এখন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাযির (উপস্থিত) থাকার কারণে সকলেই বেঁচে গেছেন, যারা প্রতিবাদ করেনি এবং যারা প্রতিবাদ করেছেন এবং যারা জড়িত ছিলেন উনারাও বেঁচে গেছেন, ইস্তেগফার করে, তাওবাহ করে এবং ক্ষমা প্রার্থণা করে। সুবহানাল্লাহ! তবে সবচেয়ে বড় শয়তান যেটা কাট্টা মুনাফিক উবাই বিন সলূল তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন, অন্যান্যদেরকে ৮০টি দোররাহ মারা হয়েছিল, আর কাট্টা মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূলকে ১৬ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে পবিত্রা বললেও ভুল হবে। উনারা হলেন পবিত্রতা দানকারিণী। সুবহানাল্লাহ! উনারা যদি পবিত্রতা দানকারিণী হয়ে থাকেন তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্রতা কত বেমেছাল তা বলার অপেক্ষায় রাখে না। সুবহানাল্লাহ! অতএব যারা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে চু-চেরা কীল-কাল করবে, উনাদেরকে কোন প্রকার দোষারোপ করবে তাদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। তাদের জন্য সম্মানিত শরীয়ত উনার শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিন বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের দ্বারা এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করাকে হারাম ঘ বাকি অংশ পড়ুন...
মুজাদ্দীদী গুলবাগিচায় ফুটেছেন শাহী গোলাপ
খমীস সাইয়্যিদুল উমাম সুমহান জান্নাতী সাবাব
সাইয়্যিদি অন্দর মহলে, খুশিতে মুখর সকলে
নিবরাসাতুল উমামী কোলে, এসেছেন শাহে আরাব
মুবারক শুভ আগমন, এনেছেন ঈদের সমীরণ
আনন্দিত জনগণ, রূহানী মজলিসে করে ভাব
পেয়ে এমন সুসংবাদ, মজলুমেরা পায় আজাদ
ছানী শাহজাদী, শাহদামাদ রহমত দানেন বেহিসাব
আরোশী দ্বার খুলে আজ, বর্ষিছে অবারিত নাজ
উমামী শাহী শিরোতাজ, নন্দিত মাদানী আফতাব
সারি বেধে দলে দলে, হাজির সামা মাহফিলে
ক্বাছিদায় মিলিত দিলখুলে, ত্বলায়াল খোদায়ী মেহরাব
সর্বশেষ এ শব্দ মালায়, নিবেদন নুরুদ দারাজ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আবয়াদ্ব ইবনে হাম্মাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইয়ামান দেশের অধিবাসী। বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফের সন-তারিখ পাওয়া যায়নি। তিনি পবিত্র মদীনা শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাক দরবারে আগমন করেন এবং মাআরিবের একটি লবণের খনি জায়গীর হিসাবে চান। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে উহা প্রদানে স্বীকৃত হন। কিন্তু এক ব্যক্তির আপত্তিতে উক্ত মজলিসেই আবার উহা প্রত্যাহার করে নেন। উহার পরিবর্তে উনাকে অন্য জায়গায় খেজুর বাগান প্রদান করে বাকি অংশ পড়ুন...
“মুগনী” কিতাবে উল্লেখ আছে- لَهْوَ الْحَدِيْثِ ‘লাহ্ওয়াল হাদীছ’ হচ্ছে- গান-বাজনা, সঙ্গীত। এ আয়াত শরীফ দ্বারা তা হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। যে ব্যক্তি এটাকে হালাল জানবে সে কাফের হবে।
وَفِىْ جَامِعِ الْفَتَاوَى اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا وَضَرْبُ الْمَزَامِيْرِ وَالرَّقْصُ كُلُّهَا حَرَامٌ وَمُسْتَحِلُّهَا كَاِفرٌ.
