পার্থিব ধন-সম্পদ কিংবা দুনিয়াবী পদমর্যাদা প্রভৃতির জন্য আশা-আকাঙ্খা করা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে দ্বীনি ইল্ম অর্জন, জিহাদে অংশগ্রহণ ইত্যাদি নেক কাজের আকাঙ্খা নিন্দনীয় নয়; বরং প্রশংসনীয়। অতএব বলা যায়, আশা-আকাঙ্খার ভাল-মন্দ উভয় দিক রয়েছে। অত্র প্রবন্ধে কেবল মন্দ বা অবৈধ আকাঙ্খা সম্পর্কে আলোকপাত করা হচ্ছে; যা প্রকৃতপক্ষে কাফির-মুশরিকদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন- এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
ذَرْهُمْ يَا বাকি অংশ পড়ুন...
৩৪ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক نُوْرُ الْعِلْمِ مُبَارَكٌ নূরুল ইল্ম মুবারক
৩৫ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক نُوْرُ الْاَطْهَرِ مُبَارَكٌ নূরুল আত্বহার মুবারক
৩৬ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘাড় মুবারক نُوْرُ النُّبُوَّةِ مُبَارَكٌ নূরুন নুবুওওয়াহ্ মুবারক
বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৭৩. প্রসঙ্গ : ধূমপান করা হারাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : ধূমপান করা মুবাহ।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : ধূমপানের মাসয়ালাটি মূলতঃ ক্বিয়াসী মাসয়ালা। ইমাম-মুজতাহিদগণ উনারা মূলতঃ কাঁচা পিয়াজ ও কাঁচা রসুন এর সাথে ক্বিয়াস করে ধূমপানের ফায়ছালা দিয়েছেন। হাদীছ শরীফ-এ কাঁচা পিয়াজ ও রসুন খেতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে দুর্গন্ধ রয়েছে। তাই ফক্বীহগণ উনারা কাঁচা পিয়াজ ও কাঁচা রসুন খাওয়াকে মাকরূহ তানযীহী বলে ফতওয়া দিয়েছেন। ধূমপানের দূর্গন্ধ যেহেতু পিয়াজ-রসুনের চেয়েও বেশী, তাই ফক্বীহগণ ধূমপান করাকে মাকরূহ তাহরীমী বল বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫১তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১১তম বছর):
* এ বৎসর সম্মানিত উমরাহ্ মুবারক উনার সময় ভিনদেশী বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিত্ব মুবারক উনারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
* এ বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (সোমবার রাতে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হন। সুবহানাল বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩৯তম বৎসর মুবারক:
* নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রাত-দিন সম্মানিত ও পবিত্র হেরা গুহা মুবারক উনার মধ্যে সম্মানিত ইবাদত-বন্দেগী মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সত্য স্বপ্ন মুবারক প্রকাশিত হন। ঘুমের মধ্যে যা দেখতেন, সকালে তা ভোরের আলোর ন্যায় প্রকাশ পেতেন। সুবহানাল্লাহ! উনাকে পাথর ও গাছ-পালা সালাম দিতো ইত্যাদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘটনা মুবারক প্রকাশিত হন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ম বৎসর মুবারক:
* নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুতাবেক মহাসম্মানিত ১০ম বৎসর মুবারক এবং পূর্বেও অত্যন্ত এতমিনানের সাথে কায়িনাতবাসী সবাইকে বকরি চারানোর তা’লীম দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
* এ বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রজবুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪র্থ বৎসর মুবারক:
* নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুতাবেক কায়িনাতবাসী সবাইকে মহাসম্মানিত তা’লীম মুবারক দান করার জন্য উনার মহাসম্মানিত দুধ ভাই-বোন উনাদের সাথে চারণভূমিতে বকরি চরানো দেখতে যেতেন এবং অত্যন্ত এতমিনানের সাথে চরানো দেখতেন। সুবানাল্লাহ!
* প্রথমবারের মতো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইল্ম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক) চাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক প্রকাশিত হন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
৩৪ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক نُوْرُ الْعِلْمِ مُبَارَكٌ নূরুল ইল্ম মুবারক
৩৫ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক نُوْرُ الْاَطْهَرِ مُبَارَكٌ নূরুল আত্বহার মুবারক
৩৬ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘাড় মুবারক نُوْرُ النُّبُوَّةِ مُبَارَكٌ নূরুন নুবুওওয়াহ্ মুবারক
বাকি অংশ পড়ুন...
ছহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা শূরা শরীফ উনার ২৩নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়ার মুহব্বত মানুষকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণ থেকে গাফিল করে রাখে। কাজেই প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উচিত দুনিয়ার মুহব্বত অন্তর থেকে দূর করে দেয়া। দুনিয়ার নিকৃষ্টতা সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَمَا الْـحَيَاةُ الدُّنْيَا اِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ
অর্থ : দুনিয়া অর্থাৎ পার্থিব জীবন ধোঁকা বা প্রতারণার উপকরণ ব্যতীত কিছু নয়। (পবিত্র সূরা হাদীদ : আয়াত শরীফ ২১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবা বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত (সংসর্গ) ক্রিয়া করে:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَطَاءٍ الْـخُرَاسَانِىْ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَصَافَحُوْا يَذْهَبِ الْغِلُّ وَتَـهَادَوْا تَـحَابُّوْا وَتَذْهَبِ الشَّحْنَاءُ.
অর্থ: হযরত আতা খুরাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পরস্পর মুছাফাহা করো। এতে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়, মনের কালি দূর হয়। একে অন্যকে হাদিয়া দাও। এতে মুহব্বত গভীর হয় এবং হিংসা-বিদ্বে বাকি অংশ পড়ুন...












