বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছ আল্লামা হাকীম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “নাওয়াদিরুল উছূল” কিতাবে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হযরত হাকীম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “নাওয়াদিরুল উছূল” কিতাবে হযরত যাকওয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন, “নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতেও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”
ইমামুল মুহাদ্দিছীন, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্ বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদেরকে (সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিনগুলো সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দি বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মূলতঃ আবহমানকাল হতে যারা খাছ ও খাঁটি ওলীআল্লাহ হয়েছেন, উনারা সকলেই স্ব-স্ব শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আদেশ ও নিষেধের প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল ছিলেন। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ইজাযত না পাওয়া পর্যন্ত শায়েখ উনার খানকা শরীফ হতে উনারা প্রস্থান করতেন না। এমনকি এক্ষেত্রে যদিও শরীয়তের কোন গুরুত্বপূর্ণ আমল ব্যহত হতো তথাপিও সেই সকল ব্যক্তিগণ উনারা উনাদের শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ছোহবত মুবারককেই প্রাধান্য দিয়ে তথায় অবস্থান করতেন।
এ প্রসঙ্গে আফদ্বালুল আউলিয়া, ইমামে রব্বানী, ক্বাইয়ূমে আউওয়াল সাইয়্যি বাকি অংশ পড়ুন...
আর হাক্বীক্বী আলিম-মাশায়িখ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ وَإِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِرْهَمًا وَلَا دِيْنَارًا وَإِنَّمَا وَرَّثُوا الْعِلْمَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই আলিমগণ হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওয়ারিছ। আর নিশ্চয়ই হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনারা কোন দীনার-দিরহাম রেখে যাননি। বরং ইলিম রেখে গেছেন।” (তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, আহমদ শরীফ, মিশকাত শর বাকি অংশ পড়ুন...
ক্বাইয়ূমে আউওয়াল, আফদ্বালুল আউলিয়া, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুন্নত মুবারকের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পূঙ্খানুপূঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ করতেন এবং পবিত্র সুন্নত মুবারকের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করতেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ আছে যে, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন উনার এক খাদিমকে কিছু লবঙ্গ বা লং আনার নির্দেশ দিলেন। উনার খাদিম লবঙ্গ এনেছে, কিন্তু জোড় সংখ্যক। আফদ্বালুল আউলিয়া হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আফসূস! আমার খাদিম সুন্নত মুব বাকি অংশ পড়ুন...












