যারা সম্মানিত তরীক্বা মশক্ব করেন বা সম্মানিত ইলমে তাছাওউফ চর্চা করেন উনাদের স্বীয় হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওযীফা দেয়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে সব তরীক্বাতেই পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার ওযীফা দেয়া হয়। এটা বিভিন্ন তরীক্বাভেদে ১০০/২০০/৫০০/১০০০ বার এমনকি অনেক তরীক্বায় দিনে দশ হাজার বার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করারও ওযীফা রয়েছে।
পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সিলসিলাভুক্ত যারা রয়েছেন উনাদেরকে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বাদ ফজর ১০০ বার এবং বাদ ইশা ১০০ বার মোট দ বাকি অংশ পড়ুন...
শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যখন যা আদেশ করবেন তখন তা পালন করাই মুরীদের জন্য সন্তুষ্টি লাভের কারণ
বর্ণিত আছে যে, একবার এক ব্যক্তি খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বিভিন্ন সূরার শুরুতে বর্ণিত
الم - حم - ص - يس - الر-
ইত্যাদি হুরূফে মুকাত্তায়াতের অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তার জাওয়াবে তিনি বলেছিলেন-
اَبْهِمُوا مَا اَبْهَمَهُ اللهُ تَعَالٰى
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যা গোপন রেখেছেন তা গোপন রাখো। ”
অর্থাৎ গোপনীয় বিষয়গুলো যেভাবে আছে সেগুলো সেভাবে গোপন রাখাই উচিত।
মূলতঃ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়াল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
সেটাই বলা হয়েছে যে, আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। যাঁরা আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবে তারা প্রকৃতপক্ষে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনারই ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলো। সেটাই কিতাবে এসেছে, বিশিষ্ট বুযুর্গ হযরত মাওলানা জালালুদ্দীন রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
ہر کے خواہد ہمنشینی باخدا +گو ناشیند در حضور اولیاء
অর্থ : যদি কোনো ব্যক্তি চায় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে উঠা-বসা করতে, তাহলে সে যেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের সাথে উঠা-বসা করে। সুবহ বাকি অংশ পড়ুন...
মূলত: মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত পূর্ণাঙ্গ মনোনীত জীবন ব্যবস্থাকে পবিত্র ইসলাম বলা হয়। আর যিনি পবিত্র ইসলাম উনাকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে মেনে নেন উনাকে মুসলিম বলা হয়।
৬. دين (দ্বীন): শব্দটি একবচন, এর বহুবচন اديان আদইয়ান। দ্বীন শব্দটিও মাযহাব শব্দের সমার্থবোধক। মাযহাব শব্দটির মতোই দ্বীন উনার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- দ্বীন, আক্বীদাহ, ইসলাম, বিশ্বাস, ধার্ বাকি অংশ পড়ুন...
পার্থিব ধন-সম্পদ কিংবা দুনিয়াবী পদমর্যাদা প্রভৃতির জন্য আশা-আকাঙ্খা করা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে দ্বীনি ইল্ম অর্জন, জিহাদে অংশগ্রহণ ইত্যাদি নেক কাজের আকাঙ্খা নিন্দনীয় নয়; বরং প্রশংসনীয়। অতএব বলা যায়, আশা-আকাঙ্খার ভাল-মন্দ উভয় দিক রয়েছে। অত্র প্রবন্ধে কেবল মন্দ বা অবৈধ আকাঙ্খা সম্পর্কে আলোকপাত করা হচ্ছে; যা প্রকৃতপক্ষে কাফির-মুশরিকদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন- এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
ذَرْهُمْ يَا বাকি অংশ পড়ুন...
অশ্লীল কথা পরিহার করা ফরয; কেননা তা হারাম এবং কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। যার পরিণাম জাহান্নাম। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি অশ্লীল কথা বলে তার জন্য জান্নাত হারাম। তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন, দোযখবাসী কতিপয় লোকের মুখ দিয়ে পূতিগন্ধময় অপবিত্র দ্রব্যাদি নির্গত হবে এবং তার দূর্গন্ধে দোযখবাসীরা অভিযোগ করতে থাকবে ও জিজ্ঞাসা করবে, এরা কারা? তখন বলা হবে, এরা হলো ওই সমস্ত লোক যারা দুনিয়াতে কুৎসিত ও অ বাকি অংশ পড়ুন...












