মহাকাশ অনুসন্ধানে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যখন একটি মাত্র ছবি বিজ্ঞানীদের তাদের জ্ঞান পুনর্বিবেচনা করতে এবং প্রশ্ন করতে বাধ্য করে। ঠিক তাই ঘটেছিলো যখন নাসার পারসিভারেন্স রোভার জেজেরো ক্রেটার অঞ্চলে একা বসে থাকা একটি অদ্ভুত পাথর দেখতে পায়। এর গঠন, রঙ এবং অবস্থান তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
প্রাচীন হ্রদের তলদেশে সাধারণত যে ধরণের পাথর প্রত্যাশিত ছিলো তা এটি ছিলো না। কোটি কোটি বছর ধরে মঙ্গল গ্রহ কিভাবে তার ভূদৃশ্য তৈরি করেছিলো তা বোঝার চেষ্টা করা গবেষকদের জন্য আবিষ্কারটি এখন সর্বশেষ ধাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে, মিশন দলটি বাকি অংশ পড়ুন...
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ৩৩০ কোটি বছরের একটি পাথর খুঁজে পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। আধুনিক পদ্ধতিতে তার মধ্যে প্রাণের চিহ্ন আবিষ্কার করেছে তারা। সে সময়ে পৃথিবীর বয়স ছিলো, আজ যা, তার এক-চতুর্থাংশ।
বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছে, সেই অণুজীব সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করতো। অর্থাৎ সূর্যরশ্মি থেকে শক্তি তৈরি করতো। অণুজীবের ফেলে যাওয়া অণু পরীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিজ্ঞানীরা। তারা ২৩০ থেকে ২৫০ কোটি বছর আগে জীবের সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদনের প্রমাণ পেয়েছে। তার আগে তাদের ধারণা ছিলো, সালোকসংশ্লেষকারী জীব পৃথিবীত বাকি অংশ পড়ুন...
মহাকাশে চাঁদের বর্তমান ছবি দেখলে মনে হয় শুষ্ক, ধূসর আর জনশূন্য এক পাথুরে উপগ্রহের। বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে ধারণা করছে, চাঁদের গভীরে কোথাও পানির অস্তিত্ব রয়েছে। আধুনিক অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের মেরু অঞ্চলে বরফের আকারে বিশাল পানির ভান্ডার রয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু আবিষ্কার থেকে কয়েকশ’ কোটি বছর আগে চাঁদ কেমন ছিলো তা নিয়ে তথ্য জানা গেছে। মনে করা হচ্ছে, প্রাচীনকালে চাঁদে কেবল বরফ জমা হয়নি, সেখানে সম্ভবত আকাশ থেকে তুষারপাতের ঘটনা ঘটতো একসময়।
বিজ্ঞানীদের মতে, যখন চাঁদের জন্ম হয়েছিলো, তখন এটি পৃথিবীর বর্তমান কক্ষপথ থেকে অনেক কাছ বাকি অংশ পড়ুন...
পৃথিবী থেকে মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে। পৃথিবীর মতো কিন্তু আকারে বড় বলে এ ধরনের গ্রহ সুপার-আর্থ নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসি), আরভিনের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই রোমাঞ্চকর সুপার-আর্থ আবিষ্কার করেছে।
নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি তার নক্ষত্রের বাসযোগ্য অঞ্চল থেকে প্রদক্ষিণ করছে। এই অঞ্চলের তাপমাত্রার কারণে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা বেশ। গ্রহটিতে জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করে থাকে। এই নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি মিল্কিওয়ে ছায়াপথের একটি নিকটবর বাকি অংশ পড়ুন...
উত্তর কুয়েতের সুবিয়া এলাকার ঐতিহাসিক বাহরা-১ প্রতœতাত্ত্বিক স্থানে মিলেছে যুগান্তকারী আবিষ্কার। জাতীয় সংস্কৃতি, শিল্প ও পত্র পরিষদ (এনসিসিএএল) জানায়-এ স্থানে পাওয়া গেছে ৭,৭০০ বছরেরও বেশি পুরনো ২০টির বেশি প্রাচীন ভাটি এবং বহু দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন, যা আরব উপদ্বীপের প্রাচীন জীবনযাত্রার ওপর নতুন আলোকপাত করছে।
সাম্প্রতিক খননে বেরিয়ে এসেছে ডানাওয়ালা পেঁচার অর্ধেক মডেল, স্থানীয়ভাবে জন্মানো প্রায় ৭,৫০০ বছর পুরনো বার্লির অবশেষ, ভাঙা মৃৎপাত্র, ছোট আকৃতির মানবমাথার মডেল, প্রাচীন জাহাজের মডেল এবং খাদ্য প্রস্তুতির মাটির পাত্রসহ বেশ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রায় ৬ শ বছরের পুরানো মাচাইন জামে মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদটি ‘মাচাই মসজিদ ও মাজার’ নামেও পরিচিত। ত্রি-গম্বুজ বিশিষ্ট ও আকর্ষণীয় শিল্পমন্ডিত এই মসজিদটি দেশের অন্যতম পুরাকীর্তির একটি।
শিলালিপি অনুযায়ী, মসজিদটি ১৫০১ সালে হোসেন শাহ্ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিলো।
মসজিদটির অবস্থান মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় মাচাইন গ্রামে।
জেলা সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে মূল অংশের ওপর রয়েছে তিনটি গম্বুজ। মূল অংশের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের গম্বুজের চেয়ে মাঝের গম্বুজটি একটু বড়। মসজিদটির মূল অংশের ওপর রয়েছে নিখুঁত খাঁজকাটা ক বাকি অংশ পড়ুন...
