পবিত্র তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত আদায় করাই খাছ সুন্নত মুবারক, এর কম আদায় করা চরম গোমরাহীর লক্ষণ (১)
, ৩রা রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৫ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ৪ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ১৭ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম

হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অন্যতম ছাত্র, ছিয়াহ সিত্তাহ্র অন্যতম ইমাম হযরত আবূ ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “সুনানে তিরমিযী শরীফে” পবিত্র তারাবীহ্ নামায উনার রাকায়াত সংখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন-
قال الترمذى رحمة الله عليه واكثر اهل العلم على ما روى عن حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام و حضرت امام الاول كرم الله وجهه عليه السلام وغيرهما من اصحاب النبى صلى الله عليه وسلم عشرين ركعة وهو قول الثورى وابن المبارك والشافعى وقال هكذا ادركت الناس بمكة يصلون عشرين ركعة.
অর্থ: ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্য হতে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম ও অন্যান্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে পবিত্র তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত হওয়ার যে বর্ণনা পাওয়া যায়, অধিকাংশ আলিমগণ উহাই গ্রহণ করেন। আর ইমাম সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইবনুল মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের এটাই অভিমত, অর্থাৎ পবিত্র তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত। তিনি আরো বলেন, আমি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার লোকদেরকে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়া অবস্থায় পেয়েছি। (তিরমিযী শরীফ- কিতাবুছ ছিয়াম, বাবু ক্বিয়ামী শাহরি রমাদ্বান : পবিত্র হাদীছ শরীফ নং: ৮০৬)
তারাবীহ্ ৮ রাকায়াত নয়, বরং ২০ রাকায়াত-ই আদায় করতে হবে। আহলে হাদীছ নামধারী ও বাতিল ফিরক্বার লোকেরা আট রাকায়াত তারাবীহ্ নামাযের পক্ষে যে পবিত্র হাদীছ শরীফ পেশ করে উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা এবং তার সঠিক বিশ্লেষণ নি¤েœ উল্লেখ করা হলো-
عَنْ حضرت أَبِي سَلَمَةَ رضى الله تعالى عنه أَنَّهُ أَخْبَرَهُ سَأَلَ حضرت ام المؤمنين الثالثة الصديقة عليها السلام كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا . فَقَالَتْ حضرت ام المؤمنين الثالثة الصديقة عليها السلام فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ فَقَالَ يَا حضرت ام المؤمنين الثالثة الصديقة عليها السلام إِنَّ عَيْنَىَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي.
অর্থ: হযরত আবূ সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন, তিনি সাইয়িদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে রাতের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, সেটা কেমন ছিলো? তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে ও অন্যান্য সময়ে (রাতের বেলা) এগার রাকায়াত নামাযের বেশি আদায় করতেন না। তিনি চার রাকায়াত করে মোট আট রাকায়াত আদায় করতেন। এর সৌন্দর্য এবং দৈর্ঘ্য সম্পর্কে আপনি আমাকে আর প্রশ্ন করবেন না। অতঃপর তিনি তিন রাকায়াত (বিতির) নামায আদায় করতেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি বিতির আদায়ের পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুত্বমাইন্নাহ মুবারকে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘুম মুবারকে) যান? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আয় হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম! আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুবাশশির মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চক্ষু মুবারক) দু’খানা মহাসম্মানিত ও মহাপতিবত্র নূরুল মুত্বমাইন্নাহ মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘুম মুবারকে থাকেন কিন্তু আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ক্বলব মুবারক) ঘুমান না। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবু দাঊদ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং-১২১২, তিরমিযী শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৪৩৯)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মৃত ব্যক্তির কবরে তালক্বীন দেওয়া খাছ সুন্নত মুবারক
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতি খাবার “মেথি” (হুলবাহ্)
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মাইয়্যিতকে গোসল দেয়ার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাসীর গোশত এবং গরুর গোশত
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মাইয়্যিতের জানাযা নামাযের গুরুত্ব-ফযীলত ও মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক (২)
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার “লাহমুম মুছলাহুন”
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মাইয়্যিতের জানাযা নামাযের গুরুত্ব-ফযীলত ও মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক (১)
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লেবাছ সুন্নতী কোর্তা
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৮)
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘কিস্সা’
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৭)
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন বিভিন্ন প্রকারের সুন্নতী খাবার ‘খেজুর’
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)