ঝগড়া-বিবাদ খুবই ন্যাক্কারজনক ও খারাপ কাজ। নিজের হক্ব ও অধিকার রক্ষা ও লাভের জন্য ন্যায় পন্থায় বিবাদ করা দুরস্ত থাকলেও বিবাদ পরিহার করে চলা সর্বাবস্থায়ই উত্তম। ঝগড়া-বিবাদ করলে কথায় কথায় অশ্লীল, গালিগালাজ ও কটুবাক্য এসে যায় এবং মনের ভিতরে ঘৃণা বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়। যার কারণে ভয়াবহ পরিণামেরও সম্মুখীন হতে হয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اقْتَتَلُوا فَاَصْلِحُوْا بَيْنَهُمَا ۖ فَاِنْ بَغَتْ اِحْدَاهُـمَا عَلَى الْاُخْرٰى فَقَاتِلُوا الَّتِيْ تَبْغِيْ حَتّٰى تَفِيْءَ اِلٰى اَمْرِ اللهِ ۚ فَاِنْ فَاءَتْ فَاَصْلِحُ বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
(১)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পরবর্তী উম্মতরা যদি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ন্যায় ঈমান আনেন তবে তারা হিদায়েতপ্রাপ্ত হবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বার বাকি অংশ পড়ুন...
শাতিম রাজপাল:
১৯২৯ সালের ৩১ অক্টোবর গাজী ইলমুদ্দীনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তিনি এখন গাজী থেকে শহীদের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। মিয়ানওয়ালিতে উনাকে দাফন করা হয় যদিও মুসলমানগণ উনার লাশকে লাহোরে দাফন করতে চেয়েছিলেন। ব্রিটিশ বেনিয়ারা ভয় পেয়েছিলো যে, এটা একধরনের উত্তেজনা তৈরি করবে যা হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা তৈরি করতে পারে। আল্লামা মুহম্মদ ইকবাল এবং মিয়া আবদুল আযীয লাশ লাহোরে নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।
এরপর তার দেহ কবর থেকে ১৫ দিন পর তুলে আনা হয়। কিন্তু লাশে কোনো পচন ধরেনি; বরং চাঁদের আলোর ন্যায় জ্বলজ্বল করছিলো। দুই বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইসলামী সভ্যতা শুরুর দিক থেকে সরাইখানার সাথে জড়িত। মুসলমান সভ্যতার সূচনাকাল থেকেই পান্থনিবাস ও সরাইখানা নির্মাণের যে ইতিহাস তা সত্যিকার অর্থেই ইসলামী নগরায়ন ও সভ্যতার উন্নতির সাক্ষ্য দেয়। পথিক, মুসাফির ও আগন্তুকদের অবস্থা কতটা গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হতো তাও বোঝা যায়। মুসাফির যদি যাকাতের সম্পদের হক্বদার হতো তাহলে সালতানাত তাদের খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করতো। ফলে পান্থনিবাস ও সরাইখানা ছিলো জনকল্যাণেরই একটি অংশ, আর জনকল্যাণের ধারণাটি দিয়েছেন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম। সম্মানিত ইসলামী সভ্ বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ‘পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ’ উনার ৮নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সমস্ত ইজ্জত-সম্মান মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং উনার যিনি রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: “তোমাদের জন্য তোমাদের মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছেন সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: আয়াত শরীফ ২১)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বকালের সবার জন্য সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। মাখলুকাতের সবার জন্যই তিনি অনুসরণীয়-অনুকরণীয়। সঙ্গতকারণেই উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা, বেশি বেশি আলো বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যমীনে এবং পানিতে যত ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়ে থাকে সব মানুষের হাতের কামাই।” আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল বাকি অংশ পড়ুন...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধিতা করেছিলো বিধর্মীরা। তাদের প্রবল বিরোধিতার মোকাবিলা করেই ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে এবং জাহাঙ্গীরনগর ১৯৭০ সালে। দেখা যাচ্ছে, সাতচল্লিশের আগে এই বাংলার ভূখ-ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি এবং না হওয়ার মূল কারণটাই হচ্ছে বিধর্মীদের বিরোধিতা। কারণ পশ্চিমবঙ্গের ও ভারতের বিধর্মীরা কখনোই চায়নি মুসলমানগণ উচ্চশিক্ষিত হোক।
উইকিপি বাকি অংশ পড়ুন...
মালউনটাকে হত্যার পরবর্তী ঘটনা:
মুহম্মদ কা’ব শরীফ লিখেন, গাজী মুরীদ হুসাইন উনাকে শাহাদাতের সিংহাসনে হাজির করার পর তিনি পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়ছিলেন। উনাকে বলা হলো, যবান বন্ধ করুন। তিনি উত্তর দিলেন, আমার কাজ আমি করছি। তোমাদের কাজ তোমরা করো। কয়েক মুহূর্ত পরেই তিনি ফাঁসির কাষ্ঠে চড়লেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক হিফাযতের জন্য নিজের জীবন কুরবান করে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকি অংশ পড়ুন...
‘মাযহাব’ শব্দের সমার্থবোধক লাফ্য বা শব্দ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অনেক স্থানেই রয়েছে:
الـمذهب (আল মাযহাব) শব্দটি একবচন। এর বহুচন مذاهب ‘মাযাহিব’। এর আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- পথ, পদ্ধতি, দ্বীন, জীবন ব্যবস্থা, মত, আদর্শ, বিশ্বাস, কর্মপন্থা, চলার পথ, মূল, ছিরাত, সাবীল, হিয্ব, হাব্ল, মাযহাব, মুসলমানগণের চলার পথ, আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত ইত্যাদি। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়-
(২০৪-২০৭)
الـمذهب: الدين، الـمعتقد الذى يذهب اليه.
অর্থ: সঠিক হিসেবে বিশ্বাস রেখে যে পবিত্র দ্বীনী পথে চলা হয়, সে পথকেই মাযহাব বলে। (আত তা’রীফাতুল ফিক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: “তোমাদের জন্য তোমাদের মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছেন সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: আয়াত শরীফ ২১)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বকালের সবার জন্য সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। মাখলুকাতের সবার জন্যই তিনি অনুসরণীয়-অনুকরণীয়। সঙ্গতকারণেই উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা, বেশি বেশি আলো বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...












