(১৯২-১৯৪)
قَالَ الْعَارِفُ الشَّعْرَانِيُّ: فَإِنْ قُلْت فَهَلْ يَجِبُ عَلَى الْمَحْجُوبِ عَن الِاطِّلَاعِ عَلَى الْعَيْنِ الْأُولَى التَّقَيُّدُ بِمَذْهَبٍ مُعَيَّنٍ؟
فَالْجَوَابُ: نَعَمْ يَجِبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ لِئَلَّا يَضِلَّ فِي نَفْسِهِ وَيُضِلَّ غَيْرَهُ.
অর্থ: হযরত ইমাম আরিফ শা’রানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যদি আপনি প্রশ্ন করেন, যে লোক শরীয়ত উনার প্রথম ঝরণা (কুরআন মাজীদ ও সুন্নাহ শরীফ) উনার প্রকৃত মর্মার্থ সম্পর্কে না জানে, তার জন্য কি (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো- হ্যাঁ, সে লোকের জন্য (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট ম বাকি অংশ পড়ুন...
একটি সত্য ঘটনা:
ঘটনাটি ঘটে প্রায় এক’শ বছর আগে সৌদি আরবের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ঘটনাটি তৎকালীন মিডিয়াতেও প্রচার করা হয়। ঘটনাটা ইব্নু জাদআন নামক এক ব্যক্তির। তার ছিল অনেকগুলো মোটা-তাজা উট। এই উটগুলোর ওলান এতই পূর্ণ ছিল যে, দেখে মনে হতো ভারে ফেটে যাবে।
ইব্নু জাদআন নিজের কথায় বর্ণনা করেন যে, আমার পাশেই দরিদ্র এক প্রতিবেশী ছিল। সেই প্রতিবেশীর ছিল সাতটি কন্যা সন্তান। আমি আমার উটের পালের একটা উটনী বাচ্চাসহ তাকে ছদক্বাহ হিসেবে দিয়ে দেওয়ার জন্য মনস্থির করলাম। আমি তখন এই আয়াত শরীফটি আবৃত্তি করলাম যেখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ম বাকি অংশ পড়ুন...
৩. ঘরের ভেতরে অবস্থান করা:
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে মহিলাদেরকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে এবং ঘরের ভেতরের সমস্ত দায়-দায়িত্ব মহিলাদের উপর অর্পন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে, “আহলিয়া বা স্ত্রীদের কর্তব্য হচ্ছে, ঘরে অবস্থান করা এবং পারিবারিক জিন্দেগীর আনজাম দেয়া।”(পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, আয়াত শরীফ-৪)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আপনারা (মহিলারা) আপনাদের ঘরের ভেতর অবস্থান করুন।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, আয়াত শরীফ-৩৩)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে অন্যত্র ইরশাদ মু বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
১. বিদয়ী তলাক্ব: আর একই তুহুরে তিন তলাক্ব দেয়া অথবা একসাথে তিন তলাক্ব দেয়া অথবা যে তুহুরে অতী করা হয়েছে সেই তুহুরে এক তলাক্ব দেয়া। যে আহলিয়ার সাথে অতী করা হয়েছে সেই আহলিয়াকে স্বাভাবিক মাজুরতার সময় তলাক্ব দেয়াকে বিদয়ী বা বিদয়াতী তলাক্ব বলে।
এ সব ক্ষেত্রে তলাক্ব দিলে তলাক্ব কার্যকর হবে। তবে তলাক্বদাতা গুনাহগার হবে। স্বাভাবিক মাজুরতার সময় আহলিয়াকে এক তলাক্ব কিংবা দুই তলাক্ব দিলে রাজায়াত করা হানাফী মাযহাব মতে ওয়াজিব। আর শাফিয়ী মাযহাবে মুস্তাহাব। পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন-
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ إِذَا تَرَاضَوْا بَيْنَهُمْ بِالْمَعْرُوفِ ذَلِكَ يُوعَظُ بِهِ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكُمْ أَزْكَى لَكُمْ وَأَطْهَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
অর্থ: তোমরা যখন নারীদেরকে তলাক্ব দিবে, তারপর তারা ইদ্দত পূর্ণ করবে তখন তোমরা অভিভাবকরা তাদেরকে এ কাজে বাধা দিবেনা যে, তারা তাদের প্রথম আহাল বা স্বামীদেরকে পুনরায় বিবাহ করবে যদি তারা পরস্পর ন্যায়সঙ্গতভাবে একে অন্যের প্রতি রাজি হয়ে যায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকেই নছীহত মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
হুকুমগত দিক থেকে তলাক্ব তিন প্রকার:
১. তলাক্বে রেজয়ী:
এমন তলাক্ব যা প্রদান করলে আহলিয়ার (স্ত্রী) উপর আহালের (স্বামী) অধিকার থেকে যায়। আহাল ইচ্ছা করলে আহলিয়াকে সাথে সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতিতই পুনরায় নিজের বন্ধনে ফিরিয়ে আনতে পারে। অর্থাৎ উক্ত আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করা কিংবা নিরিবিলি অবস্থানের দিকে আকর্ষণকারী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া অথবা খাহেশাতের সাথে স্পর্শ করা বা বুছা দেয়া অথবা আমি তোমাকে ফিরিয়ে নিলাম বললেও রাজায়াত বা ফিরিয়ে আসে।
উল্লেখ্য যে, ছরীহ্ বা সুস্পষ্ট তলাক্ব অর্থাৎ তলাক্ব শব্ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশের পর)
কিনায়া তলাক্ব দুই প্রকার:
১. প্রথমত তিনটি শব্দ এমন রয়েছে যেগুলো দ্বারা তলাক্বে রেজয়ী হয় এবং শুধুমাত্র একটি তলাক্ব কার্যকর হয়। শব্দ তিনটি হচ্ছে-
ক) اِعْتَدِّىْ অর্থাৎ তুমি গণনা করো।
খ) اِسْتَبْرِيْ رِحْمَكِ তোমার রেহেমকে মুক্ত করো।
গ) اَنْتِ وَاحِدَةٌ তুমি একাকী হও।
এই সকল শব্দ উচ্চারণে তলাক্বের নিয়ত বা তলাক্বের দালালত পাওয়া গেলে এক তলাক্বে রেজয়ী পতিত হবে।
২. আর কিনায়া তলাক্বের অন্যান্য শব্দ যেমন- اَنْتِ بَائِنٌ (তুমি পৃথক) اَنْتِ بَتَّةٌ (তুমি সম্পর্কহীনা) اَنْتِ حَرَامٌ (তুমি হারাম) ইত্যাদি।
এই সকল শব্দ কিংবা উহার অনুরূপ কোন শব্দ দ্বার বাকি অংশ পড়ুন...
নারীদের দুই স্বাভাবিক মাজুরতার মধ্যবর্তী সময়কালকে ত্বহুর বলা হয়। ত্বহুরের সর্বনিম্ন মুদ্দত বা সময়সীমা হচ্ছে ১৫ দিন। আর সর্বোচ্চ কোন মুদ্দত বা সময়সীমা নেই। ব্যক্তি বিশেষে বেশী থেকে বেশী হতে পারে।
আর মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে ভয় করে ইদ্দত সঠিকভাবে গণনা করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। ভালোভাবে গণনা না করলে গুনাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
তলাক্ব চলাকালীন সময় নারীগণ তাদের আহাল বা স্বামীর বাড়ীতেই অবস্থান করবে। বাবার বাড়ীতে কিংবা অন্য কোন জায়গায় যাবে ন বাকি অংশ পড়ুন...












