প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
একজন বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য সবচেয়ে বড় নেক আমল হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ! কেননা, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। তাই পাগড়ী পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক।
পাগড়ীর পরিমাপ :
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অধিকাংশ সময় যে পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন তা ছিল ৭ হাত লম্বা, যা পবিত্র হুজরা শরীফ হতে বের হওয়ার সময় তিনি পরিধান মুবারক করে বের হতেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার সময় এ ধরণের পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে যে পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন তা ছিল ৩ হাত লম্বা। কোন কোন স বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫২. প্রসঙ্গ : ইমামাহ্ বা পাগড়ী পরিধান করা দায়েমী সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত নয়। তাই তারা অন্যান্য সময় তো দূরের কথা, নামাযের সময়ও পাগড়ী পরিধান করেনা।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ইমামাহ্ বা পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী বা সার্বক্ষণিক সুন্নত। কেননা, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে বা সর্বদা পাগড়ী পরিধান করেছেন। নামাযের ভিতর পাগড়ী পরিধান করা যেরূপ সুন্নত, তদ্রুপ নামাযের বাইরেও সুন্নত। পাগড়ীসহ এক রাক্য়াত নামায আদা বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِىْ عِنْدَ فَسَادِ اُمَّتِىْ فَلَهٗ اَجْرُ مِائَةِ شَهِيْدٍ
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ফিত বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (৫ম অংশ) * শিমলা: মাথায় পাগড়ী বাধার সময় পাগড়ীর যে অংশটুকু ঘাড়ের দিকে ঝুলিয়ে রাখা হয় তাকে শিমলা বলা হয়। শিমলা চার আঙ্গুল থেকে ১ হাত হওয়া বাঞ্চনীয় এবং তা দু’কাঁধের মধ্যখানে ঝুলিয়ে রাখা উত্তম। শিমলা ছাড়া পাগড়ী পরিধান করা বিজাতীয় লক্ষণ।
* সুন্নতী রুমাল: পাগড়ীর উপর সাদা রুমাল ব্যবহার করা পবিত্র সুন্নত মুবারক। পবিত্র রুমাল পরিধান করার তরতীব হচ্ছে- পাগড়ীর উপর মাঝ বরাবর রাখতে হবে। অতঃপর সুন্নতী রুমালের ডানপাশ বাম কাঁধের উপর দিয়ে নীচের দিক বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (৪র্থ অংশ) সুন্নতী কতিপয় তৈজসপত্রের নাম:
১) খাছ সুন্নতী কাঠের পেয়ালা-বাসন।
২) খাছ সুন্নতী বিভিন্ন বাসন, বাটি ও পানপাত্র।
৩) সুফরাহ্ (سُفْرَةٌ) দস্তরখানা।
৪) খাবারের জন্য বড় পাত্র মুবারক (قَصْعَةٌ) ক্বছআহ্।
৫) পানি রাখার বড় মাটির পাত্র (قُـلَّة) কুল্লাহ্।
৬) মাটির ঘড়া-মাটির পাত্র বা মাটির পানির পাত্র।
৭) নাবীয পাত্র মুবারক (اَلسِّقَاءُ) সিক্বা।
৮) পিতলের পাত্র মুবারক (تَـوْرٌ) তাওর।
৯) চুলা ও ডেকচি মুবারক (بُـرْمَةٌ) বুরমাহ।
১০) চামড়ার পানপাত্র (ظُرُوْفُ ا বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَمَا آَتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: আমার যিনি সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের জন্য যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০৭)
মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত তাক্বওয়ার পোশাক পরিধান করার ব্যাপারে তাকিদ দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَا بَنِي বাকি অংশ পড়ুন...
নতুন লিবাস ও পাগড়ী পরিধান করার সময়, নি¤েœাক্ত দোয়া পাঠ করতে হয়-
اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ اَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ اَسْاَلُكَ مِنْ خَيْرِهٖ وَخَيْرِ مَا صَنَعَ لَهٗ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّهٖ وَشَرِّ مَا صَنَعَ لَهٗ.
অর্থ: “আয় মহান আল্লাহ পাক ! আপনার জন্য সকল প্রশংসা মুবারক। আপনিই এ লিবাস আমাকে পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর মধ্যে নিহিত কল্যাণ ও এটি যেজন্য তৈরী করা হয়েছে, সেসব কল্যাণ আরজু করি। আমি এর অনিষ্টতা এবং এটি তৈরির অনিষ্টতা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় কামনা করছি। ” (আবূ দাউদ ২য় জিলদ; ২০২পৃষ্ঠা, বযলুল মাজহুদ ৬ষ্ঠ জিলদ; ৩৯ পৃষ্ঠা, তিরমিযী শরীফ ১ম জিলদ; ২০৯পৃষ্ঠা, তুহ্ফাতুল আহ্ওয় বাকি অংশ পড়ুন...
সুন্নতী রুমাল মুবারক উনার রং:
মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় সাদা রুমাল মুবারক পরিধান করতেন। কাজেই পুরুষের জন্য সাদা রুমাল পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক। সুতরাং সম্মানিত সুন্নতী রুমাল মুবারক উনার রং হবে সাদা।
পুরুষের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা হারাম। কেননা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুরুষের জন্য লাল কাপড় পরিধান করাটা পছন্দ করতে বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت ام المؤمنين الثالثة الصديقة عليها السلام ما أَتَى رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليهِ وسلَّم أَحَدًا مِن نِسائِه إلا مُتَقَنِّعًا ، يُرخِي الثوبَ على رأسِه حياء.
অর্থঃ “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখনই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের কারো নিকট তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করতেন, তখন তিনি (সম্মানিত রুমাল মুবারক দিয়ে) মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরুল হুদা বাকি অংশ পড়ুন...












