প্রকৃতি মহান আল্লাহ পাক উনার শিল্প বা নিদর্শন। পবিত্র দ্বীন ইসলামে শুধু মাতৃভূমি, মাতৃভাষার প্রতি মুহব্বতের কথাই বর্ণনা হয়নি পাশাপাশি বর্ণিত হয়েছে প্রকৃতি এমনকি ঋতুর প্রতিও গভীর অনুরাগের কথা, ভালো লাগার কথা।
আমরা আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতে নানা ধরনের ফল-ফুল ও সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাই। এগুলো একজন ঈমানদারের কাছে স্রেফ মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন মনে হয়।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘এবং তিনি সেই সত্তা যিনি ভূতলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে অটল পাহাড় ও নদ-নদী সৃষ্টি করেছ বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম তিনি বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন বনু হিলাল গোত্রে, উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক হযরত হারিছ বিন হাযান আলাইহিস সালাম, সম্মানিতা মাতা উনার নাম মুবারক হযরত হিন্দা বিনতে আওফ আলাইহাস সালাম। (তাবাক্বাত, আনসাবুল আশরাফ)
উনার পূর্ব নাম মুবারক ছিল র্বারা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই নাম মুবারক পরিবর্তন করে হযরত মায়মুনা আলাইহাস সালাম রাখেন। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
কিছু বাতিল ফিরকা বের হয়েছে তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে, যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমাকে তোমরা যেভাবে নামায পড়তে দেখেছো সেভাবে নামায আদায় করো। তাছাড়া বাজারে বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বার কিছু বইপত্র বের হয়েছে যাতে লিখা হয়েছে, ‘পুরুষ ও মহিলার নামায আদায়ের পদ্ধতি একই রকম। কোনরূপ প্রভেদ বা পার্থক্য নেই। ’ এ বিষয়ে সঠিক ফায়ছালা কি হবে?
জাওয়াব:
বাতিল ফিরকার উক্ত বক্তব্য এবং লেখা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমাম ও ফক্বীহ্গণের মত ও পথের স বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَنْ تَعَلَّمَ مَسْأَلَةً وَاحِدَةً قَلَّدَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَلَادَةً مِّنْ نُّوْرِ، وَغَفَرَلَهٗ أَلْفَ ذَنْبٍ، وَبَنٰى لَهٗ مَدِيْنَةً مِّنْ ذَهَبٍ، وَكَتَبَ لَهٗ بِكُلِّ شَعْرَةٍ عَلٰى جَسَدِهٖ ثَوَابَ حَجَّةٍ وَّعُمْرَةٍ ـ
অর্থ: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি একটি মাসয়ালা শিক্ষা করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিয়ামতের দিন নূরের অনেকগুলো মালা তার গলায় পরিয়ে দিবেন, তার এক হাজার গুনাহখতা ক্ষমা করবেন, তার জন্য স্বর্ণ দ্বারা একটি শহর তৈরী বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
২১. এমন বাক্য দ্বারা দু‘আ করা যা ছোট হলেও ব্যাপক অর্থবহ। অর্থাৎ যেই বাক্যের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে সে সমস্ত বাক্য দ্বারা দু‘আ করা।
২২. চক্ষু বন্ধ করে একাগ্রতার সাথে দু‘আ করা। দু‘আর সময় হা করে উপরের দিকে তাকিয়ে না থাকা।
২৩. গানের মত সুর করে দু‘আ না করা। সম্মানিত শরীয়তে এ ধরণের দু‘আ করার কোন ভিত্তি নেই।
২৪. সম্পর্ক বিচ্ছেদ বা কোন গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্য দু‘আ না করা।
২৫. দু‘আর সময় মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রহমত-দয়া মুবারক উনার আরজী করে দু‘আ করা।
২৬. দু‘আ কবুল হওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
দুপুরের খাবারের পর আমাদের অনেক সময় ক্লান্তি ও অলসতা পায়, তখন অনেকে স্বল্প সময় বিশ্রাম নেন। এ বিশ্রামকে হাদীছ শরীফের ভাষায় বলে ‘কায়লুলা’। বাংলায় ‘আহারঘুম’ বললে এর কাছাকাছি অর্থ হয়।
কায়লুলা আমাদের দিনের পরবর্তী অংশকে প্রাণবন্ত ও সক্রিয় করে তোলে। বর্তমানে বিজ্ঞান কায়লুলার অনেক উপকারিতা উল্লেখ করছে। এটি খাছ সুন্নতী একটি আমল।
বিজ্ঞানীরা মনে করে, দুপুর বেলায় স্বল্প সময়ের ঘুম মানুষের শরীর ও মনকে সতেজ করে, চিন্তা ও মনোযোগ পুনসঞ্চয় ঘটায় ও কাজের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে।
‘সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স’ জার্নালে ২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষ বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
১. দু‘আ বা মুনাজাতকারীর পানাহার, লিবাস-পোশাক হারাম ও অবৈধ উপার্জন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তার উপার্জনের মধ্যে কোন প্রকার হারাম মিশ্রিত হতে পারবে না। অর্থাৎ তার সকল রিযিক হালাল পন্থায় উপার্জিত হতে হবে। কেননা, হারাম ভক্ষণকারীর দু‘আ ও ইবাদত মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করেন না।
২. অত্যন্ত ইখলাস ও খুলূছিয়তের সাথে দু‘আ করতে হবে।
৩. দু‘আ করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে খালিছভাবে রুজু থাকতে হবে। রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দু‘আ করা যাবে না।
৪. দু‘আ করার পূর্বে কোন নেক কাজ করা উত্তম। অর্থাৎ পবিত্র মীল বাকি অংশ পড়ুন...
দানে সম্পদ বৃদ্ধি হয়:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوْا وَأَطِيعُوا وَأَنْفِقُوا خَيْرًا لِأَنْفُسِكُمْ. وَمَنْ يُوْقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ )سورة تغابن-١٦(
অর্থ: তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করার মতো ভয় করো এবং (মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম মুবারক) শ্রবণ করো ও আনুগত্য করো এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পথে তোমাদের নিজেদের (কল্যাণের) জন্য সম্পদ ব্যয় করো। আর যারা স্বীয় নফসকে বখিলী থেকে রক্ষা করতে পারল, তারাই কামিয়াবী হাছিল করল। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ ১৬)
কাজেই, প্ বাকি অংশ পড়ুন...












