সম্মানিত ইসলামী সভ্যতায় হাসপাতাল বা বিমারিস্তান তৈরি মুসলমানদের অনন্য কীর্তি। স্থায়ী হাসপাতালের পাশাপাশি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণেও মুসলমানরা নজীর সৃষ্টি করেছিলেন।
তবে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে খন্দকের যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিলো। সেই বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতালের নাম ছিলো ‘খিমাতু রুফাইদা’। আজকের পৃথিবীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ও চিকিৎসার ধারণাটি এখান থেকেই মানুষ নিয়েছে।
পরবর্তীতে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম বাকি অংশ পড়ুন...
৮১৭ বছরের পুরনো নেত্রকোনার ‘হারুলিয়া মসজিদ’। মোঘল আমলে নির্মিত এ সুপ্রাচীন মসজিদটি ইসলামী ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। মসজিদটি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামে অবস্থিত।
মোঘলদের রাজত্বকালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির অত্যন্ত স্নেহধন্য শাইখ মুহাম্মদ ইয়ার নামে এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সুপ্রাচীন এ মসজিদের ভেতরের দেয়ালে ফার্সিতে লেখা শাইখ মোহাম্মদ ইয়ার-এর নাম এবং ১২শ খ্রিস্টাব্দের কথা উল্লেখ থাকায় শাইখ মুহাম্মদ ইয়ারকে এ মসজিদটির প্রতি বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলার যমীনে গরু যবেহকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের আগমন ও জিহাদ:
১. ১১৭৮ সালে তৎকালীন আরব থেকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই বাংলায় আসেন সুফি বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। বিক্রমপুরে তখন কথিত শাসক বল্লাল সেনের শাসন চলছিলো, সে সময় তিনি উনার অনুসারীদের নিয়ে এক কুরবানীর ঈদে গরু যবেহ করেন। এই কথা পৌঁছে যায় কথিত শাসক বল্লাল সেনের কাছে। সে রাগান্বিত হয়ে হামলা করে সুফি বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে এবং উনাকে শহীদ করে। কিন্তু সে সময় যুদ্ধের নমুনা এমন ছিলো যে কথিত শাসক বল্লাল সেনের পরিবার মনে করে সে বাকি অংশ পড়ুন...
রমাদ্বান শরীফের ইফতার, ঈদের দুপুরের খাবার, মাহফিলের তাবারুক কিংবা পারিবারিক উৎসব- সিলেটিদের পছন্দের তালিকায় সবার আগে যে সুস্বাদু খাবারটি থাকে, তা হচ্ছে আখনি।
সুগন্ধি চাল এবং গোশতযোগে আখনি রান্নার পদ্ধতি অনেকটা ঢাকার তেহারির মতো হলেও সুঘ্রাণ ও স্বাদের দিক দিয়ে আখনি অনন্য।
সিলেটজুড়ে পাড়া-মহল্লার অজস্র রেস্টুরেন্টে রান্না হয় আখনি। এমনকি বড় হাঁড়িতে রান্না করা আখনির অনলাইনভিত্তিক একটি বাজারও সৃষ্টি হয়েছে সিলেটে।
পারস্য-দিল্লি হয়ে সিলেট:
আখনি শব্দটির মূলত পারস্যের (বর্তমান ইরান) ‘ইয়াখনি’ এর একটি রূপ। এ রান্নাটি পারস্য থেক বাকি অংশ পড়ুন...
দিল্লিকেন্দ্রিক মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন ন্যায়পরায়ন তুর্কি শাসক সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবেক এর নেতৃত্বে। প্রথম মুসলিম সুলতান বিজয়স্মারক হিসেবে দিল্লিতে গড়ে তোলেন মুসলমানদের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ।
অনেকেই দিল্লীর ঐতিহাসিক কুতুব মিনার সম্পর্কে জানেন। কিন্তু যে মসজিদকে কেন্দ্র করে কুতুব মিনার গড়ে উঠেছিলো সেকথা অনেকেরই অজানা। ঐতিহাসিক কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদের আজানের ধ্বনিই দূর-বহুদুরে পৌঁছাতে ইট-পাথরের গাঁথুনিতে তৈরি হয় বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনার। এবং উপমহাদেশের বিশিষ্ট সুফী সাধক কুতুবুল আফতাব খাজ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইসলামী সভ্যতায় হাসপাতাল বা বিমারিস্তান তৈরি মুসলমানদের অনন্য কীর্তি। স্থায়ী হাসপাতালের পাশাপাশি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণেও মুসলমানরা নজীর সৃষ্টি করেছিলেন।
তবে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে খন্দকের যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিলো। সেই বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতালের নাম ছিল ‘খিমাতু রুফাইদা’। আজকের পৃথিবীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ও চিকিৎসার ধারণাটি এখান থেকেই মানুষ নিয়েছে।
পরবর্তীতে হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালা বাকি অংশ পড়ুন...
