উচ্চ রক্তচাপ খুব পরিচিত রোগ। বিভিন্ন অঙ্গ উচ্চ রক্তচাপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখ এর মধ্যে অন্যতম। অনেক বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চোখের রেটিনায় বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। একে বলা হয় হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি। হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথির প্রথমেই রেটিনার রক্তনালিগুলো সরু হতে থাকে। কোনো কোনো রক্তনালির রঙের পরিবর্তন হতে পারে। একে বলা হয় সিলভার অয়ারিং। রক্তনালি থেকে বিভিন্ন উপাদান চোখের ভেতরে রেটিনার সামনে চলে আসে। ডিস্ক ইডিমা তৈরি হয় শেষ পর্যায়ে। এসব অবস্থাকেই একত্রে বলা হয় হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি।
গঠনশৈল বাকি অংশ পড়ুন...
সাবএরাকনয়েড রক্তক্ষরণ হলো মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ একধরনের রক্তক্ষরণ, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাথার আঘাতের কারণে হয়ে থাকে। আঘাত ছাড়াও মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমের কারণেও হয়। অ্যানিউরিজম হলো মস্তিষ্কের ধমনির একটি বেলুনিং বা ফোলা অংশ, যা আকস্মিক ফেটে গিয়ে রক্তপাত ঘটায়। সাবএরাকনয়েড হেমোরেজ একটি জরুরি অবস্থা। এ রকম অবস্থা হঠাৎ ঘটলে অতি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
উপসর্গ
যখন এ রকম কোনো রক্তপাতের ঘটনা ঘটে, তখন সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো হঠাৎ মারাত্মক মাথাব্যথা শুরু হওয়া। এটিকে রোগী বাকি অংশ পড়ুন...
ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকা জরুরী। ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সবারই জেনে রাখা উচিত। কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই যাতে সতর্ক হওয়া যায়। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে জ্বর, র্যাশ, গায়ে ও হাত-পায়ে ব্যথা ইত্যাদি হলো প্রাথমিক লক্ষণ। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীর অনেকটাই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে বা ডেঙ্গু ধরা পড়লে খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিতে হবে। এমনভাবে খাবার নির্বাচন করতে হবে, যা অল্প খেলেও ক্যালরির চাহিদা পূরণ করতে পারে অর্থাৎ অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন নরম পাতলা মুগ ডালের খিচুড়ি, স্যুপ, বাকি অংশ পড়ুন...
অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার একটি স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা, যেখানে সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে এবং চারপাশের পরিবেশ ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগে সমস্যা হয় আর বারবার একই ধরনের সীমাবদ্ধ আচরণ করতে দেখা যায়।
অটিজমের সাধারণ বৈশিষ্ট্য
জন্মের পর শিশুর ১২ মাস বয়সের মধ্যে আধো আধো কোন কথা না বলা কিংবা পছন্দের বস্তুর দিকে ইশারা না করা। ১৬ মাসের মধ্যে কোনো একটি শব্দ বলতে না পারা। শিশুর বয়স বেড়ে যখন ২৪ মাস, তখনো দুই বা ততোধিক শব্দ দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারা কিংবা ভাষার ব্যবহার রপ্ত করতে পারার পর আবার ভুলে যাওয়া। এমন শিশুদের বাকি অংশ পড়ুন...
বাইরের কোনো কোলাহল বা শব্দের উৎস ছাড়াই অনেকে কানে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ শোনেন। কেউ অস্বাভাবিক আঘাতের মতো শব্দ শোনেন, কারও কানে বাতাসের প্রবাহের মতো শোঁ শোঁ শব্দ হয়, কেউবা ভোঁ ভোঁ, ঝিঁ ঝি , টিকটিক, এমনকি সমুদ্রের গর্জনের মতো তীব্র বা মৃদু শব্দ শোনেন। এ সমস্যাকে টিনিটাস নামে অভিহিত করা হয়। এটি আসলে কানের বা শরীরের অন্য কোনো রোগের উপসর্গ।
কারণ
বয়সের কারণ, শ্রবণশক্তি কমে গেলে, কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বসবাস, উচ্চমাত্রার পটকার শব্দ, অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার, কানে ময়লা জমা, কানের সংক্রমণ বা পর্দা ফেটে গেলে কিংবা কানে পানি গেলে, আঘাত পে বাকি অংশ পড়ুন...
খাবার চিবানো, মুখ খোলা–বন্ধ বা নড়ানোর জন্য মুখের একমাত্র যে অস্থিসন্ধি আমরা ব্যবহার করি, তাকে টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট (টিএমজে) বলে। কানের সামনে মুখের দুই পাশে নিচের চোয়াল ও ওপরের চোয়ালের হাড় সংযুক্ত হয় পেশি, লিগামেন্টস ও ডিস্কের সাহায্যে বল ও সকেট তৈরির মাধ্যমে। এই অস্থিসন্ধিতে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্টে সমস্যা হলে খাবার চিবোতে, মুখ খোলা–বন্ধ বা নাড়াতে, হাই তুলতে, কথা বলতে টিকটিক বা অস্বাভাবিক শব্দ হতে পারে, কানের সামনে মুখের দুই পাশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। চিকিৎসা না করালে একপর্ বাকি অংশ পড়ুন...