অর্থ: জামিউল ফতওয়াতে” উল্লেখ আছে, গান-বাজনা শ্রবন করা, গান-বাজনার মজলিসে বসা, বাদ্য-যন্ত্র বাজানো, নর্তন-কুর্দন করা সবই হারাম। যে ব্যক্তি এগুলোকে হালাল মনে করবে সে ব্যক্তি কাফের।
বাকি অংশ পড়ুন...
মুহাব্বতের মওত আমি চাই
ইয়া রাসূলাল্লাহ
মুহাব্বতে মরে যেতে চাই
ইয়া নাবীয়াল্লাহ
নিছবতি নৌকাতে আমার মিলে যেন ঠাই
মিলে যেন ঠাই হাবীবী মিলে যেন ঠাই
সাইয়্যিদু আওক্বাতে অধম আরজি পাঠাই
ইয়া শাফিয়াল্লাহ
মুহাব্বতে মরে যেতে চাই
ইয়া নাবীয়াল্লাহ
বিরহের আগুনে হৃদয় পুড়ে পুড়ে ছাই
পুড়ে পুড়ে ছাই হাবীবী পুড়ে পুড়ে ছাই
এলোমেলো ছন্দমালায় হামেশা কাতরাই
ইয়া হাদীয়াল্লাহ
মুহাব্বতে মরে যেতে চাই
ইয়া নাবীয়াল্লাহ
হাকীকী দিওয়ানা হতে চেষ্টা করে যাই
চেষ্টা করে যাই হাবীবী চেষ্টা করে যাই
দুনিয়ার-ই শত বাধায় কত হোচট খাই
ইয়া হাফিজাল্লাহ
মুহাব্বতে ম বাকি অংশ পড়ুন...
অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারাও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের চূড়ান্ত কবুলিয়াতে বিষয়টি পরিস্ফুটিত হয়েছে। যার কারণে উনাদের ইখতিলাফও হিদায়েতের কারণ এবং তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট গ্রহণযোগ্য হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে উনাদের যে কাউকে, যে কোন ব্যক্তি, যে কোন বিষয়ে অনুসরণ করবে, সে ব্যক্তি হিদায়েত লাভ করবে বা হিদায়েতের উপর থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের দোষ-ত্রুটি বা উনাদের প্রতি মিথ্যারোপ করা (যদিও উনাদের কোন দোষ-ত্রুটি নেই), উনাদের বাকি অংশ পড়ুন...
“গান-বাজনা” ও “বাদ্য-যন্ত্র” হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى مَعْصِيَةٌ وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا فِسْقٌ وَالتَّلَذُّذُ بِهَا مِنَ الْكُفْرِ
অর্থ: গান শোনা গুণাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসেকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার পূর্বাভাস মুবারক:
একদিন দুপুর বেলার কথা। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার বাড়িটা ছিলো দোতলা। অনেক বড় বাড়ি ছিলো। তিনি দোতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি দেখতে পেলেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ প্রবেশ করছেন আর বিশেষ দুই জন সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা বাকি অংশ পড়ুন...
লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, إتمام ‘ইতমাম’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে চূড়ান্ত, পরিপূর্ণ, পূর্ণকরণ ইত্যাদি। কোন একজন লেখক যখন একটা কিতাব লিখবেন তখনি শুরুতেই কি চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ করে লেখার কোন কারণ আছে? কিতাবাদি যারা বুঝেন তারা জানেন, একজন লেখক একটা কিতাব লেখার পর একটা সময় মনে করেন এই কিতাবে আরো কিছু দলীল সংযুক্ত করা দরকার তখন তিনি আগের কিতাবকে পূর্ণতা দেয়ার জন্য ‘ইতমাম’ দিয়ে আরেকটা সংস্করণ করেন। অথবা লেখক যদি চান আগের কিতাবের সংক্ষিপ্ত রূপ তৈরী করবেন তিনি তখন পরবর্তী একটা সময়ে গিয়ে মুখতাছার বা সংক্ষিপ্ত আকারে লিখেন। আর ক্ষেত্র বিশেষে এই ক বাকি অংশ পড়ুন...












