তা’বীয ও যাদু-বান টোনার মধ্যে পার্থক্য:
تعويذ (তা’বীয) শব্দটি আরবী। باب تفعيل এর মাসদার বা ক্রিয়ামূল। عوذ (আওয) মাদ্দা বা মুল শব্দ হতে নির্গত। অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা তথা রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করা।
শারিরীক বা মানষিক রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য কোন আয়াত শরীফ অথবা দোয়া-কালাম লিখে সঙ্গে রাখাকে তা’বীয বলে। তা’বীযকে কেহ কেহ তামীমাহ বলে থাকে।
হযরত ইমাম মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, ঝাড়-ফুঁক ও তা’বীয বা তামীমাহ দু’ প্রকার।
১। হক্ব বা শরীয়তসম্মত ঝাড়, ফুঁক ও তা’বীয।
২। বাতিল বা শর বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবুস সির সাইয়্যিদুনা হযরত হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একদিন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যান। তিনি সেই অসুস্থ ব্যক্তির বাহুতে একটি তাগা বা মন্ত্রপড়া সুঁতা দেখতে পান। সাইয়্যিদুনা হযরত হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন এটা কি? সেই অসুস্থ ব্যক্তি বললো, এটা তাগা যাতে মন্ত্র পড়া হয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তা ছিড়ে ফেললেন এবং বললেন-
لَوْ مُتَّ وَهُوَ عَلَيْكَ مَا صَلَّيْتُ عَلَيْكَ
অর্থ: যদি আপনি এটা পরিহিত অবস্থায় ইন্তিকাল করতেন তাহলে আমি আপনার জানাযার নামায পড়তাম না। (মুছা বাকি অংশ পড়ুন...
ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আহলিয়া (স্ত্রী) হযরত যয়নব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি বলেন, একজন ইহুদী বৃদ্ধা মহিলা আমাদের নিকট আসতো। চর্ম প্রদাহে (চামড়া লাল হওয়া, চুলকানো ও ব্যথা রোগে) ঝাড়, ফুঁক করতো। আমাদের একটি লম্বা পায়া বিশিষ্ট চৌকি ছিল। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উচু স্বরে গলা খাকর বা কাশি দিয়ে বাড়ীতে প্রবেশ করতেন।
তিনি একদিন বাড়ীতে প্রবেশ করলেন। উনার গলার আওয়াজ শুনে উক্ত বৃদ্ধা মহিলা আড়াল হলেন।
فَجَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَانِبِي فَمَسَّنِي فَ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোগ নিরাময় বা সুস্থতার জন্য যে সকল চিকিৎসা পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন তন্মধ্যে ঝাড়, ফুঁক ও তা’বীয অন্যতম।
ঝাড়, ফুঁক করা, তা’বীয দেয়া ও ব্যবহার করা সুন্নত মুবারকের অন্তর্ভুক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই দোয়া-কালাম মুবারক পড়ে ঝাড়, ফুঁক করেছেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন।
তবে বাতিল বা পরিত্যাজ্য বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল রোগ-ব্যাধির শিফা (আরোগ্য) দানকারী। উনার ইচ্ছা ও মদদে সব কিছু হয়। তিনি ভালো কাজে সন্তুষ্ট হন। আর বান্দার খারাপ কাজে অসন্তুষ্ট হন। সকল মাখলুকাতই উনার আজ্ঞাবহ। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِيْنِ.
অর্থ: কোন বান্দা রোগাক্রান্ত হলে মহান আল্লাহ পাক তিনিই তাকে শিফা (আরোগ্য) দান করেন। (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৮০)
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে ঝাড় ফুঁক মুবারক করেছেন তা ছিহাহ ছিত্তাহসহ অসংখ্য হাদীছ শরীফ উনার কিতাবে উল্লেখ আছে।
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন-
اَلَا اَرْقِيْكَ بِرُقْيَةِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَلٰى. قَالَ اللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ اَنْتَ الشَّافِيْ لَا شَافِيَ إِلَّا أَنْتَ، شِفَاءً لَايُغَادِرُ سَقَمًا
অর্থ: আমি কি আপনাকে নূরে মুজাসসাম বাকি অংশ পড়ুন...