কিডনি সম্পূর্ণ অকেজো বা বিকল হবার পর বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ত পরিশোধিত করাকে ডায়ালাইসিস বলে। শরীরের দুটি কিডনিই যখন বিকল হয়ে যায়, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। আমাদের শরীরে প্রতি মুহূর্তে বিপাক কার্যক্রম চলমান। এতে তৈরি হয় প্রচুর বর্জ্য পদার্থ। প্রতিদিন এসব বর্জ্য শরীর থেকে বের করে থাকে কিডনি। এর সঙ্গে মূত্র তৈরির মাধ্যমে শরীরে লবণ-পানির ভারসাম্য রক্ষায় ও রক্ত প্রস্তুতেও কিডনির রয়েছে ভূমিকা। রক্তকণিকা তৈরির জন্য অতি আবশ্যক ইরাইথ্রোপয়েটিন ও কোলসিট্রায়াল হরমোনও উৎপাদন করে। ডায়ালাইসিস পদ্ধতিতে রক্ত পরিষ্কার হ বাকি অংশ পড়ুন...
কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হতে পারে সব বয়সের মানুষ। সাধারণত গরমে বা বর্ষার সময় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ। এটি হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এটি চোখ ওঠা নামেই বেশী পরিচিত। সাধারণত এ রোগে বড় বা দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমস্যা না হলেও লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখলে রোগীর কষ্ট লাঘব হতে পারে।
লক্ষণ
১। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া।
২। চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি লাগা।
৩। প্রথমে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্ বাকি অংশ পড়ুন...
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
ওমেগা-৩' হল এক ধরনের অসম্পৃক্ত চর্বি। সম্পৃক্ত চর্বি হল হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেতে বাঁধা নেই, বরং এটি রক্তে উপকারী চর্বির পরিমাণ বাড়ায় এবং দেহের নানা উপকার করে। প্রকৃতিতে কয়েক ধরনের ‘ওমেগা-৩' চর্বি আছে। এর মধ্যে 'আলফা লিনোলেইক' এসিড পাওয়া যায় কিছু উদ্ভিজ্জ্ব খাবার বা তেলে। অন্যদিকে সামুদ্রিক খাবারে পাওয়া যায় 'ইকোসা পেন্টানোয়িক অ্যাসিড' এবং 'ডোকোসা হেক্সানোয়িক অ্যাসিড'। দুধ, ঘি, মাখন, গোশত, ক্রিম, ডিম, চকোলেট ইত্যাদি সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের উৎস বাকি অংশ পড়ুন...
স্টেরয়েড হল হর্মোনের মতো একটি পদার্থ, যা বানানো হয় কৃত্রিম উপায়ে। স্টেরয়েড এক ধরনের ওষুধ যার শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, মারাত্মক অ্যালার্জি ও অন্যান্য রোগে সংকটাপন্ন ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে ওষুধ হিসেবে অনেক সময় স্টেরয়েড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন চর্মরোগ, আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি ও ফুসফুসের কিছু রোগ, পরিপাকতন্ত্র ও কিডনির কিছু সমস্যায় প্রভৃতি রোগে নির্দিষ্ট সময় ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। কিন্তু এই ওষুধের অপব্যবহার আমাদের দেশে অনেক। ব্যথা, চুলকা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান সময় স্তম্ভবিহীন কোনও দালানের কথা ভাবা যায়? অসম্ভব কাজটি দৃষ্টিনন্দন ও সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে রাঙামাটির জেলার কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলের মসজিদ নির্মাণে।
স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি দেশের সবচেয়ে বড় স্তম্ভবিহীন মসজিদ হিসেবে খ্যাত। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শ্রমিক ও কর্মচারীদের সুবিধার্থে কেপিএম এলাকায় ১৯৬৭ খৃ: এটি নির্মাণ করা হয়। পরিচালনা কমিটির তথ্যমতে, ১৩ হাজার বর্গফুটের এই মসজিদে একসঙ্গে চার হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
১৯৫৯ খৃ: পাকিস্তানের দাউদ গ্রুপ কর্ণফুলী পেপার ম বাকি অংশ পড়ুন...
পৃথিবীব্যাপী নৌপথে মানুষের যাতায়াত এবং বাণিজ্য সুদীর্ঘকাল ধরে চলমান। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমনের পূর্ব থেকে আরবের মানুষ সমুদ্রপথে বাণিজ্য করত। সম্মানিত হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সময়ে সামুদ্রিক বাণিজ্যের ধারা আরো গতিশীল হয়। সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার পরিধি বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সমুদ্র বাণিজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা উমাইয়া ও আব্বাসীয়দের যুগেও অব্যাহত থাকে।
বাণিজ্যিক এসব কাফেলার মাধ্যমেই ভারত মহাসাগরের উপকূলে, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনসহ বিশ্বের কোনায় কোনায় বাকি অংশ পড়ুন...












