: হুহূদ পরিচ্ছেদ: তা’যীর ৬ষ্ঠ খন্ড ১৩২ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়াহ বাইরূত লিব্নান, সিরাজিয়াহ, ফতয়ায়ে ছিদ্দীকিয়া: মাহবূবে ছুবহানী, কুতুবে রব্বানী, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, দাফিউল্ বিদ্য়াত, রাহবারে মিল্লাত, আমীরুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীকত, আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা শাহ্ ছূফী নিছারুদ্দীন আহমদ ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি চতুর্থ অধ্যায় ২২১ পৃষ্ঠা, আদ্ দুররুল্ মুখতার শরহে তানউয়ীরুল্ আবছার, সিরাজিয়াহ)
(২০০)
حكى ان ابا حفص ابن عبد الله بن ابى حفص الكبير البخارى ارتحل الى مذهب الشافعى رحمة الله عليه لكثرة الشفعوية فامر بالتعزير و نفى عن البلدة.
অর্থ: নিশ্চয়ই আবূ হাফ্ছ বিন্ আব্দুল্লাহ বিন্ আবূ হাফ্ছ কবীর বুখারী (অর্থাৎ হযরত আবূ হাফ্ছ কবীর বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পুত্র আব্দুল্লাহ আর আব্দুল্লাহ উনার পুত্র আবূ হাফ্ছ এ ব্যক্তি তার এলাকায়) শাফিয়ীগণের আধিক্য বশত: নিজ মাযহাব ত্যাগ করে শাফিয়ী মাযহাব গ্রহণ করেছিলেন, এ কারণে তার প্রতি শাস্তি ও দেশত্যাগের আদেশ জারী করা হয়েছিলো। (সিরাজিয়াহ তা’যীর অধ্যায়)
(২০১-২০৩)
‘ইয়াম্বু’ কিতাবে ‘শিফায়ে ইয়াজ’ কিতাব থেকে উল্লেখ রয়েছে-
وفى الشفاء للعياض يتاكد عليك غاية التأكيد الذى لا رخصة فيه ان لا تفضل بعض المذاهب على بعض تفضيلا يودى الى تنقيض المفضل عليه فان ذلك يودى المقت والخزى فى الدنيا و الاخرة وسيأتى عن الله انه قال من اذى لى وليا فقد اذنته للحرب وعلماء المسلمين العاملين كلهم اولياء الله تعالى غير شك ولا ريب وكثير ما يودى لتفيل الى الخصام القبيح بين السفهاء ومن لا خلو قلهم ولا تقواى الى ان يظهر من بعضهم قبيح الا صبية وحميبة الجاهلية اه.
অর্থাৎ তোমাকে সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে যে, কোনও মাযহাবকে এরূপ সম্মান দেখাবে না যাতে একটির চেয়ে অপরটি নিকৃষ্ট প্রমাণ হয়। এরূপ কাজ দুনিয়া ও আখিরাতে আযাব ও গ্লানীর উপযুক্ত করে। মহান আল্লাহ পাক বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার কোন প্রিয়জনকে কষ্ট দিয়েছে, তাকে আমি যুদ্ধের জন্য আহ্বান করতেছি এবং নিঃসন্দেহে বাআমল আলিমগণ সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী (পরস্পর মাযহাবের মধ্যে তুলনা করতে যেয়ে লোকে ওলী আওলিয়াগণের প্রতি দোষারোপ করে থাকে) এবং দ্বীনি জ্ঞানহীন ইতর স্বভাবের লোকের মধ্যে অতি জঘণ্য ঝগড়া কলহের সূত্রপাত হয়ে এমনকি এতে মুর্খজনোচিত অহঙ্কার ও অহমিকার পরিচয় পাওয়া যায়। ” (ফতোয়ায়ে ছিদ্দীকিয়া: মাহবূবে ছুবহানী, কুতুবে রব্বানী, মুহ্ইউস্ সুন্নাহ, দাফিউল্ বিদ্য়াত, রাহবারে মিল্লাত, আমীরুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীকত, আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা শাহ্ ছূফী নিছারুদ্দীন আহমদ ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি চতুর্থ অধ্যায় ২২১-২২২ পৃষ্ঠা, শিফায়ে ইয়াজ, ইয়াম্বু)
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে সংকলিত। ) (চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (১৯)
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












