৩৪. প্রসঙ্গ: তাহাজ্জুদ নামায
জামায়াতে আদায় করা বিদ্য়াত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: তাহাজ্জুদ নামাযসহ অন্যান্য নফল নামায জামায়াতে আদায় করা জায়িয। তাই তারা বিশেষভাবে রমযান মাসে তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে আদায় করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: তারাবীহ্, ছলাতুল ইস্তিস্কা ও ছলাতুল কুসূফ, এই তিন প্রকার নামায ব্যতীত কোন সুন্নত বা নফল নামাযই জামায়াতে আদায় করা জায়িয নেই। বরং ফক্বীহ্গণ উনাদের মতে তা মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়্যাহ্।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৭, ১৩, ১৪, ৩১, ৪১, ৫৩, ৭০ ও ৮২ বাকি অংশ পড়ুন...
সকলকেই এই মহামান্বিত ‘লাইলাতুল ক্বদর’ উনার পরিপূর্ণ নি’য়ামত, রহমত-বরকত অর্জন করতে হবে। এই বরকতময় রাত্রিতে অবহেলা-অলসতা আর খোশগল্পে কাটানো কোনোক্রমেই নেককারদের কাজ হবে না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ইখলাছের সাথে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য পবিত্র লাইলাতুল ক্বদরে জাগ্রত থেকে ইব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
كُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِى النَّارِ
অর্থ: “প্রত্যেক বিদ্য়াতই গোমরাহী এবং প্রত্যেক গোমরাহ্ ব্যক্তিই জাহান্নামী। ” (রযীন, বাযযার, তবারানী)
‘বিদ্য়াত কাকে বলে?’ ‘এর ব্যাখ্যা কি?’ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার কোশেশ করবো। তাহলে কারা বিদ্য়াতী এবং কোন আমলটি বিদ্য়াত তা সহজেই অনুধাবন করা সম্ভব হবে। বিদ্য়াত-এর অর্থ ‘বিদ্য়াত’ শব্দের লুগাতী বা আভিধানিক অর্থ হলো নতুন উৎপত্তি, নতুন উদ্ভব, নতুন সৃষ্টি। পূর্বে যার কোন অস্তিত্ব ছিলো না। আর পারিভাষিক ও শরয়ী অর্থে বিদ্য়াত হচ্ছে-
ما احدث مما لااصل له فى ا বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে -
عن حَضْرَتِ السائب بن يزيد رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قال كنا نقوم في زمان حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام بعشرين ركعة والوتر.
অর্থ: হযরত সায়িব বিন ইয়াযিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমরা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত খিলাফত মুবারক কালে বিশ রাকায়াত পবিত্র তারাবীহ্ ও পবিত্র বিতির পড়তাম। (সুনানে সুগরা লিল বায়হাকী, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং-৮৩৩, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং-১৪৪৩)
কিতাবে আরো বর্ণিত আছে -
كان الناس يصلون فى زمان حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام فى رمضان عشرين ركعة ويوت বাকি অংশ পড়ুন...
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনাকারী রাবীর জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِه.
পবিত্র রমাদ্বান শরীফে এবং গায়রে রমাদ্বান শরীফে অর্থাৎ বছরের ১২ মাস রাতের নামায ছিলো মোট ১১ রাকায়াত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে পবিত্র তারাবীহ্ নামায পড়তেন আর অন্য মাসে কি পড়তেন?
আসলে বাতিল ফিরক্বার লোকগুলো মূর্খ হওয়ার কারণে এই পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা তারাবীহ্র দলীল দিয়ে থাকে। এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা দ্বারা মূলত তারাবীহ্কে বুঝানো হয়ন বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অন্যতম ছাত্র, ছিয়াহ সিত্তাহ্র অন্যতম ইমাম হযরত আবূ ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “সুনানে তিরমিযী শরীফে” পবিত্র তারাবীহ্ নামায উনার রাকায়াত সংখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন-
قال الترمذى رحمة الله عليه واكثر اهل العلم على ما روى عن حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام و حضرت امام الاول كرم الله وجهه عليه السلام وغيرهما من اصحاب النبى صلى الله عليه وسلم عشرين ركعة وهو قول الثورى وابن المبارك والشافعى وقال هكذا ادركت الناس بمكة يصلون عشرين ركعة.
অর্থ: ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া স বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ইশা উনার নামায আদায়ের পর পবিত্র তারাবীহ্ নামায দুই রাকায়াত, দুই রাকায়াত করে ২০ রাকায়াত আদায় করতে হয়। প্রথমে জায়নামাযে দাঁড়িয়ে জায়নামাযে দাঁড়ানোর দু‘আ মুবারক পাঠ করতে হবে। অতঃপর নিয়ত করতে হবে এবং অন্যান্য নামাযের ন্যায় নামায শেষ করতে হবে। চার রাকায়াত পর পর নির্ধারিত দু‘আ মুবারক পাঠ করতে হবে এবং হাত তুলে মুনাজাত করতে হবে। পবিত্র তারাবীহ্ নামায আদায় শেষে পবিত্র বিতির নামায আদায় করতে হবে।
পবিত্র জায়নামায উনার উপর দাঁড়িয়ে দু‘আ মুবারক-
اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفًا وَّمَا اَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ.
পবি বাকি অংশ পড়ুন...
১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি তনি হচ্ছেন ‘আছ ছালিছাহ্ অর্থাৎ তৃতীয়’। সুবহানাল্লাহ! তিনি সকলের মাঝে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিন বাকি অংশ পড়ুন...