বহু বছর পর এবার রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদের দিন রাজধানী ঢাকায় আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সব বয়সের মানুষ এই মিছিলে শামিল হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তবে ‘এক মণ দুধে এক ফোঁটা চনা’ দিলে যেমন সে দুধ আর খাওয়ার উপযুক্ত থাকে না তেমনি অবস্থা। পুত্তলিকার মতো পাপেট, গাধার পিঠে বসে থাকা লোককথার চরিত্র নাসিরুদ্দিন হোজ্জার মুর্তি মিছিলে নেয়ায় ব্যাপক বিতর্ক উঠেছে।
ঈদুল ফিতরের আনন্দের সঙ্গে কি কোনো পুত্তলিকা যায়? সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে। সাধারণ মানুষ এটা নিয়ে ব্যাপক সরব ও উচ্চ-বাচ্চ্য করছেন, এবং বেশি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে কিছু গণমা বাকি অংশ পড়ুন...
আপনারা জানেন কি? একসময় বাঙ্গালাহ সালতানাত অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে মুসলমান মুদ্রা প্রচলিত ছিলো। মুসলমান শাসন ব্যবস্থায় শাসকের নামে মুদ্রা প্রচলন সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। ১২০৫ খ্রি: গৌড় বিজয়ের স্মরণে সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সুলতান মুহম্মদ বিন সামের নামে গৌড় থেকে মুদ্রা জারি করেন।
এটিই ছিল বাংলায় জারি করা প্রথম মুসলমান মুদ্রা। গৌড় বিজয়ের সময় থেকে বাংলায় স্বাধীন সালতানাত প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৩০ বছর বাংলা দিল্লির সুলতানদের অধীন একটি প্রদেশ হি বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব প্রাচীন স্থাপনা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার হারুলিয়া পুরাতন মসজিদ তারই একটি। স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী, আজ থেকে ৮২৩ বছর আগে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। অবাক করার বিষয় হলো, এই মসজিদে একসঙ্গে ১৭ জনের বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন না!
মোগলদের রাজত্বকালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির শাইখ মুহাম্মদ ইয়ার নামের এক ব্যক্তি কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।
গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গে বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতবর্ষের ইতিহাসের শক্তিশালী নাম সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি। যাঁকে ভারতবর্ষেও অন্যতম শক্তিশালী শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি যুদ্ধ বিজেতা ও প্রশাসক হিসেবে সুলতানি আমলে অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছিলেন। অর্থনৈতিক সংস্কারের দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে তিনি ছিলেন মধ্যযুগের ভারতের প্রথম মুসলিম শাসক, যিনি ১. জমি জরিপ করেছিলেন, ২. জায়গির দান বা ভূমিদান প্রথার বিলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন, ৩. সমন্বিত রাজস্ব ধার্য করেছিলেন এবং ৪. বাজারদর নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রবর্তন করেছিলেন।
সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির অর্থনৈতিক সংস্কার তার শাসনব্যবস্ বাকি অংশ পড়ুন...
চিত্র: নতুন গড়ে ওঠা মসজিদের নিচে ৬৯ হিজরীর হারানো মসজিদকে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
লালমনিরহাটের ১৪শ বছর আগের ঐতিহাসিক ‘হারানো মসজিদ’ (১)
বাংলায় মুসলিম আগমনের প্রসঙ্গ এলে সবার আগেই আসে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজির কথা। তবে তারও আগে একাদশ শতাব্দীতে সুফিদের আগমন ঘটেছিল। তবে বাংলাদেশে মুসলমানদের আগমনের প্রারম্ভিক ইতিহাসের রাজসাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন নিদর্শন ‘হারানো মসজিদ’। মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল প্রায় ১৪শ’ বছর আগে, ৬৯ হিজরী, ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে । রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণে লালমনিরহ বাকি অংশ পড়ুন...












