পূর্বের পর্বগুলোতে সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণ করা হয়েছে যে, পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত। কোনো হক্ব তালাশী ব্যক্তির বুঝার জন্য যেটা যথেষ্ট। এ পর্বে পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায উনার হুকুম নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
৪ রাকায়াত পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায উনার হুকুম:
পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়াই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। যেমন এ বিষয়ে বুখারী শরীফের বিখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারীতে’ উল্লেখ রয়েছে-
وأكثر العلماء على أنها سنة راتبة منهم الأوزاعي والثوري وأبو حنيفة رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وأصحابه وهو ظاهر كلام أحمد رَحْـ বাকি অংশ পড়ুন...
আবূ আফাক:
তাদের এই কথার জবাবে হযরত নাহদিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ করেন-
تُكَذّب دِينَ اللّهِ وَالْمَرْءَ أَحْمَدَا ... لَعَمْرُ الّذِي أَمْنَاكَ إذْ بِئْسَ مَا يُمْنَى
حَبَاك حَنِيفٌ آخِرَ اللّيْلِ طَعْنَةً ... أَبَا عَفَكٍ خُذْهَا عَلَى كِبَرِ السّنّ
فَإِنّي وَإِنْ أَعْلَمْ بِقَاتِلِك الّذِي ... أَبَاتَك حِلْسَ اللّيْلِ مِنْ إنْسٍ اوْ جِنّي
‘তুমি মহান আল্লাহ পাক উনার দ্বীনকে মিথ্যা বলো এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দম্ভভরে অস্বীকার করো। সেই মহান সত্তা উনার ক্বসম, যিনি তোমাকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন, কি নিকৃষ্ট সেই নিরাপত্তা।
রাত্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন, আছমা বিনতে মারওয়ান ছিলো এক অভিশপ্ত, কুখ্যাত, ঔদ্ধত্যপরায়ণা ও বিদ্বেষপরায়ণা কাফির মহিলা।
وَكَانَتْ تَعِيْبُ الْاِسْلَامَ وَتُؤْذِىْ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
‘এই অভিশপ্ত মহিলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে কটাক্ষ করত এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দিত, উনার মানহানি করতো।’ না‘ঊযুবিল্লাহ!
হযরত উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু নামে একজন অন্ধ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উক্ত কাফির মহিলাক বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়তেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ إبْرَاهِيمَ النَّخَعِيّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانُوا يُصَلُّونَ قَبْلَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত ইমাম ইবরাহীম নাখয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা কাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়তেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ১/৪৬৩, শরহে আবূ দাঊদ লিল আইনি ৪/৪৭১, ত্বরহুত তাছরীব বাকি অংশ পড়ুন...
ছল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মীলাদ শরীফের মাহফিলে
আসেন আমার আক্বা
মুহাব্বতের মশাল জ্বেলে
বানান ফানা বাক্বা
স্মরণে মুছে মুশকিল
প্রশান্ত সমস্ত দিল
মিলে মাদানী মানজিল
মিলে নূরের দেখা...
সুগন্ধি ছড়িয়ে ফারিক
দিওয়ানা হয় ফাসিক
ছলাত ছালামে অত্যাধিক
ইশকের কথা লেখা....
বুলন্দ স্বরে পাক ছানা
নাশিদে শুকরানা
নছীবে জুটে নজরানা
নিছবতি দীপশিখা....
সবচেয়ে মহীয়ান আলীশান
তাওয়াল্লুদ শরীফ লেহান
তিলাওয়াতে ফিদা ঈমান
জজবায় মধুমাখা....
ও মেরে পেয়ারে হাবীবী
দরদী দয়াল নবী
সংযোগ আমার চাই সবি
দানুন শাহী সখা....
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
উক্ত কিতাবে পবিত্র জুমু‘আর নামাযসমূহের বর্ণনা এভাবে দেয়া হয়েছে,
اَنْ يُّصَلِّىَ اَلسُّنَّةَ أَرْبَعًا ثُمَّ الْجُمُعَةَ ثُمَّ يَنْوِىْ أَرْبَعًا سُنَّةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ يُصَلِّىَ الظُّهْرَ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ سُنَّةَ الْوَقْتِ فَهٰذَا هُوَ الصَّحِيْحُ الْمُخْتَارُ
অর্থ: “প্রথমে (ছলাতুল জুমুআহ আদায়ের পূর্বে) ৪ রাকাত সুন্নাত পড়তে হবে। এরপর পবিত্র ছলাতুল জুমু‘আহ শরীফ আদায় করতে হবে। তারপর ৪ রাকাত সুন্নাতুল জুমু‘আহ অর্থাৎ বা’দাল জুমু‘আহর নিয়্যত করবে, অতঃপর আখেরী যোহর আদায় করবে (এটা মুস্তাহাব, সব স্থানে আদায় করতে হয়না), সর্বশেষ ২ র বাকি অংশ পড়ুন...
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আমল মুবারক:
যেমন বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا لَا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِسَلَامٍ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে ৪ রাকায়াত নামায পড়তেন। মাঝে পৃথক হতেন না অর্থাৎ এক সালামে ৪ রাকায়াত পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (শরহু মা‘য়ানিইল আছার ১/৩৩৫, ত্বহাবী শরীফ)
হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وروى حَضْرَتْ ا বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মুছল্লীর সামনে প্রাণীর ছবি থাকা শক্ত মাকরূহ তাহরীমী। অতঃপর মাথার উপর, অতঃপর ডানে ও বামে দেয়ালের উপর অতঃপর পিছনে দেয়ালের উপর অতঃপর কোন পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকা মাকরূহ তাহরীমী হবে।
(রদ্দুল্ মুহতার আলাদ্ দুররিল মুখতার আ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ سَمِعَ اِسْمِيْ فِي الْاٰذَانِ وَهُوَ وَضَعَ اِبْـهَامَيْهِ عَلٰى عَيْـنَـيْهِ فَاَنَا طَالِبُهٗ فِيْ صُفُوْفِ الْقِيَامَةِ وَقَائِدُهٗ اِلَى الْجَنَّةِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি আযানের মধ্যে আমার মহাসম্মানিত নাম মুবারক শুনলো এবং তার উভয় অঙ্গুলী দু’চোখের উপর রাখলো, আমি তাকে কিয়ামতের দিন কাতারের মধ্যে তালাশ করবো এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবো। (ছলাতে নখশী)
বাকি অংশ পড়ুন...












