(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا قَالَتْ اَتَانَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ عِنْدَنَا فَاسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاَبـِىْ وَاُمِّىْ مَا أَضْحَكَكَ؟ قَالَ رَاَيْتُ قَوْمًا مِنْ اُمَّتِىْ يَرْكَبُوْنَ هٰذَا الْبَحْرَ كَالْمُلُوْكِ عَلَى الْاَسِرَّةِ قُلْتُ ادْعُ اللهَ اَنْ يَّجْعَلَنِىْ مِنْهُمْ قَالَ فَاِنَّكِ مِنْهُمْ ثُمَّ نَامَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ فَسَاَلْتُهٗ فَقَالَ يَعْنِىْ مِثْلَ مَقَالَتِهٖ قُلْتُ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ قَالَ أَنْتِ مِنَ الْأَوَّلِي বাকি অংশ পড়ুন...
একবার হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি গৃহে এসে উনার আহলিয়া হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাবার গ্রহণ না করে আছেন, কিছু খাদ্য পাঠিয়ে দিন। হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি পুত্র হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মারফত কিছু রুটি একটি কাপড়ে জড়িয়ে পাঠিয়ে দিলেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দেখে জিজ্ঞা বাকি অংশ পড়ুন...
বিদুষী হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা কয়েকখানা হাদীছ শরীফ রেওয়ায়েত করেছেন। তিনি ফিকাহের মাসয়ালা মাসায়েলেরও ভাল জ্ঞান রাখতেন।
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমার মা হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার সম্মানিত আহাল হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পক্ষের আবু উমাইর নামে একজন ছোট ছেলে ছিলেন। যিনি আমার বৈপিত্রীয় ভাই। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের বাড়ীতে তাশরীফ মুবারক নিয়ে উনার সাথে মাঝে মধ্যে খুশি প্রকাশ করতেন। একদিন বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিজরত মুবারক করে পবিত্র মদীনা শরীফে আগমন করার পর হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা স্বীয় পুত্র হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে সঙ্গে নিয়ে উনার খিদমতে উপস্থিত হন এবং বলেন, আমার পুত্র আনাসকে আপনার খিদমতে পেশ করছি। আপনি তাকে কবুল করুন এবং তার জন্য দোয়া করুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার জন্য দোয়া মুবারক করলেন। মদীনা শরীফে মুহাজির ও আনছারদের মধ্যে বাকি অংশ পড়ুন...
নাম মুবারক উম্মে সুলাইম, তবে উনার আসল নাম নিয়ে মতভেদ আছে, যেমন সাহলা, রুমায়লা, রুমায়সা ইত্যাদি।
হযরত উম্মে সুলাইম বিনতু মিলহান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি মদীনা শরীফের বনু নাজ্জার গোত্রের মহিলা ছাহাবী। একই গোত্রের মালিক ইবনে নদ্বর নামে এক ব্যক্তি ছিলো উনার আহাল বা স্বামী। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিখ্যাত খাদিম হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন উনারই পুত্র। হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি অন্যান্য আনছারী ছাহাবী উনাদের সঙ্গে প্রথম দিকেই ইসলাম বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
নাম মুবারক আনাস, কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক আবু হামযাহ, লক্বব মুবারক খাদিমু রসূলিল্লাহ, পিতার নাম মালিক ইবনে নদ্বর, মাতার নাম হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার আসল নাম নিয়ে মতভেদ আছে, যেমন সাহলা, রুমায়লা, রুমায়সা ইত্যাদি।
বিলাদত শরীফ ও পারিবারিক জীবন:
মদীনা শরীফের বিখ্যাত খাযরাজ গোত্রের বনু নাজ্জার শাখায় হিজরতের দশ বছর পূর্বে ৬১২ খৃ: সনে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেন। (আল-আ’লাম)
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চাচা বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকৃত নাম ছিলো সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাহলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা নামে মশহুর। ইতিহাসে এ নামেই সবাই উনার পরিচিতি লাভ করেছেন। উনার পিতার নাম মিলহান। তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার প্রসিদ্ধ বনু নাজ্জার গোত্রের মেয়ে ছিলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খালা হওয়ার অনন্য মহাসম্মানিত গৌরব অর্জন করেন। তিনি প্রথমে মালেক ইবনে নাজ্জারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাকি অংশ পড়ুন...