শাসনের অবসান ঘটায়। এতে করে স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী কোম্পানীগুলো বিপুলভাবে বৈষয়িক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা লাভ করে।
কোম্পানীর অধীনে চাকুরী-বাকুরী ও ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্যে স্থানীয় হিন্দুরা খুব দ্রুতই বুঝতে পেরেছিলো ‘English is money’ ইংরেজী ভাষার অপর নাম অর্থ এবং এজন্যে তারা যতটুকুই ইংরেজী ভাষা রপ্ত করতে পারুক না কেন, তার জন্যে প্রবল আগ্রহান্বিত হয়ে পড়ে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে যেখানে সেখানে কোলকাতা ও তার আশেপাশে ইংরেজী স্কুল গড়ে উঠে এবং হিন্দুরা এসব স্কুল থেকে কাজ চালাবার মতো ইংরেজী ভাষা শিক্ষা করে।
অপরদিকে মুসলমা বাকি অংশ পড়ুন...
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে এক ভেড়ার খামারের পেছনের উঠোনে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর পুরোনো কুমিরের ডিমের খোসা পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছে, এগুলো সম্ভবত প্রাগৈতিহাসিক ধরনের কুমির ‘ড্রপ ক্রোক’-এর। তারা গাছে উঠে শিকার ধরতো বলে ধারণা করা হয়।
এই আবিষ্কারটি সম্প্রতি জার্নাল অব ভার্টিব্রেট প্যালিয়োনটোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এই ডিমের খোসাগুলো ‘মেকোসুকাইন’ নামের এক বিলুপ্ত কুমির প্রজাতির। তারা অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ আবদ্ধ পানিতে বাস করতো। অস্ট্রেলিয়া তখন ছিলো অ্যান্টার্কটিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে ইউরোপজুড়ে মুসলমানবিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে। ইউরোপের অমুসলিম দেশগুলোতে মুসলমানদের উপর চলছে অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন। অথচ এই ইউরোপকেই সমৃদ্ধ করেছেন মুসলমানরা। বিশেষ করে আফ্রিকান মুর মুসলমানরা।
শুধু আধুনিক কালেই আফ্রিকার মুসলমানরা ইউরোপকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করেনি, বরং প্রাচীনকালেও ইউরোপে সভ্যতার আলো দান করেছিলেন তারা।
পশ্চিমা বিশ্বের ইতিহাস পড়ানোর সময় মধ্যযুগকে সাধারণভাবে অন্ধকার যুগ বলা হয়। অথচ, এর পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র ও বিদ্বেষ। কারণ এই মধ্যযুগে জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতির চরম শিখর স্পর্শ করেছিল বাকি অংশ পড়ুন...
হারিয়ে যাচ্ছে আভিজাত্যের ঐতিহাসিক ঘোড়ার গাড়ি। এক সময় ঘোড়া বা ঘোড়ার গাড়িতে কেবল রাজা-জমিদাররাই চড়তে পারতো। এটি ছিলো মূলত ধনাঢ্য পরিবারের মানুষের বাহন। এ প্রজন্মের কেউ বাস্তবে রাজা-বা রাজকুমারকে ঘোড়ায় চড়ে ছুটে চলার দৃশ্য দেখেনি। ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধে যাওয়ার দৃশ্য বাস্তবে এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা না দেখলেও, কিছু ঘোড়ার গাড়ির আধুনিক সংস্করণ এখনো দেখা যায়। ডিজেল-তেল মবিলের গাড়ির আধিক্যে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সেই সুন্নতি বাহন ঘোড়ার গাড়ি।
ইতিহাস:
জানা যায় ১৮৩০ সালে পুরান ঢাকায় সর্বপ্রথম ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন শুরু হয়। এই বাহনটি ছি বাকি অংশ পড়ুন...
প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। তখন মেঘনা ও খরস্রোতা ডাকাতিয়া নদীর মোহনা জনবিরল বিশাল চরাঞ্চল। তখন এখানে আগমন ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দ্বীন ইসলাম প্রচারক অনেক আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের। বলা হয়, বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার ঘটেছে এই এলাকাকে কেন্দ্র করে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি লক্ষ¥ীপুর জেলার রায়পুর পৌর শহর থেকে ৮০০-৯০০ গজ পূর্বে পীর ফয়েজ উল্লাহ সড়কের দক্ষিণ দিকে দেনায়েতপুর গ্রামে অবস্থিত।
দিল্লির শাহী জামে মসজিদের হুবহু নমুনার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থ এবং মাটি থেকে ১০ ফ বাকি অংশ পড়ুন...
গুগল ম্যাপে ভারত মহাসাগরের গভীরে তাকালে চোখে পড়ে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপপুঞ্জ-চারপাশে কেবল নীল পানিরাশি, হাজার কিলোমিটার দূরেও কোনো স্থলভাগের অস্তিত্ব নেই। এই অনিন্দ্য সুন্দর দ্বীপপুঞ্জের নাম কোকোস দ্বীপপুঞ্জ, যা আজ অস্ট্রেলিয়ার একটি বাইরের অঞ্চল। প্রকৃতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিশেল এই দ্বীপপুঞ্জকে করে তুলেছে রহস্যময় ও মোহনীয়।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৬০৯ সালে এই দ্বীপ আবিষ্কার করা হয়। দীর্ঘদিন দ্বীপটি জনশূন্যই ছিলো, কারণ ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর কাছে এর তেমন গুরুত্ব ছিলো না।
পরবর্তীতে ১৮২৬ সালে দু’জন স্কটিশ নাবিক ও ব্যব বাকি অংশ পড়ুন...












