মুরীদ বা সালিকের জন্য পবিত্র আদব-কায়দা উনার প্রতি খেয়াল রাখা অবশ্য কর্তব্য। পবিত্র আদব অর্থ স্বাভাবিকতা। অর্থাৎ যা স্বাভাবিক তাই পবিত্র আদব। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বলা হয় ‘ফিতরাত’ বা স্বাভাবিকতার দ্বীন। অর্থাৎ অন্য ভাষায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম পবিত্র আদব উনারই দ্বীন।
অপরদিকে পবিত্র তরীক্বত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে-
اَلطَّرِيْقَةُ كُلُّهٗ اَدَبٌ
অর্থ: “পবিত্র তরীক্বত উনার সবটুকুই আদব। ” (মাকতুবাত শরীফ, মাদারিজুস সালিকীন)
আরো বলা হয়েছে যে-
اَلتَّصَوُّفُ كُلُّهٗ اَدَبٌ
অর্থ: “পবিত্র তাছাওউফ সম্পূর্ণই আদবের অন্তর্ভুক্ত। ” (মাকতুবাত শরীফ, মাদা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ত্রয়োদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ:
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَن حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا"
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর শুরুতে এমন একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন, যিনি উনার যামানায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সংস্কার করেন। ” (আবু দাউদ শরীফ)
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আল্লামা রুহুল আমীন বশি বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ খাটো করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক:
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرتْ أَبي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ اَلْفِطْرَةُ خَمْسٌ أَوْ خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ ـ الْخِتَانُ، وَالاِسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الإِبْطِ، وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফিতরাত অর্থাৎ মানুষের জন্মগত স্বভাব পাঁচটি- (পুরুষের জন্য) খৎনা করা, (নাভীর নিচের পশম কাটার জন্য) ক্ষুর ব্যবহার করা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো করা। (মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরবানী একটি ঐতিহ্যবাহী শরয়ী বিধান ও ইসলামী কাজ। যা খাছ সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুন্নতে খলীল আলাইহিস স বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
وَآتُوا الزَّكَاةَ
যাকাত আদায় করো।
যাকাত যদি আদায় করে তার পবিত্রতা হাছিল হয়। আর যাকাত যদি কেউ আদায় না করে, তার পবিত্রতা বজায় থাকে না। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে সেটা উল্লেখ করেছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ
যারা স্বর্ণ-চান্দি জমা করে, সঞ্চয় করে,
وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
আনজুমানে মুফিদুল ইসলাম তথাকথিত জণকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া বা চামড়া বিক্রির অর্থ প্রদান করা জায়িয হবে কি?
জাওয়াব:
বর্তমান সময়ে তথাকথিত জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম হচ্ছে “আনজুমানে মফিদুল ইসলাম”। তারা জনকল্যাণের নামে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার পবিত্র কুরবানী পশুর চামড়া ও চামড়া বিক্রির অর্থ মুসলমান উনাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। এই অর্থ তারা আমভাবে খরচ করে থাকে। যেমন রাস্তাঘাট, পানির ব্যবস্থা, বেওয়ারিশ লাশ দাফন করার কাজে; সেটা মুসলমানদেরও হতে পারে আবার বিধর্মীদেরও হতে পারে। অথচ পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র জানাযার নামাযের নিয়ম
জানাযার নামায পড়ার পূর্বে মাইয়্যিতের ওলী বা অভিভাবককে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, মাইয়্যিতের কোন ঋণ আছে কি-না? যদি থাকে তাহলে সেগুলো কে এবং কিভাবে পরিশোধ করবে তা জানতে হবে। নামায ও রোযা কাযা আছে কি-না? যদি থাকে তাহলে তার কাফফারা দিতে হবে। সেটা কে বা কিভাবে আদায় করবে তা জানতে হবে।
(বিতরসহ দৈনিক ছয় ওয়াক্ত নামাযের কাফ্ফারা দিতে হবে। যত ওয়াক্ত নামায কাযা থাকবে তার প্রতি ওয়াক্তের জন্য এক ফিতরা পরিমাণ কাফফারা দিতে হবে। একইভাবে প্রতিটি রোযার জন্য এক ফিতরা। তবে প্রতি রোযা বা নামাযের জন্য ২ কেজি আটা বা ময়দা কিংবা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস অন্যান্য মাসগুলোর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসের বহুবিধ তাৎপর্য রয়েছে। হিজরী মাসের দশম মাস পবিত্র শাওওয়াল শরীফ। এই মাস পবিত্র হজ্ব উনার তিনটি মাসের (শাওওয়াল, যিলক্বদ, যিলহজ্ব) অন্তর্ভুক্ত। এ মাসের প্রথম তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিন। পহেলা শাওওয়াল শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল ফিতর ছুবহে ছাদিকের সময় ছদক্বাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়, তবে এ ছদক্বা বা ফিতরা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের মধ্যে আদায় করা উত্তম এবং অধিক ফযীলত লাভের কারণ। পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিনে পবিত্র ঈদের নামায আদায় করা ওয়াজিব। এই মাস বিভিন বাকি অংশ পড়ুন...
ছদাক্বাতুল ফিতর শব্দের অর্থ:ছদাক্বাতুল ফিতর (صَدَقَةُ الْفِطْرِ) আরবী শব্দ। এখানে صدقة শব্দের অর্থ দান করা। আর الفطر শব্দের অর্থ ভঙ্গ করা। সুতরাং ছদাক্বাতুল ফিতরের সম্মিলিত অর্থ হল ভঙ্গ করার দান। যাকে যাকাতুল ফিতর বলেও উল্লেখ করা হয়।
পারিভাষিক অর্থে দীর্ঘ একমাস রোযার রাখার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিন মালিকে নিছাবের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ২ জনের জন্যে এক ছা’ আটা বা তার মূল্য পরিমাণ যে সম্পদ গরীবকে প্রদান করা হয় তাকে ছদাক্বাতুল ফিতর বলে।
ছদাক্বাতুল ফিতর কে দিবেন:
ছদাক্বাতুল ফিতর প্রদান করা ধনীদের জন্যে ওয়াজিব। দ্বিতীয় হিজরীর শা’বান বাকি অংশ পড়ুন...












