জিহাদে অংশগ্রহণ:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সর্বপ্রথম খন্দকের জিহাদে অংশ গ্রহণ করেন। খন্দকের জিহাদের পরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সকল জিহাদেই তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত আমলে বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ ও জাবিয়া বিজয়ে তিনি অন্যতম অংশীদার ছিলেন। তিনি নিহাওয়ান্দ বিজয়েও অংশগ্রহণ করেছিলেন। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
ইমামুল আউওয়াল, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার খিল বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ سَمِعَ اِسْمِيْ فِي الْاٰذَانِ وَهُوَ وَضَعَ اِبْـهَامَيْهِ عَلٰى عَيْـنَـيْهِ فَاَنَا طَالِبُهٗ فِيْ صُفُوْفِ الْقِيَامَةِ وَقَائِدُهٗ اِلَى الْجَنَّةِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি আযানের মধ্যে আমার মহাসম্মানিত নাম মুবারক শুনলো এবং তার উভয় অঙ্গুলী দু’চোখের উপর রাখলো, আমি তাকে কিয়ামতের দিন কাতারের মধ্যে তালাশ করবো এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবো। (ছলাতে নখশী)
বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বীন ইসলাম গ্রহণ:
অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মদীনা শরীফে তাশরীফ মুবারক রাখলেন, আমি তখন বাগানে খেজুর পাড়ছিলাম, আর আমার ফুফু খালিদা বিনতুল হারিছ খেজুর কুড়াচ্ছিলেন। এই সময় ইয়াহুদী গোত্র বনু নাদ্বীরের এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলতে লাগলো, আরবের অধিকারী ব্যক্তি আজ এসে গেছেন। এ কথা শুনে আমি কাঁপতে শুরু করলাম এবং জোরে তাকবীর দিলাম। আমার বৃদ্ধা ফুফু আমার এ অবস্থা দেখে বললেন, ওরে খবীছ! তোমার যা হাল হয়েছে, হযরত মূসা ইবনে ইমরান আলাইহিস সালাম তিনিও যদি আসতেন, তা হলেও উনার চেয়ে বে বাকি অংশ পড়ুন...
মূলত: মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত পূর্ণাঙ্গ মনোনীত জীবন ব্যবস্থাকে পবিত্র ইসলাম বলা হয়। আর যিনি পবিত্র ইসলাম উনাকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে মেনে নেন উনাকে মুসলিম বলা হয়।
৬. دين (দ্বীন): শব্দটি একবচন, এর বহুবচন اديان আদইয়ান। দ্বীন শব্দটিও মাযহাব শব্দের সমার্থবোধক। মাযহাব শব্দটির মতোই দ্বীন উনার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- দ্বীন, আক্বীদাহ, ইসলাম, বিশ্বাস, ধার্ বাকি অংশ পড়ুন...
(গত পর্বের পর)
সেই রাত্রে ঐ কাজী সাহেব
স্বপ্নে দেখতেছে, সে জান্নাতে গেছে। জান্নাতে গিয়ে দেখতেছে সেখানে অনেকগুলি বড় বড়
বালাখানা তৈরী করা হচ্ছে। সেখানে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও আছেন। সেই
কাজী সাহেব জিজ্ঞাসা করতেছে এখানে কি করা হচ্ছে? এখানে বড় বড় জান্নাতী বালাখানা তৈরী করা হচ্ছে। কাদের জন্য? এটা মুসলমানদের জন্য। তখন
কাজী সাহেব সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার কাছে গেলো। গিয়ে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাব বাকি অংশ পড়ুন...
যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে, সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি থাকবেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ وَّيَبْقٰى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْـجَلٰلِ وَالْاِكْرَامِ
অর্থ: “সারা কায়িনাতের সমস্ত কিছু ফানা বা ধ্বংস হয়ে যাবে। একমাত্র আপনার মহামহিম ও মহানুভব রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ মুবারক বাক্বা বা স্থায়ী থাকবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬-২৭)
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অবমাননা এবং মুসলিমবিদ্বেষ তথা মুসলমানদের উগ্রবাদী, দেশবিরোধী এবং সন্ত্রাসবাদী হিসেবে প্রদর্শন করা নতুন কোনো বিষয় নয়। ভারতের বর্তমান সরকার এবং ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি টিকেই আছে মুসলিমবিদ্বেষের প্রচার-প্রসার করে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَـلِـىٍّ كَرَّمَ الله وَجْهَه عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرْبَـعَةٌ اَنَا لَـهُمْ شَفِيْعٌ يَّـوْمَ الْقِيَامَةِ الْـمُكْرِمُ لـِذُرِّيَـتِـىْ وَالْقَاضِىْ لَـهُمْ حَوَائِجَهُمْ وَالسَّاعِىْ لَـهُمْ فِـىْ اُمُوْرِهِمْ عِنْدَ اضْطِرَارِهِمْ اِلَيْهِ وَالْمُحِبُّ لَـهُمْ بِقَلْبِهٖ وَلِسَانِهٖ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
لاَ تَزُولُ قَدَمَا ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ عَنْ عُمْرِهِ فِيمَا أَفْنَاهُ وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَا أَبْلاَهُ وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ
অর্থ: কিয়ামতের দিনে হাশরের ময়দানে কোনো আদম সন্তান পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এক কদমও নড়তে পারবে না। সে প্রশ্ন ৫টি হলো:
১) জীবনটা কী কাজে শেষ করেছে?
২) যৌবনকাল কী কাজে লাগিয়েছে?
৩) কোন পথে আয় করেছে?
৪) কোন পথে ব্যয় করেছে?
৫) নিজের ইলিম অনুযায়ী কি আমল করেছে? (তিরমিযী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...












