দ্বীন ইসলাম গ্রহণ:
অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মদীনা শরীফে তাশরীফ মুবারক রাখলেন, আমি তখন বাগানে খেজুর পাড়ছিলাম, আর আমার ফুফু খালিদা বিনতুল হারিছ খেজুর কুড়াচ্ছিলেন। এই সময় ইয়াহুদী গোত্র বনু নাদ্বীরের এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলতে লাগলো, আরবের অধিকারী ব্যক্তি আজ এসে গেছেন। এ কথা শুনে আমি কাঁপতে শুরু করলাম এবং জোরে তাকবীর দিলাম। আমার বৃদ্ধা ফুফু আমার এ অবস্থা দেখে বললেন, ওরে খবীছ! তোমার যা হাল হয়েছে, হযরত মূসা ইবনে ইমরান আলাইহিস সালাম তিনিও যদি আসতেন, তা হলেও উনার চেয়ে বে বাকি অংশ পড়ুন...
এখন কোন পিতা-মাতা যদি বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা হয়, ছেলে-মেয়েরা যদি খোঁজ-খবর না নেয় তাহলে দেখা যাবে নির্ঘাৎ উনারা কষ্ট পাবে ক্ষেত্র বিশেষ কষ্টে মারাও যেতে পারে। যেমন ছেলে-মেয়ে এক ফোঁটা দুধ না পেলে মারা যেতো। পিতা-মাতা সেটা করে থাকেন। অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে পিতা-মাতার একটি খুছূছিয়াত রয়েছে। তাহলো, যিনি খ¦লিক যিনি মালিক রব তায়ালা তিনি লালন-পালন করেছেন, এখানে বাবা-মাকে সেই রুবুবিয়্যাতের একটা হিস্সা দান করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি খ¦লিক মালিক রব তায়ালা হিসাবে বান্দাকে লালন-পালন করেন, দয়া-ই বাকি অংশ পড়ুন...
অত্র দশখানা পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করা হলো এতে কি বলা হয়েছে? মুসলমানরা কি শিখলো। এজন্য বিভিন্ন কিতাবাদিতে দেখা যায়, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নাম মুবারক কিতাবের শেষে নামকাওয়াস্তে লেখা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! উনাদের শান-মান মানুষ উপলব্ধি করতে পারেনি। কাজেই উনাদের শান-মান বেমেছাল যা জিন-ইনসানের চিন্তা-ফিকিরের উর্র্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! আর যারা উনাদের শান-মান নিয়ে চু-চেরা, কীল-কাল করবে সে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে এবং সে সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
আখাছ্ছুল খাছ আহলে বাইতে রসূলিল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
তোমরা জবান দিয়ে নিজেরা অনেকবার আলোচনা করেছ, মুখে প্রকাশ করেছ, মানুষকে ওয়াসওয়াসা দিয়েছ। বারবার বলেছ যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি এটা কি করলেন। নাঊযুবিল্লাহ! তিনিতো হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম! এটা কি করে সম্ভব। ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু বলেছ। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! অথচ তোমাদের বলা উচীত ছিলো-
مَّا لَيْسَ لَكُم بِهِ عِلْمٌ
“এ ব্যাপারে তোমাদের কোন ইলিম-কালাম নেই। ” তোমরা কি এ বিষয়টাকে হাল্কা মনে করেছ। নাঊযুবিল্লাহ! কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে এটা একট বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ কবুলের আলামতসমূহ:
১. ভয় লাগা, ভীতি সঞ্চার হওয়া।
২. অন্তরের পরিবর্তন হওয়া, অসাধারণ অবস্থার সৃষ্টি হওয়া।
৩. শরীরের পশম দাড়িয়ে যাওয়া, শরীর শিউরে উঠা।
৪. অজান্তেই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়া।
৫. বিকট আওয়াজে ক্রন্দন করা।
৬. অজান্তেই হেসে দেয়া।
৭. অন্তরের পরিবর্তনের পর প্রফুল্লতা অনুভব করা।
৮. হৃদয় ও মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাওয়া।
৯. সব কিছু হালকা পাতলা ও ঝরঝরে মনে হওয়া।
১০. নিজের উপর থেকে কোন বিপদ কেটে গেছে এমনটি মনে হওয়া।
১১. যা দু‘আ করেছে সরাসরি সেটা পাওয়া।
১২. যা চেয়েছে তার থেকে উত্তম কিছু পাওয়া।
১৩. ক্বলব বা অন্তরে ইতমিনান বা প্ বাকি অংশ পড়ুন...












